দলের বোঝারা সরে পড়লেই মঙ্গল
রিপোর্টার, এবিসি নিউজ বিডি, ঢাকাঃ দুই সাংবাদিককে মারধরের অভিযোগে সরকার দলীয় এক সাংসদের গ্রেপ্তারের একদিন পর যোগাযোগ মন্ত্রী ওবায়দুল কাদের বলেছেন, ভাবমূর্তি সংকটের কারণে যারা দল ও সরকারের বোঝা হয়ে পড়েছে তারা দ্রুত সরে পড়লেই দলের মঙ্গল।
বৃহস্পতিবার নগরীর একটি কমিউনিটি সেন্টারে চট্টগ্রাম দক্ষিণ জেলা আওয়ামী লীগের তৃণমূল সভা ও ইফতার মাহফিলের অনুষ্ঠানে তিনি এ কথা বলেন।
ওবায়দুল কাদের বলেন, “যে সকল জনপ্রতিনিধি ক্ষমতার দাপটে জনস্বার্থ উপেক্ষা করে অপকর্ম করছেন তাদের আগামী নির্বাচনে মনোনয়ন পেতে হবে না।”
আওয়ামী লীগের প্রেসিডিয়াম সদস্য ওবায়দুল কাদের বলেন, “ক্ষমতার দাপটে অনেকের ‘জমিদারি’ মানসিকতা হয়েছে। কিন্তু আওয়ামী লীগ ‘জমিদারের’ সংগঠন না, নেতার সংগঠন। জনগণ ও কর্মীদের সাথে যারা ‘জমিদারি’ করবেন তারা জনবিচ্ছিন্ন হয়ে যাবেন।”
‘আওয়ামী লীগের শত্রু আওয়ামী লীগ’ মন্তব্য করে তিনি বলেন, “দলের ভেতরের শত্রু যতটা না ক্ষতি করতে পারে বাইরের শত্রু এতো বেশি ক্ষতি করতে পারে না।”
পাঁচ সিটি কর্পোরেশন নির্বাচনে পরাজয়ের ব্যপারে ওবায়দুল কাদের বলেন, “এ পরাজয় আমাদের প্রয়োজন ছিল। এর কারণে আমরা বুঝতে পেরেছি আমাদের ভুল কোথায়।”
“দলের ভেতর যারা ছুরি চালিয়েছেন তাদের বিরুদ্ধে তদন্ত হচ্ছে। দলীয় শৃঙ্খলা ভঙ্গের অভিযোগে তাদের শাস্তি পেতে হবে।”
আগামী নির্বাচনের জন্য নেতা-কর্মীদের প্রস্তুতি নেয়ার আহ্বান জানিয়ে ওবায়দুল কাদের বলেন, “হাতে সময় আছে তিন মাস। এটা একদম কম না।”
আমেরিকার প্রেসিডেন্ট নির্বাচনের তিন মাস আগে ওবামা অনেক ভোটে পিছিয়ে থেকেও এগিয়ে গেছেন উল্লেখ করে তিনি বলেন, “৭৫’র পর অনেকে আওয়ামী লীগ এতিম হয়ে গেছে বলে মনে করেছিলেন। কিন্তু হয়নি। আওয়ামী লীগ ছাই থেকে ফিনিক্স হবে।”
দলীয় নেতাদের উদ্দেশ্যে কাদের বলেন, “আপনাদের কৃতকর্মের জন্য জনগণের কাছে ক্ষমা চান, ভুল স্বীকার করুন। এতে দোষের কিছু দেখি না। জনগণই আপনাদের মেন্ডেট দেবে।”“দিনে আরাম, রাতে আয়েশ না করে শেখ হাসিনার নেতৃত্বে দলকে জয়ী করার জন্য ঐক্যবদ্ধভাবে এগিয়ে যান।”
অনুষ্ঠানে উত্তর জেলা আওয়ামী লীগের সভাপতি ও সাংসদ ইঞ্জিনিয়ার মোশাররফ হোসেন বলেন, “বর্তমান নির্বাচন কমিশনের অধীন যে স্বচ্ছ নির্বাচন হয়েছে অতীতে তেমন কোন নির্বাচন হয়নি।”
দক্ষিণ জেলা আওয়ামী লীগের সভাপতি মোসলেম উদ্দিন আহমেদের সভাপতিত্বে অন্যন্যদের মধ্যে বক্তব্য রাখেন নগর আওয়ামী লীগের সভাপতি এবিএম মহিউদ্দিন চৌধুরী, সাংসদ শামসুল হক চৌধুরী, সাইফুজ্জামান চৌধুরী জাবেদ, সংরক্ষিত মহিলা আসনের সাংসদ হাসিনা মান্নান, চেমন আরা তৈয়ব, দক্ষিণ জেলা আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক মফিজুর রহমান প্রমুখ।