শেষ পর্যন্ত বাঁচানো গেল না
একটি প্রাণীকে বাঁচানোর জন্য দমকল বাহিনী আর সাধারণ মানুষের এমন প্রচেষ্টাকে ‘বিরল ঘটনা’ হিসেবে অভিহিত করেন প্রত্যক্ষদর্শীরাও।
শুক্রবার বিকেল ৫টার দিকে চট্টগ্রামের কোতোয়ালি থানাধীন আউটার স্টেডিয়ামের সীমানা সংলগ্ন নালায় পড়ে আটকে যায় ওই গর্ভবতী গাভীটি।
কিছুক্ষণের মধ্যে উদ্ধার তৎপরতা শুরু হলেও কোনভাবেই এটিকে উপরে তোলা সম্ভব হচ্ছিল না। তবে মালিকও সেটিকে জবাই করতে নারাজ।
ফলে খবর পেয়ে এটিকে জীবিত উদ্ধারের জন্য ছুটে আসে নন্দনকানন ও চন্দনপুরা ফায়ার স্টেশনের কর্মীরা। রাত সাড়ে ৮টা পর্যন্ত এভাবেই চলে তাদের চেষ্টা।
পুলিশ ও দমকল বাহিনীর সদস্যরা জানান, নালার ওপরের অংশ ভাঙ্গলে গরুর ওপর পড়বে আর পাশের দেয়ালটি আকারে অনেক বড়। তাই সেটিও ভাঙ্গা সম্ভব হচ্ছিল না।
রাত ৮টা ৪০মিনিটে নগরীর কদমতলি থেকে রেকার নিয়ে আসেন গরুর মালিক জাকির হোসেন। এরপর র্যাকারের সাহায্যে দমকল বাহিনীর সদস্যরা গরুটি উঠানোর চেষ্টা শুরু করেন।
চার ঘণ্টার চেষ্টার পর রাত ৯টার দিকে র্যাকার দিয়ে নালা থেকে গরুটি জীবিত উদ্ধার করা হলেও শেষ রক্ষা হয়নি। উদ্ধারের পাঁচ মিনিট পরই গরুটি মারা যায়।
নিজের গৃহপালিত প্রিয় গরুর মৃত্যু দেখে কান্নায় ভেঙ্গে পড়েন মালিক রেলওয়ে কর্মচারী জাকির হোসেন।
এ সময় উপস্থিত লোকজন, ফায়ার সার্ভিসের উদ্ধারকর্মী ও পুলিশ সদস্যদেরও তাকে সান্ত্বনা দিতে দেখা যায়।দমকল বাহিনীর আগ্রাবাদ ফায়ার স্টেশনের স্টেশন অফিসার মোনায়েম বিল্লাহ এবিসি নিউজ বিডিকে বলেন, “আমরা সর্বোচ্চ চেষ্টা করেছি। কিন্তু গরুটি বাঁচাতে পারলাম না। খুব খারাপ লাগছে।”
কোতোয়ালি থানার উপ-পরিদর্শক (এসআই) মো. হারুনও ঘটনাস্থলে ছিলেন বিকেল ৫টা থেকে।
তিনি বলেন, “অবলা প্রাণীর কষ্ট দেখে সবাই মিলে এতক্ষণ চেষ্টা করলাম। কিন্তু পারলাম না। গরুটিকে বাঁচানো গেল না।”