দাউদকান্দিতে ভয়াবহ অগ্নিকান্ডে শতাধিক দোকান পুড়ে ছাই !
দাউদকান্দি প্রতিনিধি, এবিসি নিউজ বিডি,
ঢাকাঃ কুমিল্লার দাউদকান্দি বাজারে আহমদিয়া প্লাজা সংলগ্ন শতাধিক আধাপাকা দোকানে অগ্নিকান্ডের ঘটনা ঘটেছে। ২৯ জানুয়ারি (রবিবার) সকাল ৮ টারদিকে এ অগ্নিকান্ডের ঘটনা ঘটে।
প্রথমে স্থানীয় দোকানদার ও এলাকাবাসী আগুন নিয়ন্ত্রণের চেষ্ঠা চালায়। পরে মুহুতের মধ্যে আগুন আশে পাশের ইলেকট্রিক, ইলেকট্রনিক্স ও কয়লার দোকানে ছড়িয়ে পড়ে। প্রথমে দাউদকান্দি ফায়ার সার্ভিস ইউনিট এসে আগুন নিয়ন্ত্রণে ব্যর্থ হলে প্রশাসনের লোকজন হোমনা, গজারিয়া ও চান্দিনা ফায়ার সার্ভিসকে খবর দেয়। ফায়ার সার্ভিসের ৪টি ইউনিট দীর্ঘ ৪ঘন্টা চেষ্ঠা চালিয়ে সকাল ১১টায় দিকে আগুন নিয়ন্ত্রণে আনে।
আগুনে মুন্সি সুপার মার্কেটের ইলেকট্রিক ও ইলেকট্রনিক্সসহ ২০টি দোকান এবং আসে পাশের মোবইল মার্কেটের ১০টি, কাপড়ের দোকান, এ্যালুমিয়ায়ামের ৫টি এবং কসমেটিকেসর ৮টিসহ ছোট বড় মিলে শতাধিক দোকান পুড়ে ছাই হয়ে যায়। প্রাথমিক ভাবে এ ঘটনায় তিন কোটি টাকার ক্ষতি হয়েছে বলে ধারনা করছে তিগ্রস্থ দোকান মালিকরা।
এসময় বিভিন্ন ব্যাংক ও এনজিও থেকে ঋণ তুলে ব্যবসায়ারী রাস্তায় গড়িয়ে কান্না করতে দেখা গেছে। অ্যালুমোনিয়মের দোকানদার মো. আক্তার হোসেন বলেন ব্রাক ব্যাংক থেকে ১০লাখ টাকা ঋণ নিয়ে দোকানে বিশ লাখ টাকা মাল তুলছিলাম। আগুনে আমার পুড়ে গেছে। আমি এখন পথে বসে ছাড়া আর কোন উপায় নাইরে আল্লাহ। মায়ের দোয়া এসএস গ্যালারী আমিনুল সিকদার ইলিকট্রিক ও জুয়েল ইলেকট্রনিক্স মালিকরা জানান ব্রাক ব্যাংকসহ বিভিন্ন এনজিও থেকে ঋণ নিয়ে দোকানে অর্ধকোটি টাকার মালামাল তুলেছিল। এ অগ্নিকান্ডে দোকানের সব মাল পুড়ে ছাই হয়ে গেছে। এখন কোথায় থেকে এ ঋণ পরিশোধ করবে। এ বলে বার বার মুর্ছা যান মালিকরা।
বাজার কমিটির সাধারণ সম্পাদক কামরুজ্জামান শাহিন বলেন, দাউদকান্দি সদরের বড় বড় মোবাইল মার্কেট, ইলিকট্রিক ও ইলেকট্রনিক্স দোকানসহ শতাধিক দোকান পুড়ে গেছে। অনেক দোকানদার বিভিন্ন ব্যাংক ও এনজিও থেকে ঋণ মালামাল তুলেছিল। এখন ব্যবসায়ীরা কি ভাবে পুষিয়ে ওঠবে তা নিয়ে ক্ষতিগ্রস্ত ব্যবসায়ীরা দিশাহারা।
সরকার যদি এ ক্ষতিগ্রস্থ ব্যবসয়ীদের পাশে দাড়ায় তাহলে একটু হলেও শান্তনা দেওয়া যাবে। দাউদকান্দি উপজেলা নির্বাহী অফিসার মো. আল-আমিন বলেন, আমি আগুন লাগার সাথে সাথে সরেজমিনে ছিলাম এবং আগুন নিয়ন্ত্রণে সার্বিক তদারকি করেছি। ক্ষতিগ্রস্থ ব্যবসীদের তালিকা তৈরী করে তাদের ক্ষতিপুরণের জন্য জেলা প্রশসকের নিকট তালিকা পাঠানো হবে। এদিকে পুড়ে যাওয়া উপজেলা চেয়ারম্যান মেজর অব, মোহাম্মদ আলী সুমন ও পৌর মেয়র নাইম ইউছুফ সেইন প্যাানেল মেয়র রবিক উদ্দিন অগ্নিকান্ড পুড়ে যাওয়া ঘটনার স্থল পরিদর্শন করেন এবং ক্ষতিগ্রস্থ ব্যবসায়ীদেরকে শান্তনা দেন ।