বিএনপির সময় আছে দুই মাসের কম
মোহাম্মাদ আল সাইফ, এবিসি নিউজ বিডিঃ সংবিধান অনুযায়ী বর্তমান সংসদের মেয়াদ শেষ হচ্ছে ২৫ অক্টোবর। ফলে নির্বাচনকালীন সরকার নিয়ে দাবি আদায়ে বিএনপিকে যা করার করতে হবে এই তিন মাসেই। তবে সময়ের হিসাবটা এতো সোজাসাপ্টা নয়। রোজা আছে আরও দুই সপ্তাহ। এরপর ঈদের ছুটিতে যাবে আরও অন্তত এক সপ্তাহ। আবার অক্টোবরের তৃতীয় সপ্তাহেই হবে ঈদ উল আযহা। ঈদের আগে এবং পরে যাবে আরও অন্তত দুই সপ্তাহ। ফলে দাবি আদায়ে ‘কিছু একটা করতে’ বিএনপি সময় পাবে আসলে দুই মাসের কম।
নির্দলীয় সরকারের দাবি আদায়ে ঈদ উল ফিতরের পর কঠোর আন্দোলনের ঘোষণা দিয়েছে বিএনপি। সময়ের এই হিসাব কষেই এগুচ্ছেন দলের নেতারা। এই সময়ের মধ্যে দাবি আদায়ে সরকারকে বাধ্য করতে টানা হরতাল, অবরোধ এমনকি অসহযোগের ঘোষণা দেয়ার কথাও ভাবছে বিএনপি।
সংসদের মেয়াদে শেষের অক্টোবরে এসে আন্দোলনের তীব্রতা। ঈদের পর ঢাকার বাইরে বেশ কয়েকটি জেলায় জনসভা করবেন বেগম খালেদা জিয়া। এর মধ্যে সরকার দাবি না মানলে ‘ঢাকা চলো’ কর্মসূচি ঘোষণা করতে পারেন তিনি।
বিএনপি নেতারা জানান, ঢাকার বাইরে জনসভা শেষে সেপ্টেম্বরে রাজধানীতে বড় ধরনের সমাবেশ করতে চান তারা। এতে নির্বাচনকালীন নির্দলীয় সরকারের দাবি মানতে সরকারকে আবারও সময় বেধে দেবেন বিএনপি চেয়ারপারসন। ওই সময় শেষে লাগাতার হরতাল, অবরোধ, অসহযোগ ঘোষণা করা হবে।
শেষ সময় ২৫ অক্টোবর: ২০০৯ সালের জানুয়ারিতে মহাজোট সরকার শপথ দিলেও সংবিধানের পঞ্চদশ সংশোধনীর কারণে এর তিন মাস আগেই বিলুপ্ত হবে সংসদ। কারণ, সংবিধানের ১২৩ এর ৩ (ক)অনুচ্ছেদে বলা হয়েছে, সরকারের মেয়াদের শেষ তিন মাসের মধ্যেই হতে হবে সংসদ নির্বাচন।
আওয়ামী লীগের উপদেষ্টা পরিষদের সদস্য ও সংবিধান সংশোধন বিষয়ক কমিটির কো চেয়ারম্যান সুরঞ্জিত সেনগুপ্ত বলেন, ‘সরকার যথা সময়েই পদত্যাগ করবে। কিন্তু সংসদ ভাঙবে তার আগেই’।
কাজেই এই ২৫ অক্টোবরের মধ্যে কোনো সুরাহা না হলে বিএনপির বর্তমান সরকারের অধীনে নির্বাচনে যাওয়া ছাড়া বিকল্প থাকবে না। কারণ, এরপর সংসদ না থাকায় সংবিধান সংশোধন করে কিছু করার উপায় থাকবে না।
এ বিষয়ে জানতে চাইলে বিএনপির স্থায়ী কমিটির সদস্য এমকে আনোয়ার বলেন, ‘আমরা নিয়মতান্ত্রিকভাবেই আন্দোলন করছি। আমরা আশা করি আমাদের যৌক্তিক দাবি সরকার মেনে নেবে। অন্যথায় জনগণকে সঙ্গে নিয়ে এই সরকারের পতন ঈদের পরেই হবে’।
বিএনপির স্থায়ী কমিটির আরেক সদস্য মওদুদ আহমদ বলেন, ‘আমরা আশা করি জনগেণর দাবি সরকার ঈদের পরেই মেনে নিয়ে তত্ত্বাবধায়ক সরকার ব্যবস্থার অধীনেই নির্বাচনে দিবে। তা না হলে জনগণই সরকারের পতন ঘটাবে। সময় কোনও বিষয় নয়।
বিএনপির চেয়ারপারসনের উপদেষ্টা শামসুজ্জামান দুদু বলেন, ‘সময় কত বাকি আছে সেটা বড় কথা নয়। বড় কথা আন্দোলন কতটা তীব্র হয়। ঈদের পরে সরকার বাধ্য হবে তত্ত্বাবধায়ক সরকার ব্যবস্থা পুনর্বহাল করতে।এমন টাই হিসাব কষলেন মহিউদ্দিন মাহী।