এবার নিখোঁজ শিশুর লাশ উদ্ধার

নিউজ ডেস্ক, এবিসি নিউজ বিডি, ঢাকা: কিশোরগঞ্জের পাকুন্দিয়া উপজেলায় মায়ের সঙ্গে নিখোঁজ হওয়া দুই মাস বয়সী শিশু আমিরুল ইসলামের লাশ ১৮ দিন পর উদ্ধার করেছে পুলিশ। এর ১০ দিন আগে একই জায়গা থেকে শিশু আমিরুলের মা রহিমা আক্তারের (২৮) লাশ উদ্ধার করেছিল পুলিশ।

গতকাল মঙ্গলবার রাত নয়টার দিকে উপজেলার এগারসিন্দুর ইউনিয়নের মীরারটেক বিল থেকে ওই শিশুর গলিত লাশ উদ্ধার করা হয়। গত ১৩ জানুয়ারি স্বামী নজরুল ইসলামের সঙ্গে বেড়াতে গিয়ে নিখোঁজ হন রহিমা ও শিশু আমিরুল। এ ঘটনার পর থেকে নজরুল ইসলাম পলাতক রয়েছেন।

পুলিশ ও স্থানীয় সূত্রে জানা গেছে, রহিমা আক্তার কিছুটা বুদ্ধিপ্রতিবন্ধী ছিলেন। একই গ্রামের সোহরাব উদ্দিনের ছেলে নজরুল ইসলামের (২৫) সঙ্গে শারীরিক সম্পর্ক গড়ে উঠলে অন্তঃসত্ত্বা হয়ে পড়েন তিনি। এ পরিস্থিতিতে রহিমার পরিবার নজরুলকে বিয়ের জন্য চাপ দেয়। এ নিয়ে গ্রামে সালিস-দরবারও হয়। মাস দুয়েক আগে রহিমা আমিরুল নামের একটি ছেলেসন্তান প্রসব করেন। গত ১০ জানুয়ারি স্থানীয় সালিসের চাপে আট লাখ টাকা দেনমোহর করে রহিমাকে বিয়ে করতে বাধ্য হন নজরুল। ১৩ জানুয়ারি নজরুল সন্তানসহ রহিমাকে বেড়াতে নিয়ে যান। এরপর থেকে তাঁরা নিখোঁজ ছিলেন। এক সপ্তাহ পর মীরারটেক বিল থেকে পুলিশ রহিমার লাশ উদ্ধার করলেও শিশু আমিরুলের কোনো খোঁজ পাওয়া যায়নি। গতকাল রাতে মীরারটেক বিলেই এক শিশুর লাশ ভাসতে দেখে এলাকাবাসী পুলিশে খবর দেয়। আমিরুলের স্বজনেরা ঘটনাস্থলে গিয়ে লাশটি আমিরুলের বলে শনাক্ত করে। পরে পুলিশ লাশটি উদ্ধার করে পাকুন্দিয়া থানায় নিয়ে যায়।

এ ঘটনায় নিহত রহিমার বড় ভাই আবদুল আওয়াল বাদী হয়ে রহিমার স্বামী নজরুল ইসলাম, দেবর দ্বীন ইসলাম, শ্বশুর সোহরাব উদ্দিন ও শাশুড়ি মদিনা আক্তারের বিরুদ্ধে পাকুন্দিয়া থানায় হত্যা ও গুমের মামলা করেছেন। নজরুল ইসলাম এখনো পলাতক।

এ ব্যাপারে পাকুন্দিয়া থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) হাসান আল মামুন বলেন, শিশু আমিরুলের লাশ দেখে প্রাথমিকভাবে মনে হচ্ছে, মা ও শিশুটিকে একই সময়ে হত্যা করা হয়েছে। এ ঘটনায় নজরুলকে এখনো গ্রেপ্তার করা যায়নি। তবে তাঁর ছোট ভাই দ্বীন ইসলামসহ আরও একজনকে সন্দেহভাজন হিসেবে গত রোববার গ্রেপ্তার করা হয়েছে।

Leave a Reply

Facebook
ব্রেকিং নিউজ