আতঙ্কিত ‘কল স্পুফিং’ চক্রের ৯ সদস্য আটক
প্রতিবেদক, এবিসি নিউজ বিডি, ঢাকাঃ
সিম কোনিংয়ের পর এবার প্রতারণার নতুন কৌশল হিসেবে কল স্পুফিংকে বেছে নিয়েছে একটি প্রতারক চক্র।
এই চক্রের ৯ সদস্যকে বুধবার রাতে উত্তরার ১২ নম্বর সেক্টর থেকে গ্রেফতার করেছে র্যাব-৪-এর অধিনায়ক মেজর মোঃ খুরশীদ আলম এবং অতিরিক্ত পুলিশ সুপার ইব্রাহিম খলিলের নেতৃতেৃ গঠিত একটি দল।
চক্রটি এরই মধ্যে মৎস অধিদপ্তরের মহাপরিচালক সহ ডিসি, টিএনও এবং ইউপি চেয়ারম্যানের মোবাইল নম্বর ব্যবহার করে বিভিন্ন জনের কাছ থেকে প্রায় ৫০ লাখ টাকা হাতিয়ে নিয়েছে।
গতকাল ০২ ফেব্রুয়ারি (বৃহস্পতিবার) দুপুরে র্যাব সদর দফতরের মিডিয়া সেন্টারে এক সংবাদ সম্মেলনে সাংবাদিকদের এসব তথ্য জানান র্যাব-৪-এর সিও লুৎফুল কবির।
তিনি জানান, এই চক্রটির সার্ভারে ডাচ্ বাংলা ব্যাংকের হট লাইন নাম্বার ১৬২১৬ এবং মোবাইল ফোন কোম্পানীর কাস্টমার সার্ভিস নাম্বার ১২১ ও ১২৩ স্পুফিং করার তথ্য পেয়েছে র্যাব।
অভিযানে তাদের কাছ থেকে ৮টি বিকাশ সিম। মোবাইল ফোন ২২টি , সীম র্কাড ৫৩ টি, ল্যাপটপ ০২টি , সিপিইউ ০৮ টি, মনিটর ০৫টি, মডেম ০১ টি এবং নগত ১৭০২৫ টাকা।
আটককৃতরা জানায়, ইতিমধ্যে তারা ডিসি কুস্টিয়া , ডিসি সিরাজগঞ্জ ,ডিসি নীলফামারি, ডিসি দিনাজপুর, ডিসি ব্রাক্ষনবাডীয়াসহ আর অনেক ডিসির নম্বর স্পুফিং করে প্রতারন করেছে।
উল্লেখ্য এটিকে নতুন ধরনের এক প্রতারণার বিষয় ধরা পড়েছে। এটিকে বলা হচ্ছে ‘স্পুফিং’। একটি সফটওয়্যারের মাধ্যমে যে কোন ব্যক্তির মোবাইল নম্বর হুবহু নকল করে কাউকে ফোন করা যায়। যার মোবাইলে ফোনটি আসছে তিনি কোনভাবেই বুঝতে পারবেন না ফোনটি আসল ব্যক্তি করেছেন না ‘স্পুফিং’ করে অন্য কেউ করেছেন। সারা বিশ্বে এটি ফান সফটওয়্যার হিসেবে পরিচিত; কিন্তু বাংলাদেশে এই সফওয়্যারটিকে নানা ধরনের জালিয়াতির কাজে ব্যবহার করা হচ্ছে।
এই ফাদে পরছি এটা কি ভাবে বুঝব সাংবাদিকদের করা এমন এক প্রশ্নের জবাবে র্যাব-৪ এর সিও বলেন, এ ধরনের অস্বাভাবিক ফোনকল এলে প্রথমত বিচলতি না হয়ে স্বাভাবিক থাকতে হবে। এরপর কলটি শেষ করে ওই নম্বরে কল করে বিষয়টি যাচাই করে নিতে হবে। অথবা কল কেটে দিয়ে কল ব্যাক করতে হবে। তিনি বলেন, যেহেতু ফোনকলটি প্রযুক্তি সহায়তায় করা হয় তাই স্বাভাবিকভাবেই ফিরতি কলে ওই নম্বর বন্ধ পাওয়া যাবে। এরপরই বিষয়টি দ্রুত আইন শৃক্ষলা রক্ষাকারী বাহিনীকে জানাতে হবে। প্রয়োজনে জিডিও করা যেতে পারে।
র্যাবের এই অভিযানে আটককৃতরা হলেন, মোঃ আসরাফুল ইসলাম আপেল (২০) যাকে মূল হোতা বলা হয়েছে। ইমদাদুল হাসান, সে স্ফুলিং এ সরাসরি সহায়তা করত। রাকিবুল ইসলাম , কাজের লোক সেজে টাকা কালেকশন করত। মহিদুল ইসলাম, নাজমুল হাসান ও আবু কাউছার বিকাসে টাকা সংগ্রহ করত। আমানউল্লাহ , সাগর ও বিল্লাল এরা ইয়েস কার্ড এবং অবৈধ ইন্টারনেট ব্যাবসায়ী।