চীনের ১০ মাথার ক্ষেপণাস্ত্র !
আন্তর্জাতিক ডেস্ক, এবিসি নিউজ বিডি, ঢাকা: চীন তার ক্ষেপণাস্ত্র ব্যবস্থার আধুনিকায়ন করে ১০টি পারমাণবিক যুদ্ধাস্ত্র যুক্ত করা যেতে পারে—এমন একটি ক্ষেপণাস্ত্রের পরীক্ষা চালিয়েছে বলে খবর প্রকাশিত হয়েছে। সাধারণত একটি ক্ষেপণাস্ত্রে একটি পারমাণবিক যুদ্ধাস্ত্র বসানোর ব্যবস্থা থাকে। ওয়াশিংটনভিত্তিক রক্ষণশীল রাজনৈতিক ওয়েবসাইট ওয়াশিংটন ফ্রি বিকন গত মঙ্গলবার এক প্রতিবেদনে এ কথা বলেছে।
তাইওয়ান এবং চীন-মার্কিন বাণিজ্যসহ বিভিন্ন বিষয়ে নতুন মার্কিন প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্পের বক্তব্যে আঞ্চলিক পরাশক্তি চীনের সঙ্গে তাঁর সম্পর্কে টানাপোড়েনের আশঙ্কা করা হচ্ছে। চীনের এই ক্ষেপণাস্ত্র পরীক্ষাকে তাই ট্রাম্পের বিরুদ্ধে মহড়া হিসেবে দেখা হতে পারে।
যুক্তরাষ্ট্রের কয়েকজন কর্মকর্তাকে উদ্ধৃত করে ওয়াশিংটন ফ্রি বিকনের ওই প্রতিবেদনে বলা হয়, চীনের শানসি প্রদেশের তাইউয়ান মহাকাশ গবেষণা কেন্দ্র থেকে গত মাসে ডিএফ-৫ নামে ক্ষেপণাস্ত্রটির নতুন সংস্করণের পরীক্ষা চালানো হয়। এতে ১০টি নমুনা যুদ্ধাস্ত্র যুক্ত ছিল। গত শতাব্দীর আশির দশকে প্রথম এই আন্তর্মহাদেশীয় ক্ষেপণাস্ত্রটির পরীক্ষা চালানো হয়। এটি ১৪ হাজার কিলোমিটার দূরের লক্ষ্যবস্তুতে আঘাত হানতে সক্ষম।
মার্কিন প্রতিরক্ষা দপ্তর পেন্টাগনের মুখপাত্র গ্যারি রস বলেন, তাঁরা নিয়মিতভাবে চীনের সামরিক কর্মকাণ্ড পর্যবেক্ষণ করছেন। ১০টি যুদ্ধাস্ত্রবাহী ক্ষেপণাস্ত্র পরীক্ষা মার্কিন গোয়েন্দা সংস্থাকে নতুন করে ভাবাচ্ছে।
কেউ কেউ চীনের এই মহড়া ট্রাম্প প্রশাসনকে দেখানোর জন্য বলে মনে করলেও চীনের কর্মকর্তারা তা স্বীকার করছেন না। চীনের সেনাবাহিনীর সঙ্গে ঘনিষ্ঠ এক সামরিক বিশেষজ্ঞ নাম প্রকাশ না করার শর্তে সাউথ চায়না মর্নিং পোস্টকে বলেন, এই ক্ষেপণাস্ত্র পরীক্ষা ট্রাম্প প্রশাসনকে দেখানোর জন্য নয়। চীনে ক্ষেপণাস্ত্র পরীক্ষার জন্য সর্বোচ্চ পর্যায় অর্থাৎ সেন্ট্রাল মিলিটারি কমিশনের অনুমতি লাগে। এই অনুমতি নেওয়া এবং প্রস্তুতি সম্পন্ন করতে কমপক্ষে এক বছর লাগে। ট্রাম্প ক্ষমতায় আসার পর হুট করে এই পরীক্ষার সিদ্ধান্ত নেওয়া সম্ভব নয়।