আদর্শ এবং মুক্তিযুদ্ধের চেতনায় ছাএলীগ
প্রতিবেদক, এবিসি নিউজ বিডি, ঢাকাঃ
আদর্শ এবং মুক্তিযুদ্ধের চেতনায় দেশকে আরো এগিয়ে নিয়ে যেতে হবে। এই চেতনাকে সামনে রেখে বাংলাদেশ ছাত্রলীগের সভাপতি সাইফুর রহমান সোহাগ বলেন, সুবিধা বঞ্চিত পথশিশুদের নিয়ে ২০০৯ সালে ভিসি চত্বরে প্রথমে একটি স্কুল প্রতিষ্ঠা করি। আর্থিক অসুবিধার কারনে কিছু কিছু অসুবিধা ছিলো। এখন মোটামুটি বড়সড়ো ভাবে দুটি স্কুল প্রতিষ্ঠা করেছি। একটি পরিবাগে এবং অন্যটি মাদারীপুরে। এই দেশে অনেক ছেলে মেয়ে আছে তারা টাকার অভাবে পড়াশুনা করার সুযোগ থেকে বঞ্চিত। তাই তাদের জন্যই এই স্কুল। সবকিছু ঠিক ঠাক ভাবে চললে পর্যাক্রমে স্কুল আরো বাড়ানো হবে।
নতুন যারা রাজনীতিতে আসছে আপনাদের পর্যায়ে আসতে কেমন পরিশ্রম করতে হবে এমন প্রশ্নের জবাবে সোহাগ বলেন, সবকিছুর আগে জাতির পিতা বঙ্গবন্ধুর শেখ মুজিবের আদর্শ এবং মুক্তিযোদ্ধের চেতনায় কাজ করতে হবে। এই দুটি জিনিস সবচেয়ে গুরুত্বপূর্ণ। পড়াশুনা তো আছেই। এখন যুগ বদলে গেছে। আদর্শের সাথে পড়াশুনা করতে হবে। পড়াশুনা না করলে আদর্শ মানুষ হওয়া যায় না। তাই জন্য বঙ্গবন্ধুর আদর্শে মুক্তিযোদ্ধের চেতনায় সামনের দিকে এগিয়ে যেতে হবে।
মাদক ও সন্ত্রাস মুক্ত দেশ গঠনে কি কি উদ্যোগ গ্রহণ করছেন এমন প্রশ্নের বলেন, এখন সবচেয়ে বড় সমস্যা হচ্ছে মাদক। জঙ্গি, সন্ত্রাস যেমন বড় সমস্যা তেমনি মাদক ও একটি বড় সমস্যা হয়ে দাড়িয়েছে। আমি বলবো এই দেশটা সবার শুধু ছাত্রলীগ বা ছাত্রসমাজের তা নয় মাদকে নিমূল করতে হলে সবাইকে একসাথে হয়ে কাজ করতে হবে। তা না হলে সামনে আমাদের নিউ জেনারেশন ধ্বংশ হয়ে যাবে। এটি এখন খুব বিপদ জনক হয়ে উঠেছে। বাংলাদেশে যারা মাদকের ব্যবসা করে তাদের কে ঠেকাতে হবে। কিছু দিন আগেও আমরা মাদকের ব্যাপারে একটি কর্মশাল ও একটি র্যালি করেছি। মাদকে যারা আষক্ত তাদেরকেও পরামর্শ দিতে হবে। আমরা শহওে গ্রামে প্রতিটি ঘরে ঘরে বার্তা পৌছে দেবো যেনো কারো কোনো সন্তান খারাপ পথে না যায়। সবাই ছেলে মেয়েদের ভালো গাইড করবেন। যাতে কেউ খারাপের পথে না যায়।
মাদক ব্যবসায়ীর অধিকাংশ লোকই প্রভাবশালী এবং রাজনীতির সাথে জড়িত এমন প্রশ্নে তিনি বলেন, যারা মাদকের ব্যবসা করে রিয়েলি তাদের কোনো দল নেই। তারা জাস্ট মাদক ব্যবসায়ী। তবুও যদি কেউ মাদকের ব্যবসার সাথে জড়িত থাকে কাউকেই নূন্যতম ছাড় দেওয়া হবে না। আমাদের মাননীয় প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা জঙ্গিবাদ, সন্ত্রাস ও মাদক মুক্ত করতে অনেক কাজ করে যাচ্ছেন। অনেক মাদক ব্যবসায়ী আছে তারা ব্যবসা করে এবং আশ্রয় নেওয়ার জন্য তারা ছাত্রলীগের কথা বলে। কিন্তু এই মাদক ব্যবসায়ী যে দলেরই হোক না কেনো কাউকেই ছাড় দেওয়া হবে না। কারন মাদকাসক্ত কাউকে দিয়ে সমাজের, দলের, দেশের কারো কোনো কাজে আছে না ক্ষতি ছাড়া। তাহলে আমরা কেনো তাদের আশ্রয় দেবো। লাভ টা কি?। বর্তমান সময়ে ছাত্রলীগের কিছু কিছু কাজে ইতিবাচক পরিবর্তন এসেছে এটির রহস্যটা কি জানতে চাইলে ছাত্রলীগের সভাপতি বলেন, আসলে সবারি ভালো কিছু করার ইচ্ছা থাকে। অনেকেই করতে চায় কিন্তু করতে পারেনা কোনো কিছু করতে হলে সদ ইচ্ছা থাকতে হবে। এবং সেটার জন্য কাজ করতে হবে। আমরা প্রথমে জিরো টলারেন্ট অন্যায়ের বিরুদ্ধে কোনো ছাড় নেয়। আমাদের দলেও যদি কেউ কোনো অন্যায় কাজ করে তাদেরও বহিষ্কার করতে দ্বিধা করিনা। এবং আমরা আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারি বাহিনীদেরও বলে দিয়েছি অন্যায় যারাই করুর কোনো ছাড় দেওয়া হবেনা। আমরা দেশটাকে বঙ্গবন্ধুর আদর্শে আরো সুন্দর করে গড়ে তুলতে চায়। আপনারা সাংবাদিকরা সব সময় পাশে ছিলেন সামনে আমাদের ভালো কাজে আরো সাপোর্ট দিবেন।