সুরগাঁও এর দ্বিতীয় মঞ্চায়ন কাল
প্রতিবেদক, এবিসি নিউজ বিডি, ঢাকাঃ
মাসুম রেজা লিখেছেন মঞ্চনাটক সুরগাঁও। এটি একটি নাট্যকার নির্দেশিত নাটক। নাটকের নির্দেশনা দিয়েছেন তিনি। প্রযোজনা—দেশ নাটক। ১৩ ফেব্রুয়ারি (সোমবার) সন্ধ্যা ৭ টায় নাটকের দ্বিতীয় মঞ্চায়ন হবে রাজধানীর শিল্পকলা একাডেমি জাতীয় নাট্যশালার মূল হলে।
আসমান ফকির হাতের মুদ্রায় আবিষ্ট করেন দর্শকদের। তিনি ভবিষ্যৎ দেখতে পান। সুরগাঁওয়ের পত্তনকারী আনাল ফকির এক শ আশি বছর আগে এক রাতে গ্রাম থেকে উধাও হয়েছেন। তিনি ফিরে আসছেন সুরগাঁওয়ে। ফিরে আসেন। সময়ের বিপরীতে এক শ আশি বছর আনাল ফকির প্রত্নকাল ভ্রমণ করেছেন। কালের গর্ভ থেকে নিয়ে এসেছেন মূল্যবান সব সামগ্রী। স্যার টমাস মুরের নিজের হাতে লেখা কাগজ। ষোলো শতকের স্মারক। সক্রেটিসকে যে পানপাত্রে হেমলক পান করানো হয়েছিল সেই পাত্র। আমাদের মনে হয় এ বুঝি অতীত কথা। পুরোনো গল্প। অতীত ঠাঁই নেয় বর্তমানে। অতীত আর বর্তমান গিয়ে মেশে ভবিষ্যতে। সুরগাঁও-এ যা ঘটে, তা কেবল সুরগাঁও গ্রামের ঘটনা থাকে না। সেই ঘটনা মিলে যায় বৈশ্বিক রাষ্ট্রনীতি আর সমরনীতির সঙ্গে। যুদ্ধ সব সময় মানবতাকে ধ্বংস করে। সুরগাঁও যুদ্ধের বিপক্ষে দাঁড়ায়। বাঁশিবুড়ি বাঁশির সুরে মানুষের ভাবশুদ্ধি ঘটায়। পঙ্কিল মনের মানুষ শুদ্ধ হয়। নাটক যেমন শুরু হয় মোহ দিয়ে। পরিক্রমা করে গভীর দর্শন। শেষ হয় মানবতার পক্ষে ভালোবাসা দিয়ে। নাটকে দৃশ্যপট বদলায়।
মঞ্চনাটকের অভিনেতা-অভিনেত্রী নিয়ে আমাদের হতাশা ছিল। কমে যাচ্ছে সৃজনশীল দক্ষÿকুশীলব। সুরগাঁও সেখানেও আশার আলো জ্বালিয়েছে। কী অসাধারণ টিমওয়ার্ক। প্রত্যেকে অভিনয় করেছেন অসম্ভব দক্ষতার সঙ্গে, সমান তালে। নাটকের সেট, লাইট, প্রপস, কস্টিউম প্রতিটি ক্ষেত্রে আছে মুনশিয়ানার ছাপ, আরো আছে সঙ্গীত পরিচালনার অসাধারন সাদৃশ্য। প্রাচ্যের সঙ্গে পাশ্চাত্যের অসাধারণ মিশেলে তৈরি হয়েছে এক অদ্ভুত ছন্দ, ধ্রুপদ সত্য।
এভাবেই নাটকটি মঞায়নের প্রস্থতি নেওয়া হয়েছে। নাটকটি রচনা ও নির্দেশনা দিয়েছেন মাসুম রেজা, সহকারী নির্দেশক অয়ন চৌধুরী। আলোক প্রক্ষেপণ- ফারুক খান টিটু। সুর করেছেন শিমুল ইউসুফ। কণ্ঠ দিয়েছেন শিমুল খান, রুবাইয়া শারমীন এবং ইমামুর রশিদ খান।
নাটকটিতে সঙ্গীত পরিচালনার করেন, ভারতের বিখ্যাত ওস্তাদ রশিদ খানের শিষ্য ইমামুর রশিদ খান, কারিগরি সহায়তায় ফোকাস মাল্টি মিডিয়া, শব্দ প্রকৌশলীর দায়িত্বে রয়েছে কে এম রফিক রহমান।