বৈশ্বিকভাবে জলবায়ু ইস্যু মোকাবেলা করতে হবে

আন্তর্জাতিক ডেস্ক, এবিসি নিউজ বিডি, ঢাকাঃ

প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা বলেছেন, জলবায়ু পরিবর্তন ইস্যু মোকাবেলায় অবশ্যই সম্মিলিত ও কার্যকর পদক্ষেপ গ্রহণ করতে হবে।
পানির জন্য একটি বৈশ্বিক তহবিল গঠনের ব্যাপারে বিশ্ব নেতাদের প্রতি আহ্বান জানান প্রধানমন্ত্রী।

জার্মানির মিউনিখে শনিবার বিকেলে ‘ক্লাইমেট সিকিউরিটি : গুড কপ, ব্যাড কপস’ শীর্ষক এক প্যানেল আলোচনায় তিনি এসব কথা বলেন।
প্রধানমন্ত্রী বলেন, ‘জলবায়ু পরিবর্তন একটি বৈশ্বিক ইস্যু এবং এর সমাধান অবশ্যই বৈশ্বিকভাবে হতে হবে। এ জন্য প্রয়োজন সম্মিলিত এবং কার্যকর পদক্ষেপ।’

কোনো একটি দেশের অসহযোগিতা সবার জন্য হুমকি হতে পারে উল্লেখ করে শেখ হাসিনা বলেন, আমরা অবশ্যই নিরাপত্তা নিশ্চিত করার জন্য দায়িত্ব ভাগাভাগি করে নেবো। প্রধানমন্ত্রী বলেন, জলবায়ু পরিবর্তন নিরাপত্তা উদ্বেগের কারণ, এতে সম্পদের ওপর চাপ বৃদ্ধি পায় এবং এর ফলে অস্থিতিশীলতা, সহিংসতা ও সংঘাত তৈরি হতে পারে। যা মূলত জাতীয় নিরাপত্তা বিপণ্ন করে তুলতে পারে।

প্রধানমন্ত্রী তার ভাষণে জলবায়ু পরিবর্তনের প্রধান তিনটি উপাদান তুলে ধরেন।

খাদ্য নিরাপত্তাকে প্রধান উপাদান হিসেবে চিহ্নিত করে তিনি বলেন, জলবায়ু পরিবর্তনের বিরূপ প্রভাবে খাদ্য উৎপাদন এবং মান উভয়ই মারাত্মকভাবে ক্ষতিগ্রস্ত হয়।

প্রধানমন্ত্রী বলেন, জলবায়ু পরিবর্তন সহিষ্ণু চাষাবাদ ব্যবস্থার উন্নয়ন করা প্রয়োজন। যা বন্যা, খরা ও লবণাক্ততা সহনশীল হবে। আমাদের অবশ্যই ক্ষুদ্র এবং প্রান্তিক কৃষকদের জন্য প্রয়োজনীয় প্রযুক্তি সুবিধা নিশ্চিত করতে হবে।

শেখ হাসিনা পানি নিরাপত্তাকে দ্বিতীয় উপাদান হিসেবে তুলে ধরেন এবং পানির জন্য তহবিল গঠনে বিশ্ব নেতাদের প্রতি তার আহ্বান পুনর্ব্যক্ত করেন।

তিনি বলেন, জলবায়ু পরিবর্তন এবং অন্যান্য কারণে জীবন ও জীবিকার জন্য বিশুদ্ধ ও নিরাপদ পানির সঙ্কট তীব্র হয়ে উঠছে। পানির সুষ্ঠু ব্যবহার এবং কার্যকর ব্যবস্থাপনার ব্যাপারে বিশ্বকে অবশ্যই মনোযোগ দিতে হবে।

জলবায়ু পরিবর্তনজনিত অভিবাসনকে তৃতীয় উপাদান হিসেবে তুলে ধরে প্রধানমন্ত্রী বলেন, জলবায়ু পরিবর্তনের কারণে লাখো মানুষ অভ্যন্তরীণ এবং আন্তর্জাতিকভাবে অভিবাসনে বাধ্য হচ্ছে। এটি সরাসরি সম্পদের ওপর চাপ সৃষ্টি করছে, এর ফলে নতুন নিরাপত্তা উদ্বেগ তৈরি হচ্ছে।

এ প্রসঙ্গে তিনি গ্লোবাল রিস্ক রিপোর্ট ২০১৬ তুলে ধরেন এবং বলেন, এতে বলা হয়, বাধ্যতামূলক অভিবাসন এবং জলবায়ু পরিবর্তন বৈশ্বিক অর্থনীতির জন্য সবচেয়ে বড় ঝুঁকি।

প্রধানমন্ত্রী বলেন, বাংলাদেশ উন্নয়ন কার্যক্রমে কার্বন নিঃসরণ নিম্নমাত্রায় নিয়ে আসার লক্ষ্য অর্জনে সম্ভাব্য সকল ব্যবস্থা গ্রহণ করেছে।

ফিনল্যান্ডের প্রেসিডেন্ট সাউলি নিনিস্তো, সুইডেনের পররাষ্ট্রমন্ত্রী মারগোট ওয়ালস্টোম, যুক্তরাষ্ট্রের সিনেটর সেলডন হোয়াইটহাউস আলোচনায় অংশ নেন। দিওটসে ওইলি চিফ পলিটিক্যাল করেসপন্ডেন্ট মালিন্দা মডারেটরের দায়িত্ব পালন করেন।

Leave a Reply

Facebook
ব্রেকিং নিউজ