অবশেষে প্রকাশ পেল নিবাচর্নী ফলাফল
সাইফুর রহমান, প্রতিবেদক, এবিসি নিউজ বিডি, ঢাকা:
সকল জল্পনা-কল্পনার অবসান ঘটিয়ে প্রকাশিত হল ছয় বছর পর অনুষ্ঠিত নির্বাচনের ফলাফল। গত ১৮ ফেব্রুয়ারি শনিবার অনুষ্ঠিত হয়ে গেল ইসলামপুর বস্র ব্যবসায়ী সমিতির নির্বাচন ২০১৭ । সকাল ৮ টা থেকে টানা ৪ টা পর্যন্ত ভোট গ্রহণ শেষে ঐ দিনই সন্ধ্যা ৭ টা থেকে গণনা শুরু হয় ৩৭০৩ টি ভোটারের ভোট।
অবশেষে ২১ ফেব্রুয়ারী (মঙ্গলবার) সকালের আলো ফোটার সাথে সাথে প্রকাশিত হতে শুরু করে কাঙ্খিত ফলাফল। তিন ধাপে ফলাফল গণনার এই নির্বাচনী কার্যক্রমকে অনেকেই আবার ঐতিহাসিক বলেও আখ্যা দেন।
নির্বাচনে গোলাপফুল ও ছাতা দুটি প্যানেল ছড়াও কিছু সতন্ত্র প্রার্থীও অংশ গ্রহন করে। এতে ছাতা প্যানেলের হাজী সামসুল আলম সবজল ২০২২ ভোট পেয়ে সভাপতি নির্বাচিত হয়। তার প্রতিদ্বন্দ্বী গোলাপফুল প্যনেলের হাজী শামসুল হক ১৬০২ ভোট পেয়েছিলেন।
সহ-সাভাপতি পদে ২২৯৭ ভোটপেয়ে ১র্ম হয়েছে আলহাজ্ব আলী আকবর ভূইয়া । ২র্য় হয়েছেন ২০৭৮ ভোট পেয়ে শেখ মোঃ জাহাঙ্গীর আলম। ২০৪৬ ভোট পেয়ে ৩র্য় অবস্থানে মোঃ ,মিজানুর রহমান অরবিট । ৪র্থ হয়েছেন সেলিম আহমদ মোল্লা ১০৯৩ ভোট পেয়ে । ১৯৪২ ভোট পেয়ে মতিন হয়েছেন ৫ম। মোঃ খলিলুর রহমান সিকদার ১৯১৩ ভোট পেয়ে ৬ষ্ঠ অবস্থানে রয়েছে। ১০০২ ভোট পেয়ে মিজানুর রহমান ৭ম এ। ৮ নং হয়েছেন মেসবাহ উদ্দিন চৌধুরী। ৯ নং- …। ১০ নং হয়েছেন খাজা তাহের ১১৬৪ ভোটে। ১১ নং ১০১৭ ভোট পেয়ে মোঃ আবু তাহের। ১২ নং ৯৮১ ভোটে জয়নাল আবেদিন। বাবু নন্দলাল ৯৪৫ ভোটে ১৩ নং হয়েছেন এবং ১৪ নং সহ-সভাপতি হয়েছেন মিজানুর রহমান খান ।
এদিকে গোলাপফুল প্যনেল থেকে মোঃ নেসার উদ্দিন মোল্লা ১৯৮৯ ভোট পেয়ে নির্বাচিত হয়েছেন সাধারন সম্পাদক ।
সহ-সাধারন সম্পাদক পদে মোঃ মিজানুর রহমান ২৩৮৪ ভোট এবং মির্জা ইমরান হোসেন (সবুজ) ২০০৭ ভোট পেয়ে জয়লাভ করেছেন।
দপ্তর সম্পাদক পদে ২০৩২ ভোট পেয়ে জায়লাভ করেন আলী আকরাম মোল্লা। সহ-দপ্তর সম্পাদক পদে ১নং শাহ আলম ১৭৩৩ ভোটে এবং ২ নং হয়েছেন মোঃ শামসুল আলম খান ১৫৩৩ ভোট পেয়ে।
২৩৪৩ ভোট পেয়ে সাংগঠনিক সম্পাদক হয়েছেন মোঃ শামীম হোসেন ।
প্রচার সম্পাদক হয়েছেন ১৮৭১ ভোট পেয়ে সম্রাট হাওলাদার। ক্রিয়া সম্পাদক পদে জাহাঙ্গীর হোসেন। সংস্কৃতিক সম্পাদক পদে ১৬৩৪ ভোট পেয়ে নির্বাচিত হয়েছেন মজিবুর রহমান টুটুল। ধর্ম সম্পাদক, আলহাজ্ব নিয়াজ আহম্মদ চাকলাদার। এাণ ও পুর্ণবাসন, আলহাজ্ব আজিজ মোল্লা
এবং কার্য নির্বাহী কমিটির সদস্য হয়েছেন ১ নং বি এম সোয়েব ২৩৩৪ ভোটে। ২নং সালামত হোসেন ১৯১০ ভোট পেয়ে। ৩নং দেলোয়ার হোসেন সিকদার ১৭৭৫ ভোট। ৪ নং আব্দুল মতিন। ৫নং মোঃ মাহবুবুর রহমান বাবু ১৭২৬ ভোটে। ৬ নং সালেহিন আহমেদ রুবেল ১৬৭১ ভোট । ৭ নং কাজী আক্তার হোসেন পারভেজ ১৬৫৯ ভোটে । ৮ নং মোজাহেদুল ইসলাম ১৬৫০ ভোট। ৯নং মজনু মির্জা ১৬২৭ । ১০নং মনিরুজ্জামান খোকন ১৫৯৬ ভোট। ১১ নং হাজী মোঃ বিল্লাল হোসেন ১৪৬৭ । ১২ নং নাজমুল নয়ন ১৪৩৯ । ১৩ নং হাজী তোফাজ্জল মাস্টার ১৪১৪ । ১৪ নং আলমাস হোসেন ১৩৯৭। ১৫ নং সোহরাব পাঠান ১৩৮৬। ১৬ নং সালাউদ্দিন মিরু ১৩৪৯ ভোট পেয়ে জয়যুক্ত হয়েছেন।
এদিকে ঘটে যাওয়া নির্বাচন নিয়ে কিছু বিতর্কও রয়েছে । এদের মধ্যে অন্যতম ৩৯৪৬ জন ভোটারের ৩৭০৩ টি ভোট গননা কাজে ২দিন ২ রাত সময় নেয়া। এতে ব্যবসায়ীরা ক্ষুদ্ধ প্রতিক্রিয়া ব্যাক্ত করেছেন। তারা অনেকে এ কথাও বলেছে এখানে ১ দিন দোকান বন্ধ থাকা মানে শতকোঠি টাকার বানিজ্য বন্ধ ! এছাড়াও নির্বাচন কেন্দ্রটিতে ছিল না কোন গনমাধ্যমে কর্মীদের প্রবেশ অধিকার। এসব প্রসঙ্গে কথা বলতে প্রধান নির্বাচন কমিশনার ফজলুল করিম মঞ্জুকে মুঠো ফোন কল দিলেও পাওয়া যায়নি।