এই রায় একটি দৃষ্টান্ত হয়ে থাক: ক্যাথরিন মাসুদ
নিউজ ডেস্ক, এবিসি নিউজ বিডি, ঢাকা: ক্যাথরিন মাসুদ বলেন, ‘ওই ভয়ংকর দিনে তারেক মাসুদ, মিশুক মুনীরসহ আরও যাঁদের আমরা হারিয়েছিলাম, পৃথিবীর কোনো আদালত আর তাঁদের ফিরিয়ে দিতে পারবেন না। তবু তাঁদের অনুপস্থিতিতে এতগুলো বছর যে দুর্বিষহ যন্ত্রণা আমরা সয়েছি, এই রায় কিছুটা হলেও তার দায় মেটাল। বিচারের এই প্রক্রিয়ায় যাঁরা জড়িত ছিলেন, তাঁদের মধ্যে আইনজীবী খান খালিদ আদনানকে আমার অবশ্যই বিশেষভাবে ধন্যবাদ জানাতে হবে। তিনি যে নিষ্ঠা দেখিয়েছেন, যে পরিশ্রম করেছেন, তার তুলনা হয় না। মানিকগঞ্জের সহকারী কৌঁসুলি মণি এবং ড. কামাল হোসেন অ্যান্ড অ্যাসোসিয়েটসের চমৎকার আইনজীবী দলকে আমি ধন্যবাদ দিতে চাই। তাঁরা কঠিন পরিশ্রম করেছেন, হাজারো বাধাবিপত্তি সত্ত্বেও ধৈর্য ধরে কাজ করে গেছেন।’
প্রতিক্রিয়ায় ক্যাথরিন মাসুদ বলেন, ‘আমার আশা ও বিশ্বাস, আপিল হলেও রায় অপরিবর্তিত থাকবে। আমাদেরই স্বার্থে ন্যায়বিচার হতে হবে। কারণ, এই অপরাধের বিচার বার্তা দেবে যে আমাদের সড়ক-মহাসড়কে যারা বেপরোয়া গাড়ি চালিয়ে মানুষ হত্যা করে, তারা আর পার পাবে না। এ ধরনের অপরাধের বিচারের ক্ষেত্রে এই রায় একটি দৃষ্টান্ত হয়ে থাক, যেন সড়কগুলো নিরাপদ হয়, ভবিষ্যতে বহু মানুষের জীবন রক্ষা পায়।’
প্রসঙ্গত, ২০১১ সালের ১৩ আগস্ট শিবালয় উপজেলায় নতুন চলচ্চিত্রের দৃশ্যায়নের নির্ধারিত স্থান দেখে মাইক্রোবাসে ঢাকায় ফেরার পথে ভয়াবহ দুর্ঘটনায় চলচ্চিত্রকার তারেক মাসুদ, এটিএন নিউজের প্রধান নির্বাহী মিশুক মুনীরসহ পাঁচজন ঘটনাস্থলেই নিহত হন। ঘিওরে ঢাকা-আরিচা মহাসড়কের জোকা এলাকায় তাঁদের বহনকারী মাইক্রোবাসটির সঙ্গে চুয়াডাঙ্গা ডিলাক্স পরিবহনের একটি বাসের মুখোমুখি সংঘর্ষ হয়। ওই দিন ঘিওর থানার তৎকালীন উপপরিদর্শক (এসআই) লুৎফর রহমান বাদী হয়ে বাসচালক জামির হোসেনকে আসামি করে মামলা করেন।
আজ বুধবার মানিকগঞ্জের অতিরিক্ত জেলা ও দায়রা জজ আদালতের বিচারক আল-মাহমুদ ফায়জুল কবীর রায় ঘোষণা করেন।