লিটন হত্যায় কাদের খান ১০ দিনের রিমান্ডে
নিউজ ডেস্ক, এবিসি নিউজ বিডি, ঢাকা: গাইবান্ধা-১ (সুন্দরগঞ্জ) আসনের আওয়ামী লীগের সাংসদ মনজুরুল ইসলাম লিটন হত্যা মামলায় জাতীয় পার্টির (জাপা) কেন্দ্রীয় ভাইস চেয়ারম্যান ও সাবেক সাংসদ আবদুল কাদের খানের ১০ দিনের রিমান্ডের আবেদন মঞ্জুর করেছেন আদালত।
পুলিশের আবেদনের পরিপ্রেক্ষিতে আজ বুধবার দুপুরের দিকে কাদের খানের ১০ দিনের রিমান্ডের আবেদন মঞ্জুর করেন গাইবান্ধার অতিরিক্ত মুখ্য বিচারিক হাকিম মইনুল হাসান ইউসুব।
আদালতে রাষ্ট্রপক্ষের কৌঁসুলি শফিকুর রহমান বলেন, লিটন হত্যা মামলায় কাদের খানকে জিজ্ঞাসাবাদের জন্য ১০ দিনের রিমান্ডের আবেদন জানায় পুলিশ। শুনানি শেষে পুলিশের আবেদন মঞ্জুর করেন আদালত। আবদুল কাদের খানকে গতকাল মঙ্গলবার বগুড়া শহরের বাড়ি থেকে গ্রেপ্তার করে পুলিশ।
লিটন হত্যা মামলায় কাদের খানকে গতকাল মঙ্গলবার বগুড়া শহরের রহমাননগরের বাড়ি থেকে গ্রেপ্তার করে পুলিশ। গ্রেপ্তারের আগে ছয় দিন তাঁকে ‘নজরবন্দী’ রাখা হয়েছিল। তাঁর গ্রামের বাড়ি সুন্দরগঞ্জের ছাপারহাটি গ্রামে।
মামলার অগ্রগতি জানাতে আজ সকালে গাইবান্ধা পুলিশ সুপারের কার্যালয়ে ‘মিট দ্য প্রেস’ অনুষ্ঠান হয়। সেখানে পুলিশের রংপুর রেঞ্জের ডিআইজি খন্দকার গোলাম ফারুক দাবি করেন, লিটন হত্যার মূল পরিকল্পনাকারী কাদের খান। তিনি এক বছর ধরে এই হত্যার পরিকল্পনা করেন।
রংপুর রেঞ্জের ডিআইজির ভাষ্য, লিটন হত্যায় অংশ নেওয়া চারজনের মধ্যে তিনজন গ্রেপ্তার আছেন। তাঁরা হলেন কাদের খানের গাড়িচালক আবদুল হান্নান এবং দুই গৃহকর্মী শাহিন মিয়া ও মেহেদী হাসান। তাঁরা আদালতে স্বীকারোক্তিমূলক জবানবন্দি দিয়েছেন। আর রানা নামের একজন পলাতক রয়েছেন।
গোলাম ফারুকের দাবি, লিটন হত্যায় অংশ নেওয়া ব্যক্তিদের এক বছর ধরে অর্থ ও নানান প্রলোভন দেন কাদের খান। হত্যায় জড়িত ব্যক্তিদের অস্ত্র চালানোর প্রশিক্ষণ দেওয়া হয়। আগামী জাতীয় সংসদ নির্বাচনে নিজের পথ পরিষ্কার করতে লিটনকে হত্যা করা হয়।
২০০৮ সালের জাতীয় সংসদ নির্বাচনে গাইবান্ধা-১ আসনে আওয়ামী লীগের নেতৃত্বাধীন মহাজোট থেকে নির্বাচিত হন জাপার নেতা কাদের খান। এই আসনের সর্বশেষ সাংসদ মনজুরুল ইসলাম গত বছরের ৩১ ডিসেম্বর নিজ বাড়িতে সন্ত্রাসীদের গুলিতে নিহত হলে আসনটি শূন্য হয়। আগামী ২২ মার্চ এই আসনে অনুষ্ঠেয় উপনির্বাচনে প্রার্থী হতে কাদের খান মনোনয়নপত্র তুলেছিলেন। ১৯ ফেব্রুয়ারি মনোনয়নপত্র দাখিলের শেষ দিন ছিল। কিন্তু এর আগের দিন ‘নজরবন্দী’ কাদের খান মনোনয়নপত্র দাখিল না করার ঘোষণা দেন।