প্রধানমন্ত্রীও বললেন, জরিপের তথ্য আছে
রিপোর্টার, এবিসি নিউজ বিডি, ঢাকাঃ আগামী নিবার্চনের সম্ভাব্য ফল নিয়ে মন্তব্য করে বিরোধী দলের সমালোচনার মুখে থাকা সজীব ওয়াজেদ জয়ের পাশে দাঁড়ালেন তার মা প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা।
তিনিও বললেন, তার কাছে জরিপের তথ্য আছে যে আওয়ামী লীগ আবারো ক্ষমতায় আসতে পারবে।
রোববার প্রধানমন্ত্রীর কার্যালয়ে এক অনুষ্ঠানে তিনি বলেন, “জয় যখন বললো, আমি পোল করে এ তথ্য পেয়েছি। সেটাকে কিভাবে বিকৃত করে- ওটাকে বলা হয়েছে ষড়যন্ত্র করে ক্ষমতায় ফিরে আসা যায়।”
গত ২৩ জুলাই আওয়ামী যুবলীগের এক ইফতার অনুষ্ঠানে জয় বলেন, তার কাছে তথ্য আছে যে, আগামী নির্বাচনে জয়ী হয়ে আওয়ামী লীগই আবারো ক্ষমতায় আসবে।
তার ওই বক্তব্যের পর বিরোধী দলের নেতারা তীব্র প্রতিক্রিয়া দেখান।
বিএনপির যুগ্ম মহাসচিব রুহুল কবির রিজভী শুক্রবার এক সংবাদ ব্রিফিংয়ে বলেন, “আগামী নির্বাচন নিয়ে সজীব ওয়াজেদ জয়ের অলীক তথ্য অসৎ রাজনৈতিক উদ্দেশ্যপ্রণোদিত। এটি আগামী নির্বাচন নিয়ে কুটিল চক্রান্তের ইঙ্গিত বহন করে। তার এ ধরনের বক্তব্যে আমরা নিন্দা ও প্রতিবাদ জানাচ্ছি।”
তবে আওয়ামী লীগের পক্ষ থেকে জয়ের বক্তব্যের ব্যাখ্যা দিয়ে বলা হয়, দলের নিষ্ক্রিয় কর্মীদের সক্রিয় করতে পারলে আওয়ামী লীগ আবার ক্ষমতায় আসবে বলেই জয় বোঝাতে চেয়েছেন।
আওয়ামী লীগের যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক মাহাবুব-উল আলম হানিফ শনিবার এক সংবাদ সম্মেলনে বলেন, “জয়কে নিয়ে বিএনপির নেতৃবৃন্দের বক্তব্য নিতান্তই রাজনৈতিক প্রতিহিংসামূলক, অনাকাঙ্ক্ষিত ও দুর্ভাগ্যজনক।”
আর রোববার সাংবাদিকদের মধ্যে অনুদানের চেক বিতরণ অনুষ্ঠান শেখ হাসিনা বলেন, “কারা বলছে? কাদের মুখ থেকে শুনছি? যারা এই ষড়যন্ত্র করে অভ্যস্ত- তারাই আজকে এ কথা বলছে।
আওয়ামী লীগ সভাপতি শেখ হাসিনা নিজেও তার ছেলের বক্তব্যের একটি ব্যাখ্যা দেন।
“জয় একটা কথা বলেছে। সার্ভে করা হয়েছে। পোল করা হয়েছে। যে সার্ভে রির্পোট এসেছে। তাতে এখনো দেখা যায়- আওয়ামী লীগের ওপর এখনো জনগণের আস্থা ও বিশ্বাস আছে। সিটের দিক থেকে আওয়ামী লীগ ভালো পজিশনে আছে, ভালো রেজাল্ট করবে।আওয়ামী লীগ ক্ষমতায় আসতে পারবে।”
শেখ হাসিনাও বলেন, “আমার কাছে রির্পোট আছে। এটা ডিজিএফআইয়ের বা এনএসআইয়ের না। এটা আমার নিজের করা। এটা আমরা করে থাকি। আমাদের কোথায় কার কী অবস্থা তা জানার জন্য।
এই অনুষ্ঠানের মধ্যে দিয়ে নিহত এবং অসুস্থ, অসচ্ছল ও দুর্ঘটনায় আহত সাংবাদিক ও তাদের পরিবারের সদস্যদের মধ্যে মধ্যে অনুদানের চেক বিতরণ করেন প্রধানমন্ত্রী।
মোট ১৫৭ জন সাংবাদিক ও তাদের পরিবারের এই অনুষ্ঠানে থাকার কথা থাকলেও উপস্থিত ৫৩ জন এদিন প্রধানমন্ত্রীর কাছ থেকে অনুদানের চেক নেন।