বাসচালক শাহ আলমকে মৃত ঘোষণা
নিউজ ডেস্ক, এবিসি নিউজ বিডি, ঢাকা: রাজধানীর গাবতলীতে পুলিশের সঙ্গে পরিবহনশ্রমিকদের সংঘর্ষে গুরুতর আহত বাসচালক মারা গেছেন। তাঁর নাম শাহ আলম (৪৫)।
আজ বুধবার সন্ধ্যা সাড়ে ছয়টার দিকে ঢাকা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালের ক্যাজুয়ালটি ব্লকের আবাসিক সার্জন জেসমিন নাহার তাঁকে মৃত ঘোষণা করেন। তিনি নিবিড় পরিচর্যা কেন্দ্রে (আইসিইউ) চিকিৎসাধীন ছিলেন।
আজ সকাল সাড়ে নয়টার দিকে গাবতলীতে পুলিশের সঙ্গে সংঘর্ষে শাহ আলম আহত হন। তিনি বৈশাখী পরিবহনের চালক ছিলেন।
ঢাকা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালের উপপরিচালক খাজা আবদুল গফুর আজ বেলা ২টা ৫ মিনিটে বলেছিলেন, একজন ব্যক্তিকে আহত অবস্থায় হাসপাতালে নিয়ে আসা হয়। তাঁকে হাসপাতালের আইসিইউতে রাখা হয়েছে।
জেসমিন নাহার বেলা সোয়া দুইটার দিকে জানিয়েছিলেন, আহত ব্যক্তির অবস্থা খুবই সংকটাপন্ন। তাঁকে পর্যবেক্ষণে রাখা হয়েছে।
সকালের দিকে প্রত্যক্ষদর্শীদের বয়ানে জানা যায়, সকাল সাড়ে নয়টার দিকে পুলিশের সঙ্গে সংঘর্ষে বাসচালক শাহ আলম আহত হন। প্রথমে তাঁকে স্থানীয় একটি ক্লিনিকে নেওয়া হয়। বেলা ১১টার দিকে তাঁকে ঢাকা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে নেওয়া হয়। ওই সময় বাসচালককে মৃত বলে ধরে নেন সঙ্গে থাকা লোকজন।
দুপুর ১২টার দিকে ঢাকা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালের একটি সূত্র প্রাথমিক তথ্যের ভিত্তিতে শাহ আলমের মৃত্যুর খবর জানায়।
পরিবহনশ্রমিকদের অনির্দিষ্টকালের ধর্মঘটে সারা দেশ থেকে প্রায় বিচ্ছিন্ন হয়ে পড়ে রাজধানী ঢাকা। গতকাল মঙ্গলবার ঢাকা থেকে দূরপাল্লার কোনো বাস ছাড়েনি, ঢাকার বাইরে থেকে কোনো বাস আসেনি। অভ্যন্তরীণ পথেও বাস চলেনি। রাজধানীতে বাস চলেছে হাতে গোনা। গতকাল রাতেও রাজধানীর গাবতলী আন্তজেলা বাস টার্মিনালের সামনে শ্রমিকদের সঙ্গে পুলিশের দফায় দফায় সংঘর্ষ হয়েছে। এতে পুলিশের চারজন সদস্যসহ আটজন আহত হন। সংঘর্ষের সময় টার্মিনালের সামনের সড়কে অ্যাম্বুলেন্সসহ ৩০ থেকে ৪০টির মতো যান ভাঙচুর করা হয়। তবে আজ বেলা দুইটার দিকে নৌমন্ত্রী শাজাহান খান মালিক ও চালকদের যানবাহন চালানোর অনুরোধ করেন। এরপর বেলা পৌনে চারটার দিকে মহাখালী থেকে বিভিন্ন গন্তব্যে বাস ছাড়তে দেখা যায়। গাবতলী থেকেও বাস-ট্রাক ছাড়া শুরু হয়েছে।