ফ্যাব্রেগাসকে ধরে রাখবোই: মার্টিনো

MARTINOstageস্পোর্টস ডেস্ক, এবিসি নিউজ বিডি, ঢাকাঃ বার্সেলোনা থেকে সেস ফ্যাব্রেগাসকে নিয়ে আসতে উন্মুখ ম্যানচেস্টার ইউনাইটেড। তবে বার্সার দায়িত্ব নিয়ে প্রথম সংবাদ সম্মেলনে কোচ জেরার্দো মার্তিনো জানিয়ে দিয়েছেন, ফ্যাব্রেগাসকে কিছুতেই বিক্রি করা হবে না।

ইংলিশ প্রিমিয়ার লিগে ম্যান ইউর অন্যতম প্রতিদ্বন্দ্বী আর্সেনালে দীর্ঘ আট মৌসুম কাটিয়ে ২০১১ সালে ছেলেবেলার ক্লাব বার্সায় ফেরেন ফ্যাব্রেগাস। কিছু দিন ধরেই এই মিডফিল্ডারকে ওল্ড ট্র্যাফোর্ডে নিয়ে আসার জন্য চেষ্টা চালিয়ে গেলেও অন্য পক্ষ থেকে কোনো সবুজ সঙ্কেত পায়নি ম্যান ইউ। বৃহস্পতিবার ম্যান ইউর নতুন কোচ ডেভিড ময়েস জানিয়ে দেন, এখনো সফল না হলেও ফ্যাব্রেগাসের ব্যাপারে তারা হাল ছেড়ে দেবেন না।

তবে টিটো ভিলানোভার উত্তরসূরী শুরুতেই জানিয়ে দিয়েছেন, ফ্যাব্রেগাসকে ধরে রাখতে তিনি কতটা দৃঢ় প্রতিজ্ঞ। শুক্রবার বার্সার মাঠ ক্যাম্প নিউ-এ সংবাদ সম্মেলনে মার্তিনো বলেন, “আমি অবশ্যই ক্লাবের অর্থনৈতিক ব্যাপারে জড়িত হতে চাই না। তবে তারা (বার্সা) এরই মধ্যে দুবার প্রস্তাব প্রত্যাখ্যান করেছে। আমি তৃতীয়বার করছি। আমরা তাকে (ফ্যাব্রেগাসকে) এখানে ধরে রাখবোই।”

৫০ বছর বয়সী মার্তিনো জানিয়েছেন, তার প্রথম কাজ হবে দলের খেলোয়াড়দের সঙ্গে পরিচিত হয়ে তাদের সাফল্যের ক্ষুধা ধরে রাখার জন্য উদ্বুদ্ধ করা।

স্বাভাবিকভাবে লিওনেল মেসির প্রসঙ্গও উঠে এসেছে সংবাদ সম্মেলনে। মেসি-মার্তিনো দুজনেরই জন্ম আর্জেন্টিনার রোজারিওতে, আর রোজারিওর নিউওয়েলস ওল্ড বয়েজ ক্লাব থেকেই বার্সায় এসেছেন মার্তিনো।

চার বারের ফিফা বর্ষসেরা ফুটবলার মেসি সম্পর্কে মার্তিনো বলেন, “সে যেন সব সময়ের মতো এখানে স্বাচ্ছন্দ্য আর স্বস্তি বোধ করে, আমরা সে চেষ্টাই করবো। তাহলে বাকি কাজটা সে নিজেই করবে।”
সংবাদ সম্মেলনের আগে সবার সঙ্গে মার্তিনোকে আনুষ্ঠানিকভাবে পরিচয় করিয়ে দেয়া হয়। তখন দুই বছর মেয়াদের চুক্তিতেও সই করেন এই আর্জেন্টাইন। এ সময় উপস্থিত ছিলেন ক্লাব সভাপতি সান্দ্রো রোসেল।
স্থানীয় সময় বৃহস্পতিবার সন্ধ্যায় মার্তিনো ক্যাম্প নিউ-এ পৌঁছালে তাকে স্বাগত জানান বার্সেলোনার ক্রীড়া পরিচালক আন্দোনি জুবিজারেতা। এরপর ক্লাবের সামনে ফটোগ্রাফারদের ছবি তোলার সুযোগ করে দিতে কিছুক্ষণ দাঁড়ান মার্তিনো।

বার্সেলোনা ক্লাবের সামনে সাবেক কোচকে অভিনন্দন জানাতে জড়ো হয়েছিল নিওয়েলস ওল্ড বয়েজের সমর্থকরাও।

অসুস্থতার কারণে বার্সাকে ভিলানোভা বিদায় জানানোর পর থেকে নতুন কোচের সন্ধানে নামে কাতালান দলটি। সোমবার স্পেনের গণমাধ্যমগুলোতে সম্ভাব্য কোচ হিসেবে মার্তিনোর নাম এলেও মঙ্গলবার তা নিশ্চিত করে বার্সেলোনা।

কোচ হিসেবে মার্তিনো বেশ সফল। আর্জেন্টিনার প্রিমিয়ার ডিভিশন ‘বি’-এর দল ব্রাউন আরেসিফের কোচ হিসেবে তার কোচিং-জীবনের শুরু। এরপর বেশ কয়েকটা ক্লাবের কোচিংয়ের অভিজ্ঞতা নিয়ে তিনি দায়িত্ব পান প্যারাগুয়ে জাতীয় দলের।

তার অধীনে লাতিন আমেরিকার দেশটি ২০১০ বিশ্বকাপের কোয়ার্টার ফাইনালে ওঠে। পরের বছর কোপা আমেরিকায় রানার্সআপও হয় প্যারাগুয়ে।

এরপর পুরনো ক্লাব নিউওয়েলস ওল্ড বয়েজে ফিরে আসেন তিনি কোচ হিসেবে। সাফল্য পেতেও খুব একটা দেরি হয়নি। তার কোচিংয়ে এ বছরের কোপা লিবার্তাদোরেসের সেমিফাইনালে উঠেছিল দলটি। এর আগে লিগ শিরোপাও জেতে ওল্ড বয়েজ।

২০০৭ সালে দক্ষিণ আমেরিকার বর্ষসেরা কোচ মনোনীত হয়েছিলেন ‘তাতা’ নামে পরিচিত মার্তিনো। তবে এর আগে কখনো কোনো ইউরোপীয় দলের কোচ হননি তিনি।

Leave a Reply

Facebook
ব্রেকিং নিউজ