আজ ২৫ মার্চ গনহত্যা দিবস……

প্রতিবেদক, এবিসি নিউজ বিডি, ঢাকা: ২৫ মার্চ গনহত্যা দিবস উপলক্ষে সেক্টর কমান্ডার্স ফোরাম-মুক্তিযুদ্ধ ৭১ এর উদ্যোগে নির্মিত হয়েছে প্রামান্য চিএ । থাকছে থিম সংও। ঐতিহাসিক এই ঘটনাটিকে ফ্রেমে বন্দী করেছেন জনপ্রিয় চলচ্চিএ নির্মাতা রফিকূল ইসলাম বুলবুল। তাই ঢাকাসহ সারাদেশে শুটিংশেষে এখন রয়েছে প্রদর্শনীর আপেক্ষায়।

আজ বেলা ২টায় রাজধানীর সোহরাওয়ার্দী উদ্যানের শিখা চিরন্তনীর সামনে লক্ষাধিক জনতার উপস্থিতিতে প্রদর্শিত হবে এ প্রামান্য চিএ ও থিম সংটি । এসময় চিএ প্রদশনী ও থিম সংটির শুভ উদ্ভোদন করবেন সাবেক সেনা প্রধান সেক্টর কমান্ডার জেনারেল কে.এম শফিউল্লাহ । আরো থাকবেন সেক্টর কমান্ডার্স ফোরাম-মুক্তিযুদ্ধ ৭১ এর মহাসচিব বীর মুক্তিযোদ্ধা হারুন হাবীব। এই অনুষ্ঠানে সংগঠনের ভাইস চেয়ারম্যন প্রফেসর ডা. ছালাম খান, সাবেক স্বরাস্ট্রমন্ত্রী ও সেক্টর কমান্ডার মেজর রফিক, সেক্টর কমান্ডর আবু ওসমান চৌধুরী সহ থাকবেন মেজর লেলিন (অব:)।

এই থিম সংটির রায়েরবাজার বধ্যভূমি ও কেন্দ্রিয় শহীদ মিনারে শুটিং চলাকালে অংশ নেন, চলচ্চিএ অভিনেএী আলভিরা ইমু, নাঈম শাহ, দিপা প্রধান, রোজালিন নুসরাত, আখি, ইতিসহ আরো অনেকে। উল্লেখ্য, ১৯৭১ সালের ২৫শে মার্চ। বাঙ্গালীর জীবনে একটি দুঃসপ্নের কালো রাত। এই রাতে পাকিস্তান সামরিক বাহিনী শুরু করে অপারেশন সার্চলাইট নামের গণহত্যাযজ্ঞ।

১৯৭১ সালের ২৫ মার্চ মধ্যরাতে পাকিস্তানী হানাদার বাহিনী ঘুমন্ত নিরস্ত্র বাঙালির ওপর আধুনিক যুদ্ধাস্ত্র নিয়ে ঝাঁপিয়ে পড়েছিল। বাঙালির স্বাধীকার আন্দোলন, এমনকি জাতীয় নির্বাচনের ফলাফলে প্রাপ্ত আইনসঙ্গত অধিকারকেও রক্তের বন্যায় ডুবিয়ে দিয়েছিল পাকিস্তানী হানাদার বাহিনী । শুারু করেছিল সারাদেশে গণহত্যা। পাকিস্তানী সামরিক জান্তা ঢাকায় অজস্র সাধারণ নাগরিক, ছাত্র, শিক্ষক, বুদ্ধিজীবী, পুলিশ হত্যা করে। ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের জগন্নাথ হল, ইকবাল হল, রোকেয়া হল, শিক্ষকদের বাসা, পিলখানার ইপিআর সদরদপ্তর, রাজারবাগ পুলিশ লাইনে একযোগে নৃশংস হত্যাযজ্ঞ চালিয়ে হত্যা করে অগণিত নিরস্ত্র দেশপ্রেমিক ও দেশের শ্রেষ্ঠ সন্তানদের।

আর এই দিনটিকে স্মরনীয় করে রাখার জন্য সম্প্রতি জাতীয় সাংসদে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা ও বিরোধীদলীয় নেতা রওশন এরশাদসহ সর্বসম্মতভাবে ২৫ মার্চ ‘গণহত্যা দিবস’ হিসেবে পালনের প্রস্তাব পাস হয়েছে।

তখনকার সময়ে এশিয়া টাইমসের ভাষ্য অনুযায়ী, সামরিক বাহিনীর বড় বড় অফিসারদের নিয়ে বৈঠকে ইয়াহিয়া খান ঘোষণা করে “এিশ লক্ষ বাঙ্গালিকে হত্যা কর, তখন দেখবে তারা আমাদের হাত চেটে খাবে।” সে পরিকল্পনা মতেই ২৫শে মার্চেও রাতে পাকিস্তানী আর্মি অপারেশন সার্চলাইট আরম্ভ করে যার উদ্দেশ্য ছিল বাঙ্গালি প্রতিরোধ গুঁড়িয়ে দেয়া। হত্যাকান্ডের খবর যাতে পৃথিবীর অন্যান্য দেশে না পৌঁছায সে লক্ষ্যে ২৫শে মার্চের আগেই বিদেশী সাংবাদিককে ঢাকা পরিত্যাগে বাধ্য করা হয।

তারপরও সাংবাদিক সাইমন ড্রিং জীবনের ঝুঁকি নিয়ে ঢাকায অবস্থান করে ওযাশিংটন পোস্টের মাধ্যমে সারা পৃথিবীকে এই গণহত্যার খবর জানিয়ে ছিলেন। পাকিস্তান সেনাবাহিনী পুরো দেশজুড়ে বাঙালি নিধন চলালেও এই হত্যাযজ্ঞের মূল কেন্দ্রবিন্দু ছিল ঢাকা। শুধু তাই নয়। পঁচিশে মার্চের কালো রাতে গ্রেফতার করা হয ১৯৭০ সালের সাধারণ নির্বাচনে নিরঙ্কুশ সংখ্যাগরিষ্ঠতাপ্রাপ্ত দল আওযামী লীগ প্রধান বাঙ্গালীর তৎকালীন প্রিয় নেতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানকে

Leave a Reply

Facebook
ব্রেকিং নিউজ