জনগণের আহার-ক্ষুধা নিয়ে মশকরা করবেন না
নিউজ ডেস্ক, এবিসি নিউজ বিডি, ঢাকা: বিএনপির জ্যেষ্ঠ যুগ্ম মহাসচিব রুহুল কবির রিজভী দাবি করেছেন, সরকার হাওর এলাকার মানুষের অসহায়ত্ব নিয়ে তামাশা করে যাচ্ছে, কিন্তু কার্যকর কোনো উদ্যোগ নিচ্ছে না। সরকারের উদ্দেশে তিনি বলেন, ‘জনগণের আহার, ক্ষুধা ও অসহায়ত্ব নিয়ে মশকরা করবেন না।’
আজ শনিবার দুপুরে নয়াপল্টনে দলের কেন্দ্রীয় কার্যালয়ে এক সংবাদ ব্রিফিংয়ে রিজভী এসব কথা বলেন।
রিজভী অভিযোগ করেন, হাওর এলাকার ক্ষতিগ্রস্ত মানুষের তালিকা তৈরির দায়িত্ব দেওয়া হয়েছে আওয়ামী লীগের নেতাদের। বেছে বেছে পছন্দের আওয়ামী লোকদের তালিকা করা হচ্ছে। এতে ক্ষতিগ্রস্ত লাখ লাখ সাধারণ কৃষক বঞ্চিত হবেন।
আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক ওবায়দুল কাদেরের বক্তব্যের জবাবে রিজভী বলেন, আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক বলেছেন, বিএনপি দুর্গত এলাকায় ফটোসেশন করতে গেছে। তাঁর বক্তব্যটি সম্পূর্ণভাবে সত্যের অপলাপ। হাওরের প্রথম আঘাতের সময় বিএনপির মহাসচিব হাওর এলাকায় গেছেন, সেখানে ত্রাণকাজে অংশ নিয়েছেন। গত পরশু বিএনপির ভাইস চেয়ারম্যান বেগম সেলিমা রহমান কিশোরগঞ্জ জেলা বিএনপির নেতা-কর্মীদের নিয়ে দুর্গত এলাকায় ব্যাপক ত্রাণকাজ চালিয়েছেন। বিএনপির আরেক ভাইস চেয়ারম্যান এবং বিএনপির জাতীয় ত্রাণ কমিটির আহ্বায়ক আবদুল্লাহ আল নোমানকে সুনামগঞ্জে ত্রাণকার্য চালাতে প্রশাসন বাধা দিয়েছে। এরপরও স্থানীয় বিএনপি নেতা-কর্মীরা ব্যাপকভাবে দুর্গত হাওর এলাকায় ত্রাণতৎপরতা অব্যাহত রেখেছেন। সরকারি বাধা না থাকলে বিএনপিসহ অন্য বিরোধী দলগুলো ব্যাপক ত্রাণকাজ চালাতে পারত। তিনি ত্রাণ তৎপরতায় বাধা না দেওয়ার জন্য সরকারের প্রতি আহ্বান জানান।
সমাবেশের অনুমতি নিয়ে গড়িমসির অভিযোগ
রিজভী অভিযোগ করেন, মে দিবসে রাজধানীতে শ্রমিক সমাবেশের অনুমতি নিয়ে সরকার গড়িমসি করছে। তিনি বলেন, আওয়ামী লীগে জোটের শরিকেরা যখন খুশি সোহরাওয়ার্দী উদ্যানে সমাবেশ করতে পারে। কিন্তু বাংলাদেশের বিএনপি ও তার অঙ্গ-সংগঠনগুলোকে সেখানে সমাবেশের অনুমতি দিতে টালবাহানা করা হয়। শ্রমিক দিবসটি পালনের জন্য জাতীয়তাবাদী শ্রমিক দল সব প্রস্তুতি নিয়েছে। এতে সহযোগিতা করছে বিএনপি। ১ মে সম্ভব না হলে ২ কিংবা ৩ মে যেকোনো একদিন সমাবেশের অনুমতি দেওয়ার দাবি জানান তিনি।
এদিকে জাতীয় প্রেসক্লাবের সামনে এক মানববন্ধনে বিএনপির ভাইস চেয়ারম্যান শামসুজ্জামান অভিযোগ করেন, সরকার হাওরবাসীকে এড়িয়ে যাওয়ার চেষ্টা করছে। হাওর অঞ্চলের দুর্গতি সরকারের দুর্নীতির অংশ।
হাওরের বিপর্যয়কে জাতীয় দুর্যোগ ঘোষণা এবং হাওরবাসীকে রক্ষায় দ্রুত রাষ্ট্রীয় পদক্ষেপ নেওয়ার দাবিতে বাংলাদেশ ন্যাপ ঢাকা মহানগর শাখা ওই মানববন্ধনের আয়োজন করে। এতে অন্যদের মধ্যে বক্তব্য দেন বাংলাদেশ ন্যাপের মহাসচিব এম গোলাম মোস্তফা ভূঁইয়া, ঢাকা মহানগরের সদস্যসচিব শহীদুন নবী প্রমুখ।