রমজান আসার আগেই ছোলার দাম চড়া
নিউজ ডেস্ক, এবিসি নিউজ বিডি, ঢাকা: রমজান শুরু হওয়ার আগেই খুচরা ও পাইকারি বাজারে ছোলার দাম বেড়েছে। ইফতারির অন্যতম এই খাবারের দাম বাড়া নিয়ে অসন্তোষ প্রকাশ করেছেন ক্রেতারা। দাম বাড়ার জন্য খুচরা বিক্রেতারা দুষছেন পাইকারি বাজারকে। পাইকারি বিক্রেতারা দুষছেন আন্তর্জাতিক বাজারকে। ১৫ মে থেকে টিসিবি খোলা বাজারে স্বল্পমূল্যে ছোলা, তেল, চাল, আটাসহ বিভিন্ন নিত্যপণ্য বিক্রি করবে।
রাজধানীর কয়েকটি বাজার ঘুরে দেখা গেছে, কয়েক দিন আগেও ছোলার দাম ছিল কেজিপ্রতি ৭০ থেকে ৭৫ টাকা। এখন প্রতি কেজি ছোলা বিক্রি হচ্ছে ৮৫ থেকে ৯০ টাকায়।
কারওয়ান বাজারে শাহ মিরোন জেনারেল স্টোরের বিক্রেতা মো. লিটনের তথ্যমতে, কিছুদিন ধরে ছোলার বাজার চড়া। কিছুদিন আগে তাঁরা ৫০ কেজি ছোলার প্রতিটি বস্তা কিনতেন ৩ হাজার ৭৫০ টাকায়। খুচরা বাজারে বিক্রি করতেন ৭৮ থেকে ৮০ টাকা। কিন্তু সেই বস্তা এখন কিনতে হচ্ছে ৩ হাজার ৯০০ টাকায়। এই এক বস্তা ছোলা কেনার পর এর পরিবহন খরচ আছে। এ জন্য সব মিলিয়ে তাঁরা বিক্রি করছেন ৮৫ টাকায়। লিটন ছোলার বস্তা কিনেছেন পাইকারি দোকান জনতা স্টোর থেকে। সেখানে এই দোকানের স্বত্বাধিকারী আবুল খায়ের বলেন, ‘প্রতি বস্তা ছোলা ৩ হাজার ৯০০ টাকায় বিক্রি করছি। আমার লাভ সামান্য। বস্তাপ্রতি মাত্র ৫০ টাকা লাভ করছি।’ তাঁর দাবি, আন্তর্জাতিক বাজারে ছোলার দাম বেড়েছে। তাই তাঁদের বেশি দামে কিনতে হচ্ছে। আর এ জন্যই তিনি বেশি দামে বিক্রি করছেন।
শাহ জালাল জেনারেল স্টোরের বিক্রেতা হৃদয় জানান, রোজা সামনে। তাই ছোলার দাম বেড়েছে। এখন তাঁরা ৮৫ টাকা কেজি দরে ছোলা বিক্রি করছেন। এই দাম আরও বাড়তে পারে। তাই অনেকে আগাম ছোলা কিনে নিয়ে যাচ্ছেন।
আজিমপুরের বাসিন্দা আমিনুল কবির কিনছিলেন ছোলা। তিনি অভিযোগ করেন, রোজা আসার আগেই ছোলার দাম বেড়েছে কেজিতে ১০ টাকা। রোজা শুরু হলে এই দাম আরও বাড়তে পারে—এই আশঙ্কায় তিনি আগাম ছোলা কিনে নিয়ে যাচ্ছেন। তাঁর ভাষ্য, কয়েক দিন আগেও বাজার করার সময় ছোলা প্রতি কেজি ৭৫ টাকায় বিক্রি হচ্ছে বলে শুনেছেন। রমজানে দাম বাড়ায় ক্ষোভ প্রকাশ করে তিনি বলেন, ‘অন্য দেশে দেখেছি উৎসবে পণ্যের দাম কমে আর আমাদের দেশে এর উল্টো। উৎসব এলেই এখানে নির্লজ্জভাবে দাম বাড়িয়ে দেন বিক্রেতারা। এঁদের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নেওয়া উচিত।’
তেজগাঁও এলাকার বাসিন্দা মইনুল হক বলেন, ছোলার দাম তো বেড়েছেই। সঙ্গে মুগডাল, চিনি ও অন্যান্য দ্রব্যের দামও বেড়েছে।
আমদানিকারকদের একাধিক সূত্র জানায়, দেশে মজুত ঠিকই আছে। এক শ্রেণির ব্যবসায়ী মজুত বাড়িয়ে বেশি দামে ছোলা বিক্রি করছেন। প্রতিবছর এই ঘটনা ঘটে। এই ধরনের ঘটনা কমাতে সরকারকে কঠোর নজরদারি করার আহ্বান জানান ক্রেতারা।