বিধ্বস্ত টাওয়ারটি বসাতে হবে নতুন করে
নিউজ ডেস্ক, এবিসি নিউজ বিডি, ঢাকা: কালবৈশাখীতে গত সোমবার রাতে জাতীয় বিদ্যুৎ গ্রিডের মেঘনা নদীর ওপরে বিধ্বস্ত ‘রিভার ক্রসিং টাওয়ার’টি নতুন করে স্থাপন করতে হবে। এতে ছয় মাস পর্যন্ত লাগতে পারে। টাওয়ারটি নির্মিত না হওয়া পর্যন্ত আশুগঞ্জ-সিরাজগঞ্জ ২৩০ কেভি গ্রিড লাইনে বিদ্যুৎ সঞ্চালন বন্ধই থাকবে। পাওয়ার গ্রিড কোম্পানি (পিজিসিবি) সূত্রে এ তথ্য জানা গেছে।
এই লাইন বন্ধ রাখা হলে দেশের উত্তর, দক্ষিণ ও দক্ষিণ-পশ্চিমাঞ্চলে বিদ্যুৎ সরবরাহে কিছুটা সমস্যা হবে উল্লেখ করে পিজিসিবির সূত্র বলেছে, স্থানীয় গ্রিডের মাধ্যমে বিদ্যুৎ সরবরাহে কিছুটা সমস্যা যেকোনো সময় হতে পারে। টাওয়ার নির্মাণ করে চালু না করা পর্যন্ত পিজিসিবিকে এ আশঙ্কা ও অস্বস্তির মধ্যে থাকতে হবে।
বিদ্যুৎ উন্নয়ন বোর্ডের (পিডিবি) সূত্র বলেছে, জাতীয় গ্রিডে সমস্যার কারণে প্রায় ৩৮টি জেলার অনেক স্থানে বিদ্যুৎ সরবরাহে যে বিঘ্ন সৃষ্টি হয়েছিল, তা নিরসন হয়েছে। গত মঙ্গলবার রাত থেকে গ্রিডের সমস্যার কারণে কোথাও বিদ্যুৎ সরবরাহে সমস্যা হচ্ছে না।
পিজিসিবির সূত্র বলেছে, বিধ্বস্ত টাওয়ারটির অবস্থা সরেজমিনে দেখার জন্য তাদের বিশেষজ্ঞ প্রকৌশলীদের একটি দল মঙ্গলবার ঘটনাস্থলে গিয়েছিল। ফিরে এসে তারা যে প্রতিবেদন দিয়েছে, তাতে উল্লেখ করা হয়েছে, টাওয়ারটি মেরামত করে ব্যবহারের কোনো সুযোগ নেই। কারণ, টাওয়ারটির ভিত্তিমূলের (ফাউন্ডেশন) কংক্রিটের মধ্যে স্থাপিত খুঁটিও (যার ওপর টাওয়ার ভর করে দাঁড়িয়ে থাকে) বাঁকা হয়ে গেছে। কাজেই নতুন ভিত্তিসহ টাওয়ারটি স্থাপন করতে হবে।
টাওয়ারটি নির্মাণ করেছে কোরিয়ার একটি ঠিকাদারি কোম্পানি। তাদের দিয়েই নতুন করে টাওয়ারটি করতে হলে সময় লাগবে বেশি। তাই এখন দেখা হচ্ছে দেশীয় প্রতিষ্ঠানকে দিয়ে কাজটি করানো যায় কি না। তাতে সময় কিছুটা কম লাগবে। তা ছাড়া কোরিয়ার কোম্পানির করা টাওয়ারটির নকশাও পিজিসিবির কাছে রয়েছে।
পিজিসিবির প্রকৌশলীদের সঙ্গে স্থানীয় কনফিডেন্স গ্রুপের বিশেষজ্ঞরাও মঙ্গলবার টাওয়ারটির অবস্থা পর্যবেক্ষণ করেন। বিদ্যুতের উঁচু টাওয়ার নির্মাণে বিশেষায়িত অভিজ্ঞতা থাকা কনফিডেন্স গ্রুপ রিভার ক্রসিং টাওয়ার না হলেও দেশে বিদ্যুৎ সঞ্চালন লাইনের অনেক উঁচু টাওয়ার নির্মাণ করেছে।