ধর্ষণের মামলার পর দুই ছাত্রীর শারীরিক পরীক্ষা সম্পন্ন

নিউজ ডেস্ক, এবিসি নিউজ বিডি, ঢাকা: রাজধানীর বনানী থানায় ধর্ষণের মামলায় বিশ্ববিদ্যালয়ের ওই দুই ছাত্রীর শারীরিক পরীক্ষা সম্পন্ন হয়েছে। আজ রোববার ঢাকা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালের ফরেনসিক বিভাগের বিভাগীয় প্রধান সোহেল মাহমুদ জানিয়েছেন, পাঁচ সদস্যের বোর্ড গঠন করে তাঁদের শারীরিক পরীক্ষা সম্পন্ন করা হয়েছে।

পাঁচ সদস্যের মধ্যে সোহেল মাহমুদ প্রধান হিসেবে ছিলেন। এ ছাড়া ছিলেন নিলুফার ইয়াসমিন, কবির সোহেল, মমতাজ আরা, কবিতা সাহা। শারীরিক পরীক্ষা বিষয়ে প্রতিবেদন জমা দিতে ১৫ থেকে ২০ দিন সময় লাগবে বলে জানান সোহেল মাহমুদ।

গতকাল শনিবার বনানী থানায় ধর্ষণের মামলা করেন বিশ্ববিদ্যালয়ের দুই ছাত্রী। অভিযুক্ত ব্যক্তিরা প্রভাবশালী, তাই মামলা করতে ওই দুই ছাত্রীকে টানা ৪৮ ঘণ্টা যুদ্ধ করতে হয়েছে বলে অভিযোগ উঠেছে।

গতকাল মামলার বাদী ও বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষার্থী বলেন, তাঁদের পুরোনো এক বন্ধু প্রধান আসামির সঙ্গে পরিচয় করিয়ে দিয়েছিলেন। পরিচয়ের দুই সপ্তাহ পর গত ২৮ মার্চ তাঁদের দুজনকে ওই আসামি তাঁর জন্মদিনের পার্টিতে দাওয়াত করেন। অনেক অনুরোধের পর তাঁরা ওই পার্টিতে যান। পার্টি ছিল বনানীর একটি চার তারকা হোটেল ও রেস্তোরাঁয়। ওই পার্টিতে ওই দুই শিক্ষার্থীর পুরোনো বন্ধুও ছিলেন। অনুষ্ঠান শেষে তাঁদের ফেলে বন্ধুটি চলে যান। আসামিরা তখন তাঁদের হোটেলের দুটি কক্ষে আটকে ফেলেন। সে সময় আসামিদের সঙ্গে দেহরক্ষী ও গাড়িচালক ছিলেন। প্রধান আসামি ও তাঁর এক বন্ধু দুই শিক্ষার্থীকে ধর্ষণ করেন। অভিযোগকারী শিক্ষার্থী দাবি করেন, তাঁদের ধর্ষণের ভিডিও ধারণ করেন আসামির গাড়িচালক।

এক মাসেরও বেশি সময় পর কেন মামলা করলেন, জানতে চাইলে অভিযোগকারী বলেন, ধর্ষণের পর আসামি তাঁকে প্রাণনাশের হুমকি দিচ্ছিলেন। বেশ কিছুদিন ধরে আসামির দেহরক্ষী তাঁকে (বিশ্ববিদ্যালয়ছাত্রীকে) অনুসরণ করছিলেন। তাঁদের বাসায় গিয়ে নানা বিষয় জিজ্ঞাসা করছিলেন। এমনকি ভিডিও আপলোড করারও হুমকি দিচ্ছিলেন। সে কারণে তাঁরা থানায় যান।

Leave a Reply

Facebook
ব্রেকিং নিউজ