ধোনিকে কিনে রেখেছিলেন শ্রীনিবাসন !
নিউজ ডেস্ক, এবিসি নিউজ বিডি, ঢাকা: মহেন্দ্র সিং ধোনিকে নিজের স্নেহভাজন ভাবতেন এন শ্রীনিবাসন। হয়তো আরও অনেক কিছু। ভারতীয় ক্রিকেটের স্বর্ণরাজ্য থেকে বিতাড়িত ললিত মোদি দুদিন পর পর একটা করে বোমা ছাড়েন। এবার এমনই এক বোমা ফাঁস করেছেন। শ্রীনির মালিকানাধীন প্রতিষ্ঠান ইন্ডিয়া সিমেন্টসের বিপণন বিভাগের ভাইস প্রেসিডেন্ট হিসেবে ধোনির নিয়োগপত্র টুইটারে প্রকাশ করেছেন মোদি। যা দেখলে প্রশ্ন ওঠে, ধোনিকে এমনিতেই বসে বসেও টাকা আয়ের সুযোগ করে দিয়েছিলেন শ্রীনি।
ইন্ডিয়া সিমেন্টসে ধোনির এই নিয়োগের উদ্দেশ্য নিয়ে প্রশ্ন তুলে মোদি বলেছেন, ‘যে খেলোয়াড়ের বাৎসরিক আয় ১০০ কোটি রুপি, সে খেলোয়াড়কে নিজ প্রতিষ্ঠানে চাকরি দেওয়ার ব্যাপারে নিশ্চয়ই অন্য উদ্দেশ্য আছে।’ এ ধরনের ‘নিয়োগ’ ভারতীয় ক্রিকেটে আরও আছে বলে টুইটারে রীতিমতো বাজিই ধরেছেন মোদি। ভারতীয় ক্রিকেটের প্রভাবশালী ক্রিকেটারদের কাউকে কাউকে কি তবে এভাবেই হাতে রাখা হয়? এমন একটা সমালোচনা শুরু হয়ে গেছে এরই মধ্যে।
মোদির প্রকাশ করা নিয়োগপত্রটিতে দেখা যায়, ২০১২ সালের দিকে ইন্ডিয়া সিমেন্টসের ভাইস প্রেসিডেন্ট হিসেবে ধোনিকে নিয়োগ দেওয়া হয়। এতে ধোনির মূল বেতন ৪৩ হাজার রুপি হলেও বিশেষ ভাতা হিসেবে তাঁকে আরও ৬০ হাজার রুপির দেওয়ার কথা বলা হয়েছে। এর পাশাপাশি মহার্ঘ ভাতা হিসেবে ২১ হাজার ৯৭০ রুপি ও অতিরিক্ত আরও ২০ হাজার রুপি দেওয়ার প্রস্তাব দেওয়া হয়েছিল। এর সঙ্গে বাড়ি ভাড়া হিসেবে প্রস্তাব ছিল আরও ৮ হাজার রুপি।
আইপিএলের শুরু থেকেই ধোনি শ্রীনিবাসনের মালিকানাধীন চেন্নাই সুপার কিংসের অধিনায়ক ছিলেন। ২০১৩ সালে স্পট ফিক্সিং কেলেঙ্কারিতে জড়িয়ে আইপিএল থেকে বহিষ্কৃত হয় এই ফ্র্যাঞ্চাইজিটি। ধোনি গত দুই মৌসুম ধরে খেলছেন রাইজিং পুনে সুপারজায়ান্টসের হয়ে। তবে দুই বছরের নিষেধাজ্ঞা কাটিয়ে আগামী আইপিএলেই ফিরছে শ্রীনির চেন্নাই।
শ্রীনি ভারতীয় ক্রিকেটের অধিপতির পদ থেকে থেকেও নির্বাসিত হয়েছেন। তাঁর জামাতা সরাসরি স্পট ফিক্সিং কেলেঙ্কারির সঙ্গে যুক্ত বলে অভিযোগ প্রমাণিত হয়েছে।