রাশিয়া এনে দিতে পারে ফিলিস্তিন সংকটের সমাধান
আন্তর্জাতিক ডেস্ক, এবিসি নিউজ বিডি, ঢাকা: ফিলিস্তিনের প্রেসিডেন্ট মাহমুদ আব্বাস বলেছেন, মধ্যস্থতাকারীর ভূমিকায় রাশিয়ার অংশগ্রহণ ছাড়া ১৯৬৭ সালের আরব-ইসরায়েল যুদ্ধের আগেকার সীমানা অনুযায়ী একটি স্বাধীন ফিলিস্তিন রাষ্ট্র গঠন করা সম্ভব নয়। রাশিয়া এনে দিতে পারে আরব-ইসরায়েল সংকটের শান্তিপূর্ণ সমাধান। ফিলিস্তিনি জনগণ রাশিয়ার সঙ্গে বিরাজমান সম্পর্কে গৌরববোধ করেন।
রাশিয়ার কৃষ্ণসাগরের উপকূলীয় শহর সোচিতে গতকাল বৃহস্পতিবার রুশ প্রেসিডেন্ট ভ্লাদিমির পুতিনের সঙ্গে দ্বিপক্ষীয় বৈঠকে ফিলিস্তিনের প্রেসিডেন্ট মাহমুদ আব্বাস এসব কথা করেন। মধ্যপ্রাচ্যে শান্তি প্রতিষ্ঠায় রাশিয়া ইতিবাচক ভূমিকা পালন করে চলেছে বলে তিনি মন্তব্য করেন।
ফিলিস্তিনের প্রেসিডেন্ট আরও বলেন, ‘স্বাধীন ফিলিস্তিন রাষ্ট্র গড়তে রাশিয়ার অবস্থানের কথা সমসময় আপনাকে (পুতিন) দৃঢ়তার সঙ্গে বলতে শুনি। রাশিয়ার সত্যিকারের অংশগ্রহণ ছাড়া ফিলিস্তিন সংকটের শান্তিপূর্ণ সমাধান হতে পারে না। আন্তর্জাতিক অঙ্গনের সব সংলাপে এ কথাই আমরা বারবার বলে আসছি।’
রাশিয়ার গণমাধ্যম থেকে পাওয়া খবরে জানা যায়, দ্বিপক্ষীয় বৈঠকের আগে ভ্লাদিমির পুতিন ও মাহমুদ আব্বাস ভিডিও কনফারেন্সের মাধ্যমে ফিলিস্তিনের পশ্চিম তীরের বেথলেহেম শহরে বহুমুখী সুবিধা সংবলিত সাংস্কৃতিক ও ক্রীড়া কমপ্লেক্সের উদ্বোধন করেন। রাশিয়ার অনুদানে নির্মিত এ কমপ্লেক্সের নাম দেওয়া হয়েছে ‘রাশিয়ার বাড়ি’। ভবনটি তৈরিতে সহযোগিতা করায় রুশ প্রেসিডেন্টকে ধন্যবাদ জানিয়ে মাহমুদ আব্বাস বলেন, ‘এ কমপ্লেক্স নির্মাণ রুশ-ফিলিস্তিন সম্পর্ককে আরও মজবুত করতে ভূমিকা রাখবে। রাশিয়ার সঙ্গে বিরাজমান সম্পর্ক নিয়ে আমাদের জনগণ গৌরব বোধ করেন এবং রাশিয়ার সমর্থন আমরা সব সময় অনুভব করি।’
রাশিয়া ফিলিস্তিনের সঙ্গে নিজেদের দ্বিপক্ষীয় সম্পর্ককে বিশেষ গুরুত্ব দিয়ে থাকে উল্লেখ করে ভ্লাদিমির পুতিন বলেন, ‘সাম্প্রতিক বছরগুলোতে আমাদের সম্পর্ক অত্যন্ত গভীর এবং তা পারস্পরিক আস্থার প্রতীক। মধ্যপ্রাচ্যে শান্তি প্রতিষ্ঠার মতো অন্যতম একটি গুরুত্বপূর্ণ ইস্যু নিয়ে অনেক বছর ধরে আমরা একসঙ্গে কাজ করছি।’
কয়েক ঘণ্টাব্যাপী চলা পুতিন-আব্বাস বৈঠকে আরব-ইসরায়েল সংকটসহ দ্বিপক্ষীয় সম্পর্কের নানা বিষয় নিয়ে আলোচনা হয় বলে জানিয়েছেন ক্রেমলিনের মুখপাত্র দিমিত্রি পেসকভ। দ্বিপক্ষীয় বৈঠক শেষে পুতিন ও আব্বাস যৌথ সংবাদ সম্মেলনে বক্তব্য দেন।