সাঈদীর মতো যুদ্ধাপরাধীর সর্বোচ্চ দণ্ড পাওয়া উচিত ছিল

নিউজ ডেস্ক, এবিসি নিউজ বিডি, ঢাকা: জামায়াতের সাবেক নেতা দেলাওয়ার হোসাইন সাঈদীর সর্বোচ্চ দণ্ড না হয়ে আমৃত্যু কারাদণ্ড বহাল থাকায় মনে ব্যথা পেয়েছেন বলে মন্তব্য করেছেন অ্যাটর্নি জেনারেল মাহবুবে আলম। রায়ের প্রতিক্রিয়ায় তিনি বলেন, সাঈদীর মতো যুদ্ধাপরাধীর সর্বোচ্চ দণ্ড পাওয়া উচিত ছিল।

প্রধান বিচারপতি সুরেন্দ্র কুমার সিনহার নেতৃত্বাধীন আপিল বিভাগের পাঁচ সদস্যের বেঞ্চ আজ সোমবার সকালে রিভিউ আবেদনের ওপর দ্বিতীয় দিনের শুনানি শেষে এ আদেশ দেন। এর আগে গতকাল রোববার প্রথম শুনানি অনুষ্ঠিত হয়।

রায়ের পর এক প্রতিক্রিয়ায় আজ দুপুর সোয়া ১২টার দিকে নিজ কার্যালয়ে অ্যাটর্নি জেনারেল সাংবাদিকদের বলেন, ‘সর্বোচ্চ আদালতের রায় সবার জন্যই শিরোধার্য। তবে সাঈদীর মতো যুদ্ধাপরাধীদের শিরোমণির সর্বোচ্চ দণ্ড না হওয়ায় আমার মনে সারা জীবন ব্যথা রয়ে যাবে। তাঁর সর্বোচ্চ দণ্ড পাওয়া উচিত ছিল। তা হলো না। এ ব্যাপারে আইন কর্মকর্তা ও তদন্ত কর্মকর্তাদের যেভাবে তথ্য–উপাত্ত আনা দরকার ছিল, সেভাবে উপস্থাপিত হয়নি বলেই সর্বোচ্চ দণ্ড হয়নি।’
মাহবুবে আলম আরও বলেন, তিনি একবার সাঈদীর এলাকা পিরোজপুরে যান। তখন তাঁর মুঠোফোনে খুদে বার্তা পাঠানো হয়েছিল। সাঈদীর লোকজন তাঁর গতিবিধি অনুসরণ করা শুরু করে। পরে তিনি এ ঘটনায় একটি সাধারণ ডায়েরিও (জিডি) করেন। তিনি বলেন, ‘সাঈদী একজন ধূর্ত প্রকৃতির আসামি। সাক্ষীদের ভয়ভীতি দেখাতে বিশেষ পারদর্শী।’

একাত্তরের মুক্তিযুদ্ধকালে মানবতাবিরোধী অপরাধের দায়ে ২০১৩ সালের ২৮ ফেব্রুয়ারি সাঈদীকে মৃত্যুদণ্ডাদেশ দেন আন্তর্জাতিক অপরাধ ট্রাইব্যুনাল। ট্রাইব্যুনালের রায়ের বিরুদ্ধে সাঈদী আপিল করেন। ২০১৪ সালের ১৭ সেপ্টেম্বর আপিল বিভাগের পাঁচ সদস্যের বেঞ্চ সংখ্যাগরিষ্ঠতার ভিত্তিতে সাঈদীর ফাঁসির সাজা কমিয়ে আমৃত্যু কারাদণ্ডাদেশ দেন। এ রায় পুনর্বিবেচনা (রিভিউ) চেয়ে রাষ্ট্রপক্ষ ও সাঈদী পৃথক আবেদন করেন। গত বছরের ১২ জানুয়ারি সাঈদীর আমৃত্যু কারাদণ্ডাদেশের রায় পুনর্বিবেচনা চেয়ে আবেদন করে রাষ্ট্রপক্ষ। আবেদনে সাঈদীকে আন্তর্জাতিক অপরাধ ট্রাইব্যুনালের দেওয়া ফাঁসির রায় পুনর্বহাল চাওয়া হয়। একই বছরের ১৭ জানুয়ারি আমৃত্যু কারাদণ্ডের রায় পুনর্বিবেচনা চেয়ে আবেদন করেন সাঈদী। রিভিউ আবেদনে সাঈদীর খালাস চাওয়া হয়।

Leave a Reply

Facebook
ব্রেকিং নিউজ