প্রধানমন্ত্রীর কার্যালয়ে তরুণদের প্রশ্নের ঢল

নিউজ ডেস্ক, এবিসি নিউজ বিডি, ঢাকা: তরুণেরা সবকিছু জানতে চায় চান। কুকুর-বিড়ালের নিরাপত্তা, জাতীয় উন্নয়ন কর্মকাণ্ডে হিজড়াদের সম্পৃক্ততা বা আদিবাসী জনগোষ্ঠীর অধিকার সরকার কীভাবে টেকসই উন্নয়ন অভীষ্ট (এসডিজি) অর্জন কর্মসূচিতে অন্তর্ভুক্ত করছে, এ নিয়ে তাদের হাজারো প্রশ্ন। এই প্রশ্নেরই ঢল নেমেছিল প্রধানমন্ত্রীর কার্যালয়ে। সময়ের স্বল্পতার কারণে অনেকে প্রশ্ন করার সুযোগই পাননি।
আজ শনিবার প্রধানমন্ত্রীর কার্যালয়ের করবী হলে ‘টেকসই উন্নয়ন অভীষ্ট অর্জনে তরুণ নেতৃত্বের ভূমিকা’ শীর্ষক মতবিনিময় সভায় তরুণেরা বিশিষ্টজনদের নানা বিষয়ে প্রশ্ন করেন। প্রধানমন্ত্রীর কার্যালয়ের গভর্ন্যান্স উনোভেশন ইউনিট (জিআইইউ) এই সভার আয়োজন করে। রাজধানীর কিছু স্কুল, কলেজ ও বিশ্ববিদ্যালয়ের গোটা পঞ্চাশেক শিক্ষার্থী এতে অংশ নেন।
প্রধানমন্ত্রীর আন্তর্জাতিক সম্পর্কবিষয়ক উপদেষ্টা গওহর রিজভীকে এক বিশ্ববিদ্যালয় শিক্ষার্থী প্রশ্ন করলেন, এসডিজিতে হিজড়াদের সরকার কীভাবে সম্পৃক্ত করবে? রবীন্দ্রসংগীতশিল্পী রেজওয়ানা চৌধুরী বন্যাকে এক স্কুলছাত্র জিজ্ঞেস করে, রেওয়াজ করার সময় পাশের বাসা থেকে আপত্তি আসে, কী করণীয়। সংগীতশিল্পী মেহরীন মাহমুদের কাছে এক শিক্ষার্থীর অভিযোগ, ‘আমার ভালো উদ্যোগের বাধা আসে বাসা থেকে। কী করা যায়?’
‘মানসম্মত শিক্ষা’ বিষয়ে মতামত দেন মুহম্মদ জাফর ইকবাল। তিনি তরুণদের প্রশ্ন করারই সুযোগ নেন বেশি। লেখাপড়ায় ভালো—এমন শিক্ষার্থীদের বিদেশে যাওয়া ও থাকার প্রবণতা প্রসঙ্গে তিনি বলেন, ‘আমাদের ব্যর্থতা যে আমরা তাদের দেশে থাকার ব্যাপারে শেখাতে পারিনি।’
‘উন্নয়ন ও তরুণ নেতৃত্ব’ বিষয়ে বক্তব্য দিয়ে মতামত অনুষ্ঠান শুরু করেছিলেন শিল্পী মেহরীন মাহমুদ। তিনি বলেন, ‘তোমাদের ভেতরে সুন্দর কিছু না থাকলে তোমার জীবনের কোনো কিছুই টেকসই হবে না।’
আয়োজক সংস্থার পরিচালক (ইনোভেশন) ইসরাত মাহমুদার পরিচালনায় অনুষ্ঠানে সভাপতিত্ব করেন প্রধানমন্ত্রীর কার্যালয়ের সিনিয়র সচিব সুরাইয়া বেগম। এতে মূল উপস্থাপনায় জিআইইউর পরিচালক দেবব্রত চক্রবর্তী বলেন, এসডিজি অর্জনে তরুণদের ভূমিকার কথা জাতিসংঘ গুরুত্ব দিয়ে বলেছে। ১৬৯টি লক্ষ্যমাত্রার মধ্যে ২০ টিতে সরাসরি তরুণদের কথা বলা হয়েছে। দেশে ১৫-২৪ বছর বয়সী জনগোষ্ঠী ১৯ দশমিক ৫৩ শতাংশ।

Leave a Reply

Facebook
ব্রেকিং নিউজ