মিল্কি হত্যা: গ্রেপ্তার ৬ জন রিমান্ডে
রিপোর্টার, এবিসি নিউজ বিডি, ঢাকাঃ যুবলীগ নেতা রিয়াজুল হক মিল্কিকে হত্যার ঘটনায় গ্রেপ্তার ছয়জনকে জিজ্ঞাসাবাদের জন্য সাত দিনের রিমান্ডে পাঠিয়েছে আদালত।
এই ছয় জন হলেন, তুহিনুর রহমান (২৫), সৈয়দ মোস্তফা আলী রুমি (৩৩), মোহাম্মদ রাসেদ মাহামুদ (২৫), সাইদুল ইসলাম ওরফে নুরুজ্জামান (২২), মোহাম্মদ সুজন হাওরাদারকে (২২) ও মোহাম্মদ জাহাঙ্গীর (২৩)।
এ মামলার তদন্ত সকর্মকর্তা গুলশান থানার এসআই সাব্বির রহমান বুধবার ছয়জনকে ঢাকার মুখ্য মহানগর হাকিম আদালতে হাজির করে ১০ দিনের হেফাজতে নিয়ে জিজ্ঞাসাবাদের আবেদন করেন।
অন্যদিকে আসামিদের পক্ষে জামিনের আবেদন করা হয়। তাদের আইনজীবীরা রিমান্ড বাতিলের আবেদনে বলেন, তারা ঘটনার সঙ্গে জড়িত নন, পরিস্থিতির শিকার । তারা বিভিন্ন বেসরকারি বিশ্ববিদ্যালয়ের ছাত্র।
শুনানি শেষে বিচারক মো. রেজাউল করিম জামিনের আবেদন নাকচ করে সাত দিন করে রিমান্ড মঞ্জুর করেন।
তবে মামলার মূল আসামি যুবলীগ নেতা এইচ এম জাহিদ সিদ্দিক তারেক হাসপাতালে চিকিৎসাধীন থাকায় তাকে এদিন আদালতে আনা হয়নি।
সোমবার রাত ১টার দিকে গুলশানের শপার্স ওয়ার্ল্ডের সামনে যুবলীগের সাংগঠনিক সম্পাদক মিল্কিকে গুলি করে হত্যা করা হয়।
শপার্স ওয়ার্ল্ডের সিসি ক্যামেরায় ধারণ করা চিত্রে দেখা যায়, প্রাইভেটকার থেকে মিল্কি নামার পর সাদা পাজামা-পাঞ্জাবি ও টুপি পরা এক যুবক বাম কানে মোবাইলে কথা বলতে বলতে মিল্কির সামনে এসে ডান হাতে ছোট আগ্নেয়াস্ত্র দিয়ে প্রথমে একটি গুলি ছোড়ে।গুলিবিদ্ধ মিল্কি বাম দিকে হেলে মাটিতে পড়ে হামাগুঁড়ি দিতে থাকেন। এসময় ওই যুবক মিল্কিকে লক্ষ্য করে সাত/আটটি গুলি ছোড়েন। এরপর পেছন থেকে এক যুবক মোটর সাইকেল চালিয়ে এলে গুলিবর্ষণকারী যুবক ওই মোটর সাইকেলের পেছনে বসে চলে যায়। ওই সময় আরেক যুবককেও গুলি ছুড়তে দেখা যায়।
র্যাব কর্মকর্তারা বলছেন, পাঞ্জাবি পরা ওই যুবকই যুবলীগের যুগ্ম সম্পাদক তারেক। তাকে মঙ্গলবার ভোরে উত্তরার একটি হাসপাতাল থেকে গুলিবিদ্ধ অবস্থায় গ্রেপ্তার করা হয়।
এ ঘটনায় মঙ্গলবার রাতে গুলশান থানায় একটি মামলা করেন নিহতের ভাই মেজর রাশিদুল হক খান। এতে তারেকসহ ১১ জনের নাম উল্লেখ করে অজ্ঞাত পরিচয় আরো কয়েকজনকে আসামি করা হয়।