আগাম ব্যবস্থা নেওয়ায় ‘মোরা’য় ক্ষতি কম: প্রধানমন্ত্রী
নিউজ ডেস্ক, এবিসি নিউজ বিডি, ঢাকা: প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা বলেছেন, আগাম ব্যবস্থা নেওয়ায় ঘূর্ণিঝড় ‘মোরা’র আঘাতে ক্ষয়ক্ষতি আশঙ্কার চেয়ে কম হয়েছে।
আজ বুধবার জাতীয় সংসদে প্রশ্নোত্তর পর্বে এক সম্পূরক প্রশ্নের জবাবে প্রধানমন্ত্রী এ কথা বলেন।
সরকারদলীয় সাংসদ মাহবুব উল আলম হানিফের সম্পূরক প্রশ্নের জবাবে প্রধানমন্ত্রী বলেন, ঘূর্ণিঝড় মোরার খবর পেয়ে তিনি অস্ট্রিয়া বসেই আগাম ব্যবস্থা নেওয়ার নির্দেশ দিয়েছেন। সরকার আগাম ব্যবস্থা নেওয়ায় ক্ষয়ক্ষতি কম হয়েছে। তা ছাড়া ঝড়টি ঘুরে যাওয়া এবং ওই সময় সাগরে ভাটা থাকায় ক্ষয়ক্ষতির যে আশঙ্কা ছিল তা হয়নি। তবে বেশ কিছু ঘরবাড়ি বিধ্বস্ত হয়েছে। এ বিষয়ে প্রশাসনের পাশাপাশি আওয়ামী লীগ রাজনৈতিক দল হিসেবে ব্যবস্থা নিচ্ছে। দল থেকে কয়েকটি দল করে দেওয়া হয়েছে। তারা ওই সব এলাকায় যাবে, সাহায্য দেওয়ার পাশাপাশি সমস্যা জানার চেষ্টা করবে। যাদের ঘরবাড়ি নষ্ট হয়েছে, নিশ্চয়ই সেগুলো করে দেওয়া হবে। খাদ্যের অভাব তাদের হবে না। নৌবাহিনীর দুটি জাহাজ কুতুবদিয়া ও সেন্ট মার্টিনে ত্রাণ নিয়ে পৌঁছেছে এবং বিমানবাহিনীও প্রস্তুত রয়েছে।
প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা বলেন, দুর্যোগ মোকাবিলায় সরকারের সক্ষমতা রয়েছে।
হাওরে অকালবন্যায় ফসলের ক্ষতি হওয়ায় দেশ যাতে খাদ্যঘাটতিতে না পড়ে, সে জন্য বিদেশ থেকে চাল আমদানি করা হচ্ছে বলে জানিয়ে প্রধানমন্ত্রী বলেন, হাওর অঞ্চলের ফসল নষ্ট হয়ে যাওয়ায় তিনি বিদেশ থেকে আরও খাদ্য ক্রয় করার নির্দেশ দিয়েছেন। চাল কেনার জন্য ইতিমধ্যে খাদ্যমন্ত্রী ভিয়েতনামে গেছেন। এ ছাড়া অন্য দেশ থেকেও অতিরিক্ত চাল কেনা হবে। একই সঙ্গে ধান উৎপাদন বাড়ানোর ব্যবস্থাও নেওয়া হবে।
আওয়ামী লীগের মো. আবদুল্লাহ ও স্বতন্ত্র সংসদ সদস্য রুস্তম আলী ফরাজীর সম্পূরক প্রশ্নের জবাবে প্রধানমন্ত্রী পানিসম্পদ মন্ত্রণালয়কে আরও গতিশীল হওয়ার নির্দেশনা দেন।
নদীভাঙন রোধ এবং হাওর ও উপকূলে বাঁধ নির্মাণবিষয়ক সম্পূরক প্রশ্নের জবাবে শেখ হাসিনা বলেন, নদীভাঙন রোধের কাজ দ্রুত শেষ করতে হবে। কাজ শেষের আগে বর্ষা চলে এলে আবার ভাঙনের মুখোমুখি পড়বে। নদীভাঙন রোধ ও বাঁধ নির্মাণে আরও উদ্যোগী হতে হবে। মন্ত্রণালয় ঢিলেমি তালে চললে কাজ হবে না।
এদিকে সংসদ সদস্য হিসেবে ডিজিটাল পরিচয়পত্র নিয়ে আজ সংসদে হাজিরা দেন সংসদ নেতা ও প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা। সংসদকক্ষে তাঁকে নীল ফিতায় সবুজ রঙের নতুন পরিচয়পত্র ঝুলিয়ে প্রশ্নোত্তর পর্বে অংশ নিতে দেখা যায়।