জাগরণ মঞ্চের স্মারকলিপি নেয়নি সুপ্রিম কোর্ট
রিপোর্টার, এবিসি নিউজ বিডি, ঢাকাঃ যুদ্ধাপরাধের বিচার দ্রুত শেষ করতে ছুটির মধ্যেও আপিল বিভাগের অবকাশকালীন বেঞ্চ চালানোর দাবিতে গণজাগরণ মঞ্চের দেয়া স্মারকলিপি নেয়নি সুপ্রিম কোর্ট।
সুপ্রিম কোর্টের রেজিস্ট্রার একেএম শামসুল ইসলাম জাগরণ মঞ্চের প্রতিনিধিদের বলেছেন, এভাবে আদালতে স্মারকলিপি দেয়ার সুযোগ নেই।
মঞ্চের অন্যতম সংগঠন মারুফ রসুল জানান, বুধবার বেলা পৌনে ১২টার দিকে তারা স্মারকলিপি দেয়ার জন্য শাহবাগ থেকে সুপ্রিম কোর্টের দিকে রওনা হলে পুলিশ দোয়েল চত্বরের কাছে তাদের আটকে দেয়।
পরে পুলিশের প্রস্তাব অনুযায়ী মঞ্চের মুখপাত্র ইমরান এইচ সরকারের নেতৃত্বে ছয় সদস্যের একটি প্রতিনিধি দল প্রধান বিচারপতির কার্যালয়ে যান।
কিন্তু সুপ্রিম কোর্টের রেজিস্ট্রার একেএম শামসুল ইসলাম তাদের স্মারকলিপি ফিরিয়ে দিয়ে বলেন, “আদালতে কোনো দাবি দাওয়া বা মেমোরেন্ডাম দেয়ার সুযোগ নেই। এভাবে দাবি দাওয়া জানালে অপরপক্ষ প্রশ্ন তোলার সুযোগ পাবে।
“স্রপ্রিম কোর্ট নিজস্ব বিধি অনুযায়ী চলে। আপনাদের কোনো দাবি থাকলে আইনজীবীর মাধ্যমে কোর্টে দিতে পারেন, এখানে না।”
১ অগাস্ট আদালতের কার্যক্রম শেষে দেড় মাসের দীর্ঘ ছুটিতে যাচ্ছে উচ্চতর আদালত। এই সময়ে জরুরি বিষয় শুনানির জন্য থাকছেন তিন বিচারপতি, যারা এককভাবে বিভিন্ন সময়ে চেম্বার বিচারপতি হিসাবে আবেদনের শুনানি গ্রহণ করবেন।
ফলে এই দীর্ঘ সময়ে একাত্তরের যুদ্ধাপরাধ মামলার শুনানি হচ্ছে না।
জামায়াত নেতার কাদের মোল্লার যুদ্ধাপরাধের মামলায় আপিল শুনানিতে পাঁচ মাসেরও বেশি সময় লেগে যাওয়ায় সুপ্রিম কোর্টের দীর্ঘ অবকাশে যুদ্ধাপরাধের মামলার আপিল শুনানির দাবি ওঠে।
গত ২৩ জুলাই সাংবাদিকদের এক প্রশ্নের জবাবে অ্যাটর্নি জেনারেল মাহবুবে আলম বলেন, “সামনে সুপ্রিম কোর্টের বড় একটি ছুটি রয়েছে। এই ছুটিতেও আপিল শুনানি অব্যাহত রাখার আবেদন করা হবে কি না সে বিষয়টি বিবেচনায় রয়েছে।”
মঙ্গলবার দেলাওয়ার হোসাইন সাঈদীর মামলার আপিল শুনানির দিন ধার্যের সময় অতিরিক্ত অ্যাটর্নি জেনারেল এম কে রহমান বলেন, অবকাশে জরুরি বিষয় শুনানির নজির আছে।
তবে আদালত সেটা গ্রহণ না করে আগামী ১৭ সেপ্টেম্বর শুনানির দিন রাখে। ওইদিনই কামারুজ্জামানের মামলার সারসংক্ষেপ জমা দেয়ারও দিন রয়েছে।
এই দুটি মামলা ছাড়াও কাদের মোল্লার মামলাটি আপিল শুনানি শেষে রায়ের জন্য অপেক্ষমাণ রাখা হয়েছে।
অবকাশে আপিল বেঞ্চ চালানোর দাবি জানাতে স্মারকলিপি দেয়ার সিদ্ধান্তের কথা জানিয়ে জাগরণ মঞ্চের মুখপাত্র ইমরান মঙ্গলবার সাংবাদিকদের বলেন, “আমরা দেখেছি, বিভিন্ন সময়ে রাষ্ট্রীয় গুরুত্বপূর্ণ বিবেচনায় অবকাশের সময়ও আপিল/হাইকোর্ট বিভাগের কার্যক্রম চলেছে।”
আইনমন্ত্রী ও অ্যাটর্নি জেনারেলের কাছেও স্মারকলিপির অনুলিপি পৌঁছানো হবে বলে জানিয়েছিলেন তিনি।