ইসির বিরুদ্ধে আন্দোলনের হুমকি বিএনপির
রিপোর্টার, এবিসি নিউজ বিডি, ঢাকাঃ রাজনৈতিক দলের সঙ্গে আলোচনা ছাড়া গণপ্রতিনিধিত্ব আদেশ সংশোধন হলে নির্বাচন কমিশনের অপসারণ দাবিতে আন্দোলনের হুমকি দিয়েছে বিএনপি।
বুধবার দুপুরে এক সংবাদ ব্রিফিংয়ে দলের স্থায়ী কমিটির সদস্য এম কে আনোয়ার বলেন, “রাজনৈতিক দলের সঙ্গে আলোচনা ছাড়া গণপ্রতিনিধিত্ব আদেশ-১৯৭২ এর সংশোধনে বর্তমান নির্বাচন কমিশনের উদ্যোগ আমাদের কাছে কোনোভাবে গ্রহণযোগ্য নয়। এটা করা হলে নির্বাচনে বড় ধরনের সংকট সৃষ্টি হবে।”
নির্বাচন কমিশনের প্রতি রাজনৈতিক দলগুলোর সঙ্গে আলোচনার আহ্বান জানিয়ে তিনি বলেন, “শুধু একটি দলকে, যারা পানির নিচে তলিয়ে গেছে, তাদের উদ্ধারের জন্য এই ধরনের সংশোধনী আনা হচ্ছে বলে আমরা মনে করি।”
নয়া পল্টনে বিএনপির কেন্দ্রীয় কার্যালয়ে দুপুরে এই সংবাদ ব্রিফিং হয়।
নির্বাচনী আচরণ বিধিসহ গণপ্রতিনিধিত্ব আদেশ-১৯৭২ এর বিভিন্ন সংশোধনীর প্রস্তাব ‘অসৎ’ উদ্দেশ্য প্রণোদিত বলেও মন্তব্য করেন এম কে আনোয়ার।তিনি বলেন, “এই সংশোধনী কার্যকর হলে নির্বাচন জটিল হয়ে পড়বে। তখন নির্দলীয় সরকারের দাবির পাশাপাশি নির্দলীয় নির্বাচন কমিশনের দাবিতেও আমরা আন্দোলনে নামতে বাধ্য হবো।”
গণপ্রনিধিনিত্ব আদেশের ৯১ (ই) ধারার প্রার্থিতা বাতিলের সংশোধনী প্রস্তাবের বিরোধিতা করে বিএনপির এই জ্যেষ্ঠ নেতা বলেন, এই ধারাটি থাকা প্রয়োজন। তা না থাকলে নির্বাচনে অপরাধের সংখ্যা আরো বেড়ে যাবে, যা কমিশন সামলাতে পারবে না।
এসব সংশোধনীর প্রস্তাব নির্বাচন কমিশনের নিজস্ব নয় অভিযোগ করে এম কে আনোয়ার বলেন, “কমিশনের খসড়ায় ওইসব সংশোধনী ছিল না। পরবর্তীতে উপরের লেবেল থেকে তা যুক্ত করা হয়েছে। এটা উদ্দেশ্য প্রণোদিত।”
তিনি বলেন, সংশোধনীর ২২ ধারায় বলা হয়েছে- দলীয় প্রধান ও তার মনোনীত ২০ জন ব্যক্তি তারা মন্ত্রী, স্পিকার, ডেপুটি স্পিকার, হুইপ, উপ হুইপ দেশের যে কোনো নির্বাচনী এলাকায় নির্বাচনী প্রচারে অংশ নিতে পারবেন।
“এটি একটি তুঘলকি বিধান বলে আমরা মনে করি। শুধু একটি দলের জন্য এরকম বিধান বিশ্বের কোথাও আছে কি না- আমার জানা নেই।”
এ সময় অন্যদের মধ্যে দলের ভারপ্রাপ্ত মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর, যুগ্ম মহাসচিব রুহুল কবির রিজভী, সহদপ্তর সম্পাদক আবদুল লতিফ জনি, আসাদুল করীম শাহিন, মহিলা দলের সাধারণ সম্পাদক শিরিন সুলতানা প্রমুখ উপস্থিত ছিলেন।
নির্বাচন কমিশনে বার্ষিক প্রতিবেদন জমা
বিএনপির যুগ্ম মহাসচিব রুহুল কবির রিজভীর নেতৃত্বে চার সদস্যের একটি প্রতিনিধি দল সকালে নির্বাচন কমিশন সচিবের কাছে দলের আয়-ব্যয়ের বার্ষিক হিসাব জমা দেন।
প্রতিনিধি দলে অন্যদের মধ্যে আবদুল লতিফ জনি, আসাদুল করীম শাহিন, চাটার্ড অ্যাকাউন্টেন্ট আমিনুল হক ছিলেন।