ঢাকার চেয়ে চট্টগ্রামে মাংসের দাম বেশি

নিউজ ডেস্ক, এবিসি নিউজ বিডি, ঢাকা: রেয়াজুদ্দিন বাজারে মাংসের দোকানের সামনে দিয়ে যেতেই ক্রেতাদের হাত ধরে মাংস কেনার আহ্বান জানাচ্ছিলেন বিক্রেতারা। দাম শুনে অনেক ক্রেতাকে সাড়া দিতে দেখা গেল না। ঝুলিয়ে রাখা গরুর মাংসের সঙ্গে সাঁটানো মূল্যতালিকা বলছে, হাড়ছাড়া রানের মাংসের দর কেজিপ্রতি ৬৫০ টাকা। হাড়সহ মাংসের কেজি ৪৮০-৫০০ টাকা।

শুক্রবার সকালে গরুর মাংস কিনতে আসা একটি বেসরকারি প্রতিষ্ঠানের কর্মকর্তা মো. মোস্তফা বলেন, ঢাকার মাংস ব্যবসায়ীদের ধর্মঘটের পর পাঁচ মাস আগে চট্টগ্রামে গরুর মাংসের দাম বেড়ে গিয়েছিল। এরপর থেকে আর কমছেই না। সব বাজারেই কেজিপ্রতি ৬০০ থেকে ৬৫০ টাকার মধ্যেই ঘুরপাক খাচ্ছে গরুর মাংসের দাম।
তবে রেয়াজুদ্দিন বাজারের মাংস বিক্রেতা মো. বশির দাবি করেন, চট্টগ্রামের বেশির ভাগ গরু আনা হয় ঢাকা অঞ্চল থেকে। ঢাকার চেয়ে গরুপ্রতি খরচ ১০ হাজার টাকা বেশি পড়ে এখানকার ব্যবসায়ীদের। ফলে ঢাকার চেয়ে এখানে স্বাভাবিকভাবে দাম বেশি হবে। তবে সব বাজারে কম-বেশি একই দরে বিক্রি হচ্ছে।
সরকারের বিপণন সংস্থা ট্রেডিং করপোরেশন অব বাংলাদেশ-টিসিবির হিসেবে, শুক্রবার ঢাকার বাজার গরুর মাংস বিক্রি হয়েছে ৪৯০ থেকে ৫২০ টাকা। ঢাকার চেয়ে চট্টগ্রামে কেজিপ্রতি সর্বোচ্চ ১৩০ টাকা বেশি দামে বিক্রি হচ্ছে চট্টগ্রামে। অবশ্য চট্টগ্রামের মাংস বিক্রেতারা বলছেন, চট্টগ্রামে রানের মাংস এবং হাড়সহ মাংস এই দুই ভাগে বিক্রি হয়। ঢাকায় হাড়সহ বিক্রি হয়। ফলে ঢাকার সঙ্গে তুলনা করা উচিত হবে না।
গরুর মাংস ছাড়াও শুক্রবার চট্টগ্রামে মহিষের মাংস কেজিপ্রতি হাড়ছাড়া ৬০০ টাকা এবং হাড়সহ ৪৫০ টাকায় বিক্রি হয়। খাসির মাংস বিক্রি হয় কেজিপ্রতি ৭০০ টাকায়।
চট্টগ্রাম জেলা প্রশাসন সূত্রে জানা গেছে, চট্টগ্রামে সর্বশেষ মাংসের দর নির্ধারণ করা হয়েছে গত বছরের ৩ জুলাই। রেয়াজুদ্দিন বাজার বণিক কল্যাণ সমিতির কার্যালয়ে ব্যবসায়ীদের সঙ্গে এক বৈঠকে জেলা প্রশাসনের তৎকালীন ম্যাজিস্ট্রেট তাহমিলুর রহমান এই দর ঠিক করেন। ওই সময় দর অনুযায়ী, হাড় ছাড়া গরুর মাংস ৫৫০ টাকা এবং হাড়সহ গরুর মাংস ৪০০ টাকা দর ঠিক হয়। মহিষের মাংস হাড়ছাড়া ৫০০ টাকা এবং হাড়সহ ৩৮০ টাকা, খাসি ৬০০ টাকা দর ঠিক হয়।
দর ঠিক করার পর এই দরে বাজারে মাংস বিক্রিও হয়েছিল। তবে গত বছর ঢাকায় কয়েক দফা ধর্মঘটের পর চট্টগ্রামে দাম বেড়ে যায় গরুর মাংসের।
গত বছর দর বেঁধে দেওয়ার পর নতুন করে দর নির্ধারণ করেনি জেলা প্রশাসন। তবে পণ্যের মূল্যতালিকা টাঙানোর নির্দেশনা রয়েছে জেলা প্রশাসনের। এ নির্দেশনা অনুযায়ী কে কত দরে বিক্রি করছে, তা টাঙিয়ে রাখা হচ্ছে মাংসের দোকানে।

Leave a Reply

Facebook
ব্রেকিং নিউজ