বিদ্যুতের ঘাটতি নেই: নসরুল
নিউজ ডেস্ক, এবিসি নিউজ বিডি, ঢাকা: উৎপাদন ক্ষমতা বেশি থাকায় দেশে বিদ্যুতের ঘাটতি দেখা যায় না বলে জানিয়েছেন বিদ্যুৎ প্রতিমন্ত্রী নসরুল হামিদ। তবে গ্যাসের ঘাটতি রয়েছে বলে তিনি জানিয়েছেন।
আজ রোববার জাতীয় সংসদে প্রশ্নোত্তরপর্বে প্রতিমন্ত্রী এসব তথ্য জানান।
সরকারি দলের সাংসদ আ ফ ম বাহাউদ্দিনের প্রশ্নের জবাবে বিদ্যুৎ প্রতিমন্ত্রী নসরুল হামিদ বলেন, দেশে দৈনিক বিদ্যুতের চাহিদা সাড়ে আট থেকে সাড়ে নয় হাজার মেগাওয়াট। উৎপাদন ক্ষমতা বেশি থাকায় ঘাটতি দেখা যায় না।
স্বতন্ত্র সাংসদ রুস্তম আলী ফরাজির প্রশ্নের জবাবে প্রতিমন্ত্রী বলেন, জলবায়ুগত পরিবর্তনের কারণে মাঝে মাঝে আবহাওয়ার উষ্ণতা মাত্রাতিরিক্ত বৃদ্ধি পায়। এর ফলে বিদ্যুতের চাহিদা বেড়ে যায়। তাই দেশে কিছু লোডশেডিং হচ্ছে। তা ছাড়া বৈরী আবহাওয়া ও বিতরণ লাইনে মেরামতকাজের জন্য কিছু জায়গায় বিদ্যুৎ বিভ্রাটের সৃষ্টি হচ্ছে।
আরেক প্রশ্নের জবাবে প্রতিমন্ত্রী জানান, ভারত থেকে আগামী অর্থবছরে বিদ্যুৎ আমদানি করার পরিকল্পনা আছে। ভেড়ামারা-বহরমপুর আন্তসংযোগ সঞ্চালন লাইনের মাধ্যমে আরও ৫০০ মেগাওয়াট বিদ্যুৎ আমদানির লক্ষ্যে কার্যক্রম চলছে। ২০১৮ সাল নাগাদ এই ৫০০ মেগাওয়াট বিদ্যুৎ আমদানির পরিকল্পনা আছে।
সাংসদ মামুনুর রশীদ কিরনের প্রশ্নের জবাবে প্রতিমন্ত্রী আরও জানান, আসন্ন ২০১৭-১৮ অর্থবছরে পল্লিবিদ্যুৎ সমিতির আওতায় ৩৩ হাজার ৮৪৯ কিলোমিটার বিদ্যুৎলাইন স্থাপনের লক্ষ্যমাত্রা নির্ধারণ করা হয়েছে।
সাংসদ সেলিম উদ্দিনের প্রশ্নের জবাবে বিদ্যুৎ ও জ্বালানি প্রতিমন্ত্রী জানান, দেশে এখন নবায়নযোগ্য শক্তি থেকে প্রায় ৪৫০ মেগাওয়াট বিদ্যুৎ উৎপাদনের ক্ষমতা আছে। এর মধ্যে সোলার ২১২ মেগাওয়াট, উইন্ড দুই দশমিক ৯, বায়োগ্যাস থেকে ৫ মেগাওয়াট ও হাইড্রো থেকে ২৩০ মেগাওয়াট। ২০২০ সালের মধ্যে নবায়নযোগ্য জ্বালানি উৎস থেকে দুই হাজার মেগাওয়াট বিদ্যুৎ উৎপাদনের পরিকল্পনা রয়েছে।
প্রাকৃতিক গ্যাসে ঘাটতি
সরকারি দলের কাজী নাবিল আহমেদের প্রশ্নের জবাবে বিদ্যুৎ, জ্বালানি ও খনিজসম্পদ প্রতিমন্ত্রী নসরুল হামিদ জানান, বর্তমান সরকারের নানামুখী পদক্ষেপের ফলে দেশে প্রাকৃতিক গ্যাসের সরবরাহ প্রায় দৈনিক ১ হাজার ১৫ মিলিয়ন ঘনফুট বেড়েছে। তবে, এটি চাহিদার তুলনায় অপ্রতুল। বর্তমানে দৈনিক ছয়শ মিলিয়ন ঘনফুটের বেশি ঘাটতি আছে।
মীর মোস্তাক আহমেদ রবির প্রশ্নের জবাবে নসরুল হামিদ বলেন, ভোক্তা পর্যায় গ্যাস ভর্তি প্রতি ১২ দশমিক ৫ কেজি এলপিজি সিলিন্ডারের সরকারের নির্ধারিত খুচরা মূল্য সাতশো টাকা। বেসরকারি পর্যায়ে এই মূল্য ৮৫০ থেকে এক হাজার টাকা। বিপিসির নিবন্ধিত ডিলারদের ভোক্তাদের কাছে সরকারি নির্ধারিত মূল্যের চেয়ে বেশি দামে বিক্রির কোনো সুযোগ নেই। ডিলারদের বিরুদ্ধে বেশি দামে বিক্রির অভিযোগ পাওয়া গেলে বিপিসি সংশ্লিষ্ট ডিলারের লাইসেন্স বাতিলসহ আইনানুগ ব্যবস্থা নিতে পারে।
হাবিবুর রহমান মোল্লার প্রশ্নের জবাবে জ্বালানি প্রতিমন্ত্রী বলেন, এলপি গ্যাসের দুর্ঘটনা কমাতে জনসচেতনতা বাড়ানোর পাশাপাশি ত্রুটিপূর্ণ ও নিম্নমানের সিলিন্ডার বাজেয়াপ্তকরণসহ বিস্ফোরক পরিদপ্তরসহ অন্যান্য সংস্থাগুলো কাজ করে যাচ্ছে।
সচেতনতার অভাব এবং নিম্নমানের সিলিন্ডার ও পরিবহক ক্রুটির জন্য গ্যাসের দুর্ঘটনা ঘটে থাকে বলে প্রতিমন্ত্রী জানান।