মিল্কি হত্যা: তারেক-চঞ্চল যুবলীগ থেকে বহিষ্কার
রিপোর্টার, এবিসি নিউজ বিডি, ঢাকাঃ রাজধানীর গুলশানে রিয়াজুল হক মিল্কি হত্যার ঘটনায় দুই নেতাকে বহিষ্কার করেছে আওয়ামী যুবলীগ।
এর হালেন ঢাকা মহানগর যুবলীগের (দক্ষিণ) যুগ্ম সম্পাদক জাহিদ সিদ্দিকী তারেক ও ঢাকা মহানগর যুবলীগের (উত্তর) সাংগঠনিক সম্পাদক সাখাওয়াত হোসেন চঞ্চল।
এর দুজনই মিল্কি হত্যা মামলার এজাহারভুক্ত আসামি। হত্যাকাণ্ডের কয়েক ঘণ্টা পর তারেককে গ্রেপ্তার করে র্যাব।
বুধবার যুবলীগের এক সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে বলা হয়, মিল্কী হত্যাকাণ্ডে জড়িত থাকার অভিযোগে তারেক ও চঞ্চলকে সংগঠন থেকে বহিষ্কারের এই সিদ্ধান্ত নিয়েছে যুবলীগের কেন্দ্রীয় কাযনির্বাহী কমিটি।
সোমবার রাত ১টার দিকে গুলশানের শপার্স ওয়ার্ল্ডের সামনে যুবলীগের সাংগঠনিক সম্পাদক মিল্কিকে গুলি করে হত্যা করা হয়।
র্যাব কর্মকর্তারা বলছেন, পাঞ্জাবি পরা ওই যুবকই যুবলীগের যুগ্ম সম্পাদক তারেক। তাকে মঙ্গলবার ভোরে উত্তরার একটি হাসপাতাল থেকে গুলিবিদ্ধ অবস্থায় গ্রেপ্তার করা হয়।
নাম প্রকাশ না করার শর্তে এক যুবলীগ নেতা এবিসি নিউজ বিডিকে বলেন, তারেক এক সময় মিল্কির ঘনিষ্ঠ ছিলেন। তবে গুলশান-বাড্ডা এলাকা নিয়ন্ত্রণ করে সাখাওয়াত হোসেন চঞ্চল, সে এখন তারেকের ঘনিষ্ঠ। মিল্কি রাতে ওই এলাকায় ঢুকেছে বলে খবর পাওয়ার পরপরই প্রতিপক্ষ তাকে গুলি করে পালিয়ে যায়।
এ ঘটনায় মঙ্গলবার রাতে গুলশান থানায় একটি মামলা করেন নিহতের ভাই মেজর রাশিদুল হক খান। এতে তারেক ও চঞ্চলসহ ১১ জনের নাম নাম উল্লেখ করে অজ্ঞাত পরিচয় আরো কয়েকজনকে আসামি করা হয়।
এ মামলায় গ্রেপ্তার সাত জনের মধ্যে তারেক ছাড়া বাকি ছয়জনকে জিজ্ঞাসাবাদের জন্য সাত দিন করে রিমান্ডে পাঠিয়েছে ঢাকার হাকিম আদালত।