ভালো লাগা, খারাপ লাগা নিয়েই ফিরলেন মাশরাফিরা
নিউজ ডেস্ক, এবিসি নিউজ বিডি, ঢাকা: সাসেক্সে প্রস্তুতি ক্যাম্প, আয়ারল্যান্ডে ত্রিদেশীয় সিরিজ আর ইংল্যান্ডে চ্যাম্পিয়নস ট্রফি—৫০ দিনের সফর শেষে আজ সকাল ১০টায় ঢাকা এসে পৌঁছেছে বাংলাদেশ দল। বাংলাদেশ ফিরেছে চ্যাম্পিয়নস ট্রফির সেমিফাইনালে ওঠার গৌরব নিয়ে। কিন্তু এ অর্জনের পরও বিমানবন্দরে ক্রিকেটারদের মুখে চওড়া হাসি দেখা গেল কমই।
হতে পারে বার্মিংহাম থেকে ১৮ ঘণ্টার বিমানযাত্রার ধকল কাটিয়ে উঠতে পারেননি তাঁরা। স্বাভাবিকভাবেই ক্লান্তির ছাপ মুখে। কিন্তু সব ছাপিয়ে শেষ চারের লড়াইয়ে ভারতের কাছে বড় ব্যবধানের হারের হতাশাটা যেন বেশি স্পষ্ট হয়ে উঠছে ক্রিকেটারদের চোখে-মুখে। আলোকচিত্রীদের ডাকে মোস্তাফিজ-সৌম্য-সাব্বির সাড়া দিলেন, মৃদু হাসলেন। তবে সেই হাসিতে যেন প্রাণ নেই!
চ্যাম্পিয়নস ট্রফিতে বাংলাদেশ সেমিফাইনালে খেলেছে, তাতে গর্বের উপাদান খুঁজে পাচ্ছেন মাশরাফি বিন মুর্তজা। কিন্তু স্বপ্নযাত্রার সমাপ্তি যেভাবে হয়েছে, তাতে তিনি হতাশ, ‘অবশ্যই ভালো লাগছে। সেমিফাইনালে খেলাটা অনেক বড় ব্যাপার ছিল। তবে খারাপ লাগাও আছে। যেহেতু একটা ভালো সুযোগ পেয়েছিলাম, কিন্তু পারিনি। এখানেই শেষ নয়। সামনে আরও বড় টুর্নামেন্ট বা সিরিজ আছে। সেগুলোয় ভালো করাটা এখন গুরুত্বপূর্ণ।’
২০১৫ বিশ্বকাপে বাংলাদেশ সাফল্য পেয়েছিল তরুণ-অভিজ্ঞের ডানায় চড়ে। সিনিয়র-জুনিয়ররা জ্বলে উঠেছিলেন একসঙ্গে। কিন্তু এবার চ্যাম্পিয়নস ট্রফিতে সিনিয়ররা ভালো করলেও হতাশ করেছেন তরুণেরা। সাব্বির-সৌম্যর ব্যাট যেমন কথা বলেনি, দেখা যায়নি মোস্তাফিজ-জাদুও। তবে মাশরাফি আশা হারাচ্ছেন না। অধিনায়ক মনে করেন, ভুল থেকে শিক্ষা নিয়ে তরুণ খেলোয়াড়েরা ঝলক দেখাবেন ইংল্যান্ডে অনুষ্ঠেয় ২০১৯ বিশ্বকাপে, ‘তরুণদের জন্য এসব টুর্নামেন্ট সহজ নয়। তাদের আরও উন্নতি করতে হবে। হয়তো প্রত্যাশা অনুযায়ী তারা ভালো খেলেনি। তবে ওদের ভালো ভবিষ্যৎ আছে। ২০১৯ বিশ্বকাপে তারা আরও দায়িত্ব নিয়ে খেলতে পারবে। দুই বছর পর আরও পরিণত হবে। এখন উন্নতির সময়। যে পর্যায়ে তারা খেলেছে, এটা যদি গুরুত্বের সঙ্গে নিতে পারে, ২০১৯ বিশ্বকাপে আরও ভালো খেলতে পারবে।’
দলের সবাই অবশ্য একসঙ্গে দেশে ফেরেননি। কদিনের ছুটি কাটাতে মুশফিকুর রহিম, মাহমুদউল্লাহ ও ইমরুল কায়েস থেকে গেছেন ইংল্যান্ডে। বিকেলে পরিবারের সঙ্গে দেশে ফেরার কথা সাকিব আল হাসানের। তবে দলের সবাই আপাতত কদিন ক্রিকেট থেকে দূরে থাকবেন। ঈদের পর শুরু হবে তাঁদের নতুন ব্যস্ততা—আগস্টে দেশের মাঠে অস্ট্রেলিয়ার বিপক্ষে টেস্ট সিরিজ। নতুন চ্যালেঞ্জের হাতছানি সাকিব-তামিমদের সামনে ।