আটকের পর বন্দুকযুদ্ধে নিহত
নিউজ ডেস্ক, এবিসি নিউজ বিডি, ঢাকা: ব্রাহ্মণবাড়িয়ার সরাইলে আটকের তিন ঘণ্টা পর পুলিশের সঙ্গে ‘বন্দুকযুদ্ধে’ সেলিম মিয়া (৩২) নামের এক ব্যক্তি নিহত হয়েছেন। পুলিশের ভাষ্য, সেলিম মিয়া আন্তজেলা ডাকাত দলের সর্দার ছিলেন।
গতকাল রোববার দিবাগত রাত দুইটার দিকে পুলিশের সঙ্গে কথিত বন্ধুকযুদ্ধে সেলিম মিয়া নিহত হন। তাঁর বাড়ি সরাইল উপজেলার সদর ইউনিয়নের শ্রীডোবা গ্রামে। এ ঘটনায় পুলিশের দুই কর্মকর্তা ও তিন কনস্টেবল আহত হয়েছেন।
সরাইল থানার পরিদর্শক (তদন্ত) মো. কামরুজ্জামান জানান, গতকাল রাত ১১টার দিকে সেলিম মিয়ার নেতৃত্বে ১৫-২০ জনের ডাকাত দল সরাইল উপজেলার সদর ইউনিয়নের পশ্চিম কুট্টাপাড়া (শ্রীডোবা) এলাকায় ঢাকা-সিলেট মহাসড়কে ডাকাতির প্রস্তুতি নিচ্ছিল। এ সময় স্থানীয় লোকজন তাদের ধাওয়া করে সেলিম মিয়াকে আটক করে। কিছুক্ষণ পর পুলিশ তাঁকে উদ্ধার করে।
পুলিশ জানায়, সেলিম মিয়াকে সঙ্গে নিয়ে রাত পৌনে দুইটার দিকে সরাইল থানার এক দল পুলিশ উপজেলার বেড়তলা এলাকায় অস্ত্র উদ্ধারের জন্য অভিযানে যাচ্ছিলেন। রাত দুইটার দিকে ২০-২৫ জনের এক দল ডাকাত সেলিম মিয়াকে ছিনিয়ে নিতে পুলিশের ওপর হামলা চালায়। এ সময় পুলিশ ৯টি ও ডাকাত দল ১০-১৫টি গুলি ছোড়ে। ডাকাত দলের ছোড়া গুলিতে সেলিম গুরুতর আহত হন। তাঁকে উদ্ধার করে পুলিশ জেলা সদর হাসপাতালে নিয়ে গেলে কর্তব্যরত চিকিৎসক সেলিম মিয়াকে মৃত ঘোষণা করেন। জেলা সদর হাসপাতাল মর্গে আজ সোমবার দুপুরে সেলিমের ময়নাতদন্ত সম্পন্ন হয়েছে।
পুলিশ ঘটনাস্থল থেকে দুটি পাইপগান, দুটি তাজা কার্তুজ, গুলির আটটি খোসা এবং দুটি ছোরা উদ্ধার করেছে।
সরাইল থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) রূপক কুমার সাহা বলেন, সেলিম মিয়ার বিরুদ্ধে সরাইল থানায় হত্যা ও ডাকাতির অভিযোগে চারটি মামলা রয়েছে। সেলিম আন্তজেলা ডাকাত দলের সর্দার ছিলেন। গতকাল রাতের ঘটনায় আরও দুটি মালার প্রস্তুতি চলছে।