মিল্কীর সন্দেহভাজন খুনি তারেকসহ দুজন ‘ক্রসফায়ারে’ নিহত
বিশেষ প্রতিবেদক, এবিসি নিউজ বিডি, ঢাকাঃ ঢাকা মহানগর আওয়ামী যুবলীগ দক্ষিনের সাংগঠনিক সম্পাদক রিয়াজুল হক খান মিল্কী হত্যাকান্ডে জড়িত সন্দেহভাজন খুনি জাহিদ সিদ্দিক তারেকসহ দুজন র্যাপিড অ্যাকশন ব্যাটালিয়নের (র্যাব) সঙ্গে ‘ক্রসফায়ারে’ নিহত হয়েছেন। ক্রসফায়ারে নিহত অপর জনের নাম শাহ আলম। তিনি হামলাকারী দলের একজন বলে র্যাব জানিয়েছে। জাহিদ সিদ্দিক তারেক ঢাকা মহানগর যুবলীগ দক্ষিণের যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক ছিলেন।
বুধবার রাত ১০টার দিকে রাজধানীর খিলক্ষেত ওভার ব্রিজের কাছে এ ঘটনা ঘটে। র্যাবের গোয়েন্দা শাখার পরিচালক জিয়াউল আহসান এবিসি নিউজ বিডি ডটকমকে বলেন, গুলিবিদ্ধ জাহিদ সিদ্দিক তারেক রাজধানীর উত্তরায় একটি হাসপাতালে চিকিৎসাধীন ছিলেন। তাঁকে গুলশান থানায় হস্তান্তরের জন্য নেওয়া হচ্ছিল। রাত ১০টার দিকে তাঁকে বহনকারী গাড়িটি খিলক্ষেত ওভার ব্রিজের কাছে পৌঁছালে তারেককে ছিনিয়ে নিতে তার সহকর্মীরা র্যাবের উপর হামলা চালায়। এ সময় পালাতে গেলে দুই পক্ষের মধ্যে পড়ে নিহত হন তারেকসহ দুজন।ওভার ব্রিজের কাছে বিমানবন্দর সড়ক লাগোয়া একটি বাগানে লাশ দুটি পাওয়া যায় বলে জানা গেছে। বিমানবন্দর থানার ওসি শামসুদ্দিন ঘটনাস্থলে সাংবাদিকদের বলেন, “দুটি মোটর সাইকেল ও একটি গাড়িতে করে এসে র্যাবের গাড়িতে হামলা চালায় সন্ত্রাসী দল।”
র্যাবের এক কর্মকর্তা বলেন, “হামলাকারীরা প্রথমে তাদের গাড়ির সামনে এসে দাঁড়ায় এবং এরপর ভেতর থেকে গুলি ছোড়া শুরু হয়।”
এতে র্যাবের দুই সদস্য আহত হয়েছেন বলে জিয়াউল আহসান দাবি করেন। র্যাব কর্মকর্তা হাবিবুর রহমান সাংবাদিকদের বলেন, “সন্ত্রাসীদের হামলায় ডিএডি আবুল কালাম আজাদ ও নায়েক আসাদুজ্জামান আহত হয়েছেন। তারা সিএমএইচে চিকিৎসা নিচ্ছেন।”
এর আগে দুপুরে রিয়াজুল হক খান মিল্কী হত্যাকান্ডের সঙ্গে জড়িত থাকার অভিযোগে জাহিদ সিদ্দিকী তারেক ও ঢাকা মহানগর যুবলীগ উত্তর সাংগঠনিক সম্পাদক সাখাওয়াত হোসেন চঞ্চলকে যুবলীগ থেকে বহিস্কার করা হয়। গত সোমবার রাতে গুলশানের শপার্স ওয়ার্ল্ড নামের একটি বিপণিকেন্দ্রের বাইরে মিল্কিকে গুলি করে হত্যা করা হয়। পরে ওই বিপণিকেন্দ্রের গোপন ক্যামেরায় ধারণ করা দৃশ্য দেখে জাহিদ সিদ্দিকী তারেকসহ ছয়জনকে গ্রেপ্তার করে র্যাব।