বেগম জিয়ার অপরাধের ক্ষমা নাই
প্রতিবেদক, এবিসিনিউজবিডি, ঢাকা :
বেগম খালেদা জিয়া প্রতিদিন ইফতার পার্টিতে জেনে শুনে মিথ্যাচার করছেন। ভুলেরও ক্ষমা আছে কিন্তু তার এই অপরাধের ক্ষমা নাই বলে সভাপতির বক্তব্যে সাফ জানিয়ে দিয়েছেন যুবলীগ চেয়ারম্যান মোহাম্মদ ওমর ফারুক চৌধুরী।
২০ জুন (রবিবার) বিকালে রাজধানীর বঙ্গবন্ধু এভিনিউয়ে যুবলীগ কেন্দ্রীয় কমিটির উদ্যোগে অনুষ্ঠিত এক আলোচনা সভা ও ইফতার মাহফিলে যুবলীগ চেয়ারম্যান এসব কথা বলেন ।
এবিষয়ে তিনি আরো বলেন বিএনপি চেয়ারপার্সন বেগম খালেদা জিয়া প্রতিনিয়ত মিথ্যা বলছেন। যখন ধর্মপ্রাণ মুসলমানগণ রোজা রাখার পর ইফতারের জন্য আল্লাহ্ র দরবারে হাত তুলে দোয়া করেন, বেগম খালেদা জিয়া তখনই নানা ধরনের মিথ্যা বলেন।
এসময় বিএনপি মহাসচিবের উপর হামলা প্রশাঙ্গে বলেন- কোন জাতীয় নেতার গায়ে হাত দেওয়ার অধিকার কোন যুবলীগ নেতা-কর্মীর নাই। যদি প্রমান করতে পারে, তাহলে তাদেরকে যুবলীগ থেকে বহিষ্কার করা হবে।
হেফাজত প্রশাঙ্গে যুবলীগ চেয়ারম্যান বলেন, হেফাজতের সাথে কোন সন্ধি হয় নাই। মাওলানাদের শিক্ষার স্বীকৃতি দিয়েছেন রাষ্ট্রনায়ক শেখ হাসিনা। এদেশের মাওলানারা কেন এস.পি, ডি.সি বা বড় অফিসার হতে পারবে না। কওমী মাদ্রাসার শিক্ষার্থীদের মূলধারায় নিয়ে এসে তাদের সরকারি চাকুরীর সুযোগ করে দিয়েছেন রাষ্ট্রনায়ক শেখ হাসিনা।
অনুষ্ঠানে প্রধান আকর্ষণ ছিলেন আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক, সড়ক পরিবহন ও সেতু মন্ত্রী ওবায়দুল কাদের এমপি। প্রধান অতিথি বক্তব্যে তিনি বলেন- বিভিন্ন সংস্থার জরিপে আওয়ামী লীগের মনোনয়ন প্রত্যাশি যারা জনগনের কাছে গ্রহনযোগ্য নয় তারা মনোনয়ন পাবে না।
তিনি এও বলেন, ঐসকল সংস্থার জরিপে যারা জনগনের কাছে গ্রহন যোগ্য নয়, উইনেবল প্রার্থী না তারা আওয়ামী লীগের মনোনয়ন পাবে না। আর যারা উইনেবল প্রার্থী তরাই মনোনয়ন পাবে।
ঈদকে সামনে রেখে যুবলীগের নেতাকর্মীদের উদ্দেশ্যে মন্ত্রী বলেন, ঈদের আর মাত্র ৪-৫ দিন বাকি। ঈদকে সামনে রেখে যুবলীগের তরুন ভাইদের অনুরুধ করবো, ঘরমুখো মানুষ যাতে স্বস্থিতে বাড়ি যেতে পারে সে জন্য সহযোগীতা করার জন্য, প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার পক্ষ থেকে আমি আপনাদের কাছে এই আহ্বান জানাচ্ছি।
যুবলীগ চেয়ারম্যান মোহাম্মদ ওমর ফারুক চৌধুরী’র সভাপতিত্বে ও সাধারণ সম্পাদক মো. হারুনুর রশীদ’র সঞ্চালনায় ইফতার ও আলোচনা সভায় বক্তব্য রাখেন, জগন্নাথ বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্য অধ্যাপক মীজানুর রহমান, যুবলীগ প্রেসিডিয়াম সদস্য শহীদ সেরনিয়াবাত, মজিবুর রহমান চৌধুরী, মোঃ ফারুক হোসেন, মাহবুবুর রহমান হিরন, আব্দুস সাত্তার মাসুদ, মোঃ আতাউর রহমান, এডভোকেট বেলাল হোসাইন, অধ্যাপক এবিএম আমজাদ হোসেন, মোঃ আনোয়ারুল ইসলাম, আবুল বাশার, যুগ্ম সম্পাদক মহি উদ্দিন আহাম্মেদ মহি, সাংগঠনিক সম্পাদক আসাদুল হক আসাদ, সম্পাদক মন্ডলির সদস্য কাজী আনিসুর রহমান, মিজানুল ইসলাম মিজু, সুভাষ চন্দ্র হাওলাদার, আনোয়ার হোসেন, শ্যামল কুমার রায়, জসিম উদ্দিন, মিল্লাত হোসেন, কার্যনির্বাহী সদস্য রওশন জামির রানা, এনআই আহমেদ সৈকত, কেন্দ্রীয় কমিটি সদস্য মনিরুল ইসলাম হাওলাদার, রেকায়েত আলী খান নিয়ন, সামসুল আরেফীন নাঈম, নয়া মিয়া নয়ন, ঢাকা মহানগর উত্তর সভাপতি মাঈনুল হোসেন খান নিখিল, ঢাকা মহানগর দক্ষিন সভাপতি ইসমাইল চৌধুরী সম্রাট, ঢাকা মহানগর উত্তর সাধারন সম্পাদক মো. ইসমাইল হোসেন, ঢাকা মহানগর দক্ষিণ ভারপ্রাপ্ত সাধারন সম্পাদক রেজাউল করিম রেজা প্রমুখ।