নিয়ম ভেঙে আবাসিক প্লটে ৫০ হোটেল

নগর পরিকল্পনাবিদ ও বিশেষজ্ঞরা বলেছেন, আবাসিক প্লটের চেয়ে বাণিজ্যিক প্লটের দাম পাঁচ গুণ বেশি। তাই মূলত রাজস্ব ফাঁকি দেওয়ার উদ্দেশ্যে আবাসিক প্লটের বাণিজ্যিক ব্যবহারের জন্য ভবনের এমন শ্রেণি পরিবর্তন করা হয়েছে। প্রতিষ্ঠানগুলো বছরের পর বছর শ্রেণিবিন্যাস লঙ্ঘন করে চললেও এগুলোর বিরুদ্ধে রাজউক ব্যবস্থা নেয় না। কর্তৃপক্ষ কঠোর না হলে এসব কর্মকাণ্ড বন্ধ হবে না।

গত ডিসেম্বরে রাজউক এই তালিকা প্রস্তুত করে। রাজস্ব আয় বাড়াতে এটি করা হয় বলে রাজউক সূত্র জানায়।

গত রোববার রাজউকের চেয়ারম্যান (সদ্য বিদায়ী) বজলুল করিম চৌধুরী বলেন, কিছু ক্ষেত্রে ব্যবস্থা নেওয়া হলেও আদালতের স্থগিতাদেশের কারণে পদক্ষেপগুলো আটকে আছে। কোনো কোনো হোটেল থেকে বলা হচ্ছে, রাজউক বাণিজ্যিক ব্যবহারের অনুমতি দিয়েছে বা দিচ্ছে, এটাও সত্য নয়। তিনি বলেন, ‘এসব হোটেলের বিরুদ্ধে পর্যায়ক্রমে অভিযান চালানো হবে। নির্দিষ্ট কোনো আদালতে দ্রুততম সময়ে যাতে শুনানি করা যায়, আমরা সেই চেষ্টাও করছি।’

অনুসন্ধানে জানা গেছে, ওই ৫০টি হোটেলের মালিকের তালিকায় রাজনৈতিক নেতা, সাংসদের ছেলেমেয়ে, শিল্পপতি ও ব্যবসায়ী রয়েছেন। এর মধ্যে অভিজাত এলাকা গুলশানে ৩৩টি ও বনানীতে ১৭টি হোটেল রয়েছে। তা ছাড়া এ দুটি এলাকায় ভবনের শ্রেণি পরিবর্তন করে ৩৩২টি রেস্তোরাঁও পরিচালিত হচ্ছে।

গুলশান-বনানী এলাকায় রাজউকের অথরাইজড কর্মকর্তা আদিলুজ্জামান বলেন, ওই ৫০টি হোটেলের অবস্থান আবাসিক প্লটে। আবাসিক ভবন হিসেবে নকশাও অনুমোদন করা হয়েছে, কিন্তু চলছে হোটেলের মতো বাণিজ্যিক কার্যক্রম। অনুমোদনের শর্ত লঙ্ঘন করে এগুলো নির্মিত হয়েছে, যা সম্পূর্ণ অবৈধ। এসব কারণে প্লটের বরাদ্দ তাৎক্ষণিকভাবে বাতিল করার এখতিয়ার রাজউকের রয়েছে।

খোঁজ নিয়ে জানা যায়, এসব হোটেলে প্রধানত বিদেশি অতিথিরাই বেশি থাকেন। রাজধানীতে বিদেশি অতিথির তুলনায় তারকা মানের হোটেল কম থাকায় অনেকেই অভিজাত এলাকার এসব হোটেল বেছে নেন।

এ বিষয়ে বাংলাদেশ হোটেল অ্যান্ড গেস্টহাউস ওনার্স অ্যাসোসিয়েশনের সভাপতি সাইফ আহমেদ বলেন, ‘ভারতসহ পৃথিবীর অনেক দেশেই আবাসিক এলাকায় ২৯ কক্ষবিশিষ্ট গেস্টহাউস রয়েছে। আমাদের দেশেও গেস্টহাউস থাকা উচিত। তবে রেস্তোরাঁর বিষয়ে কিছু বলার নেই।’

আবাসিক অনুমোদনে বাণিজ্যিক কর্মকাণ্ড

বনানী ২৭ নম্বর সড়কের ৪৯ নম্বর প্লটে আলোচিত ১৪ তলা রেইনট্রি হোটেলের অবস্থান। এখানে গত ২৮ মার্চ বিশ্ববিদ্যালয়ের দুজন ছাত্রীকে ধর্ষণের অভিযোগ ওঠে। আবাসিক হিসেবে ওই প্লটের বরাদ্দ। ঝালকাঠির সাংসদ বি এইচ হারুনের ছেলে শাহ মোহাম্মদ নাহিন হারুন এই হোটেলের ব্যবস্থাপনা পরিচালক। পরিচালক হিসেবে তাঁর স্ত্রী, তিন ছেলে ও এক মেয়ের নাম রয়েছে।

সাংসদ হারুন বলেন, হোটেলটি বাণিজ্যিক করার জন্য তাঁরা আবেদন করেছেন।

রাজউকের চেয়ারম্যান অবশ্য বলেছেন, এখানে বাণিজ্যিক অনুমোদন দেওয়ার সুযোগ নেই।

বাংলাদেশ হোটেল অ্যান্ড গেস্টহাউস ওনার্স অ্যাসোসিয়েশনের সভাপতি সাইফ আহমেদ বলেন, রেইনট্রি হোটেল তাঁদের অ্যাসোসিয়েশনের সঙ্গে যুক্ত নয়।

গুলশানে ৫৪-এ সড়কের ৫ নম্বর প্লটে রয়েছে ‘ম্যারিয়ট গেস্টহাউস’। এর মালিক আওয়ামী লীগের সাবেক সাংসদ এইচ বি এম ইকবাল। তিনি বলেন, তাঁর গেস্টহাউসটি বাণিজ্যিক এলাকায় পড়েছে। ভবনও বাণিজ্যিক। তাহলে রাজউকের আপত্তির তালিকায় এর নাম রয়েছে কেন—এই প্রশ্নের জবাবে তিনি কোনো মন্তব্য করেননি।

গুলশানের ৩৫ নম্বর সড়কের ১৬/বি প্লটে ছয়তলা ভবনে রয়েছে ‘ফোর পয়েন্টস বাই শেরাটন’। এর মালিক তানভীর আলম সিদ্দিকী। বিদেশে থাকায় গত রোববার কথা বলার জন্য তাঁকে পাওয়া যায়নি।

একই এলাকায় ৩৫-এ সড়কের ৩১-এ প্লটে লেকের পাড়ে রয়েছে ছয়তলা ‘গোল্ডেন ডিয়ার লিমিটেড’। গেস্টহাউস হিসেবে পরিচালিত এই হোটেলের মালিক ওবায়েদ উল্লাহ মিয়া। তিনি বলেন, এটা সেই অর্থে হোটেল নয়, আবাসিক কাজেই ব্যবহৃত হয়। মাঝেমধ্যে কোনো কোনো গেস্ট আসেন।

গুলশান ১০৪ নম্বর সড়কের ৪/জি প্লটটি আবাসিক হিসেবে বরাদ্দ পাওয়া। ১৪ তলা ভবনটির নকশা আবাসিক হিসেবে অনুমোদিত। কিন্তু পুরো ভবন ‘লংবিচ’ নামের আবাসিক হোটেল হিসেবে পরিচালনা করা হচ্ছে। ভবনটি ভাড়া নিয়ে হোটেল করেছেন শিল্পপতি শরীফুল আলম।

গত শনিবার হোটেলে গিয়ে এর মালিককে পাওয়া যায়নি। তাঁর মুঠোফোন নম্বর দিতেও রাজি হননি উপস্থিত কর্মকর্তারা। দায়িত্বরত একজন কর্মকর্তা বলেন, ভবনটিতে বাণিজ্যিক কার্যক্রম চালানো যাবে না, এমন কোনো নিষেধাজ্ঞার কথা তাঁরা জানেন না।

একই এলাকার ৪১ নম্বর সড়কের ৪৭ নম্বর প্লটে নির্মিত ১৫ তলা ভবনটি এখন আবাসিক হোটেল ‘আমারি ঢাকা’। চার তারকা এই হোটেলের ব্যবস্থাপক নূরুল ইসলাম বলেন, রাজউকের লোকজন মাঝেমধ্যে আসেন। তবে তাঁরা আশা করছেন, ভবনটি নিয়ে সমস্যা শিগগিরই কেটে যাবে।

একই সড়কের ৪৬ নম্বর প্লটে রয়েছে আবাসিক হোটেল ‘লেকশোর’। চার তারকা এই হোটেলের অন্যতম মালিক কাজী শামসুল হক।

আবাসিক ভবনে বাণিজ্যিক ব্যবহার সম্পর্কে হোটেলের নির্বাহী পরিচালক আতিকুর রহমান বলেন, আবাসিক বরাদ্দ হলেও তাঁদের প্লট এবং ভবনটি বাণিজ্যিক করার বিষয়টি প্রক্রিয়াধীন রয়েছে।

গুলশান ২-এর ৯৬ নম্বর সড়কের ১৯ নম্বর প্লটে ২০১৩ সালে চালু হয় হোটেল ‘সিক্স সিজনস’। পাঁচ তারকা এই হোটেলের প্লট ও ভবন দুটিরই বরাদ্দ আবাসিক শ্রেণিতে। হোটেলের মালিক শিল্পপতি কাজী আশফাক শামছ বর্তমানে বিদেশে অবস্থান করছেন বলে হোটেল থেকে জানানো হয়।

গুলশানের ২৩ নম্বর সড়কের ১-বি প্লটে রয়েছে ৯ তলার আবাসিক হোটেল ‘গ্র্যান্ড ওরিয়েন্টাল’। চার তারকা এই হোটেলের মহাব্যবস্থাপক আসিফ মাহমুদ বলেন, তাঁদের মালিক জুবায়ের রহমান দেশের বাইরে। বাণিজ্যিক ব্যবহার সম্পর্কে প্রশ্ন করলে তিনি বলেন, ভবনটি আবাসিক। তবে হোটেলের বিষয়ে রাজউকের কার্যক্রমের বিরুদ্ধে আদালতের স্থগিতাদেশ নেওয়া আছে।

এ ছাড়া গুলশানের ২২ নম্বর সড়কের ২ নম্বর প্লটে ‘লাউঞ্জ কমিডা’, ২৩ নম্বর প্লটে হোটেল ‘রাফ্‌ফে সিয়া’। এ দুটি হোটেলের অন্যতম মালিক রিহ্যাবের সাবেক সভাপতি তানভীরুল হক প্রবাল। যোগাযোগ করা হলে অ্যাপার্টমেন্ট সার্ভিস হিসেবে তারা এ দুটি ভবনকে ব্যবহার করছেন। বিদেশে এভাবে আবাসিক এলাকায় ভাড়ার মাধ্যমে অতিথি রাখার প্রচলন আছে।

সেন্টার ফর আরবান স্টাডিজের চেয়ারম্যান নগর পরিকল্পনাবিদ নজরুল ইসলাম বলেন, এটা একেবারেই সত্য কথা যে সুশাসনের অভাবেই এগুলো হচ্ছে। সুশাসন না থাকলে হাজার রকমের অনিয়ম হয়। এগুলো ধরা পড়ে তখনই, যখন হোটেল রেইনট্রির ঘটনার মতো দু-একটি অঘটন ঘটে। বোঝা যায়, কী অনিয়মের মধ্যে শহরের কর্মকাণ্ড চলছে।

তালিকায় থাকা বাকি ৩৯ হোটেল

ভবনের শ্রেণিকরণ লংঘন করে কর্মকাণ্ড পরিচালনাকারী আরও যে ৩৯টি হোটেলকে রাজউক চিহ্নিত করেছে সেগুলো হলো:

গুলশান ২৩/এ নম্বর সড়কের ১০ নম্বর প্লটে রয়েছে ‘বেঙ্গল ইন’ এবং ১৬/এ সড়কের প্লট ৮-এ ১০ তলা ‘ক্যানারি পার্ক’। এ দুটির অন্যতম মালিক এনামুল হক ট্রাভেল ব্যবসায় জড়িত ছিলেন। ৭ নম্বর সড়কের ১এ/২-এ ‘হলিডে ভিলা’ হোটেলের অন্যতম মালিক হাকিম আলী। তিনি চট্টগ্রামের হোটেল আগ্রাবাদের মালিক। ৬৮-এ সড়কের ১২ নম্বর প্লটে ‘অ্যারিস্টোক্র্যাট ইন’-এর মালিক শরাফত আলী একজন ব্যবসায়ী। ২৩-এ সড়কের ৫ নম্বর প্লটে ‘দ্য ক্রিস্টাল ক্রাউন’-এর মালিক মো. আলম, ৯ নম্বর প্লটে ‘রিংস ইন’-এর মালিক ন্যাশনাল ক্রেডিট অ্যান্ড কমার্স ব্যাংক লিমিটেডের সাবেক চেয়ারম্যান প্রয়াত দীন মোহাম্মদ রানার, ২৪ নম্বর সড়কের ৪ নম্বর প্লটে ‘ইস্টার্ন হাউস’-এর মালিক মো. মোস্তফা ইস্টার্ন ফেব্রিকসের অন্যতম মালিক, ৩১-বি প্লটে ‘ট্রপিক্যাল ডেইজি’-এর মালিক ফরিদ আহমেদ, গার্মেন্টস ব্যবসায়ী। ৪২ নম্বর সড়কের ১৫ নম্বর প্লটে হোটেল ‘লেক ব্রিজ’-এর মালিক ডিগনিটি গ্রুপের সাবেক চেয়ারম্যান মাইনুদ্দিন হোসেন। ব্যবস্থাপনার দায়িত্ব দেওয়া হয়েছে চীনা নাগরিক মি. চেনকে।

এ ছাড়া গুলশানের ৫০ নম্বর সড়কের ৬ নম্বর প্লটে হোটেল ‘কোয়ালিটি ইন’ রয়েছে এই তালিকায়। গুলশান ২ অ্যাভিনিউয়ের ১৫৫/এ প্লটে ‘এক্সিকিউটিভ ইন’-এর মালিক জিয়াউর রহমান হোটেল ব্যবসায় জড়িত। তালিকায় আছে ৫৭ নম্বর সড়কের ১৪-বি প্লটে হোটেল ‘স্পেস’, ৬৮/এ সড়কের ১ ও ৩ নম্বর প্লটে ‘লেক ককটেল-১’ ও ‘লেক ককটেল-২’।

ালিকায় থাকা গুলশানের ৭১ নম্বর সড়কের ৯/ডি নম্বর প্লটে ‘ইমানুয়েলস ইন’-এর মালিক ম্যানুয়েল গোমেজ হোটেল ব্যবসায় জড়িত। ৪৩ নম্বর সড়কের ১৬ নম্বর প্লটে ‘হোটেল লেক ভিউ প্লাজা’-এর মালিক মুক্তার হোসেন হোটেল ব্যবসায় জড়িত। ৬২ নম্বর সড়কের প্লট ১০-এ ‘লো শাতোয়াল’ও আছে রাজউকের এ তালিকায়। গুলশানের সড়ক ৯০, প্লট ১-এ ‘বেঙ্গল ব্লুবেরি হোটেল’-এর মালিক মোস্তাফিজুর রহমান জনশক্তি রপ্তানি ব্যবসায় জড়িত ছিলেন বলে হোটেল থেকে জানানো হয়। ১১৩ নম্বর সড়কের প্লট ২৩-বিতে আছে ‘হলিডে প্লানেট’।১১৭ নম্বর সড়কের প্লট ৩৬-এ ‘সেঞ্চুরি পার্ক’-এর অন্যতম মালিক লায়েক আলী মাহমুদ গ্রুপের ব্যবস্থাপনা পরিচালক। এ ছাড়া তালিকায় আছে ১১৮ সড়কের ১৫-বি প্লটে ‘সেলুরা গোল্ডেন পিস’ ও ১৩০ নম্বর সড়কের ৬২ নম্বর প্লটে ‘হোটেল মিড টাউন’।

বনানীর জে ব্লকের ১৮ নম্বর সড়কের ৪৬ নম্বর প্লটে ‘মেরিনো হোটেল’ -এর মালিক কামাল হোসেন বিদেশে ছিলেন, পরে রেন্ট-এ-কার ও হোটেল ব্যবসার সঙ্গে জড়িত হন। বনানীর ১৮ নম্বর সড়কের ৫৪ নম্বর প্লটে ‘লরেল হোটেল’-এর মালিক ও ব্যবস্থাপনা পরিচালক সিরাজ উদ্দিন সরকার। হোটেল ব্যবসা ছাড়াও গাজীপুরে তাঁর শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান রয়েছে। আবাসিক পরিচালক আবদুল মতিন বলেন, আবাসিক এলাকায় হোটেল করায় রাজউক থেকে নোটিশও পাঠানো হয়।

বনানীর এ ব্লকের ২৫-এ সড়কের ৮৫ নম্বর প্লটে হোটেল ‘রয়েল পার্ক’ও আছে রাজউকের তালিকায়। এর মালিক শ্রীলঙ্কার ব্যবসায়ী বব কুন্ডুল মাল, অ্যাপোলো হাসপাতালের মালিকানায় যুক্ত। জে ব্লকের ২৭ নম্বর সড়কের ১৪ নম্বর প্লটে ‘ইস্টার্ন রেসিডেন্স’-এর মালিক খাইরুল আলম শিপিং ব্যবসায় জড়িত।

এ ছাড়া রয়েছে বনানীর এফ ব্লকের ১ নম্বর সড়কের ৫২ নম্বর প্লটে ১৫ তলা আবাসিক হোটেল ‘প্লাটিনাম গ্র্যান্ড’।কে ব্লকের ২৪ নম্বর সড়কের ৩ নম্বর প্লটে হোটেল ‘ঢাকা গার্ডেন ইন’-এর অন্যতম মালিক আবুল হোসেন। তিনি হোটেল ব্যবসায় জড়িত। ই ব্লকে ১৩-এ নম্বর সড়কের ৯০ নম্বর প্লটে ‘অরচার্ড সুইটস অ্যান্ড হোটেল’-এর মালিক মেজর (অব.) মাহফুজুর রহমান। ই ব্লকের ৮ নম্বর সড়কের ১১১ নম্বর প্লটে ‘রেবিয়াল প্যালেস’ হোটেলও আছে তালিকায়। ১৫ নম্বর সড়কের ৬২ নম্বর প্লটে ‘হোটেল সুইচ গার্ডেন’-এর অন্যতম মালিক ফজলুর রহমান হোটেল ব্যবসায় জড়িত।

বনানীর ১৭ নম্বর সড়কের ৫৯ নম্বর প্লটে ‘নরডিক হোটেল’-এর মালিক মেহেদী হাসান হোটেল ব্যবসার সঙ্গে জড়িত। এ ব্লকের ৬২ নম্বর প্লটে ‘সিউল গেস্টহাউস’, মালিক মি. চয় নামের একজন কোরিয়ান।

এ ছাড়া ২৩ নম্বর সড়কের ১০ নম্বর প্লটে ‘রক হোটেল’, ২৫ নম্বর প্লটে ‘টুরকিজ বাজার হোটেল’, ডি ব্লকের ১৫ নম্বর সড়কের প্লট ৬৫-এ ‘বকুল ভিলা’, ২৭ নম্বর সড়কের ১৪ নম্বরে ‘আবাসিক হোটেল’ আছে রাজউকের তৈরি করা তালিকায়।

Leave a Reply

Facebook
ব্রেকিং নিউজ