ধুনটে বালিশচাপা দিয়ে গৃহবধূকে হত্যার অভিযোগ
নিউজ ডেস্ক, এবিসি নিউজ বিডি, ঢাকা: বগুড়ার ধুনট উপজেলায় আঙ্গুরি খাতুন (৪০) নামের এক গৃহবধূকে তাঁর স্বামী বালিশচাপা দিয়ে হত্যা করেছেন বলে অভিযোগ পাওয়া গেছে। নিহত গৃহবধূর পরিবারের অভিযোগ, তালাক দেওয়া স্ত্রীর সঙ্গে পরকীয়ায় বাধা দেওয়ায় বৃহস্পতিবার রাতে তাঁকে হত্যা করা হয়। আজ শুক্রবার দুপুরে পুলিশ নিহত গৃহবধূর মৃতদেহ উদ্ধার করে ময়নাতদন্তের জন্য বগুড়ার শহীদ জিয়াউর রহমান মেডিকেল কলেজ হাসপাতালের মর্গে পাঠিয়েছে।
পুলিশ ও নিহত নারীর পারিবারিক সূত্রে জানা যায়, উপজেলার পারনাটাবাড়ি গ্রামের মহির উদ্দিনের ছেলে আবদুল মজিদ তাঁর প্রথম স্ত্রীকে তালাক দিয়ে প্রায় ২০ বছর আগে একই গ্রামের আবুল হোসেনের মেয়ে আঙ্গুরি খাতুনকে বিয়ে করেন। তাঁদের এক মেয়ে ও এক ছেলে আছে। এ অবস্থায় ছয়-সাত বছর ধরে তালাক দেওয়া প্রথম স্ত্রীর সঙ্গে আবদুল মজিদের পরকীয়া সম্পর্ক গড়ে ওঠে। বিষয়টি নিয়ে স্বামী-স্ত্রীর মধ্যে ঝগড়া-বিবাদ চলছিল। তালাকপ্রাপ্ত স্ত্রী ঈদের ছুটিতে বাড়ি এলে মজিদ গোপনে তাঁর সঙ্গে দেখা করতে যান। এ নিয়ে গতকাল বৃহস্পতিবার রাত ১১টার দিকে ঝগড়া-বিবাদের একপর্যায়ে মজিদ তাঁর স্ত্রী আঙ্গুরি খাতুনকে বালিশচাপা দিয়ে হত্যা করেছেন বলে নিহত নারীর পরিবারের পক্ষ থেকে অভিযোগ করা হয়েছে।
ঘটনার পর স্ত্রীর লাশ ঘরের মেঝেতে ফেলে রেখে পালিয়ে গেছেন মজিদ। খবর পেয়ে আজ শুক্রবার দুপুরে পুলিশ নিহত নারীর মৃতদেহ তাঁর স্বামীর ঘর থেকে উদ্ধার করে ময়নাতদন্তের জন্য বগুড়া শহীদ জিয়াউর রহমান মেডিকেল কলেজ হাসপাতালের মর্গে পাঠিয়েছে।
নিহত আঙ্গুরি বেগমের ছোট ভাই রফিকুল ইসলাম বলেন, ‘তালাকপ্রাপ্ত স্ত্রীর সঙ্গে যোগাযোগে বাধা দেওয়ায় আবদুল মজিদ আমার বোনকে এর আগেও অনেকবার নির্যাতন করেছেন। এ নিয়ে গ্রাম্য মাতবরদের মাধ্যমে কয়েক দফা সালিস-বৈঠক হয়েছে। সালিসে আমার বোনকে কোনো দিন নির্যাতন করবে না বলে মুচলেকা দিয়েছিলেন মজিদ। কিন্তু এবার আমার বোনকে বালিশচাপা দিয়ে হত্যা করা হয়েছে।’
ঘটনার পর থেকে আবদুল মজিদ পলাতক থাকায় তাঁর সঙ্গে কথা বলা যায়নি।
ধুনট থানার পরিদর্শক (তদন্ত) ফারুকুল ইসলাম বলেন, নিহত গৃহবধূর পরিবারের পক্ষ থেকে হত্যার ঘটনায় স্বামীর বিরুদ্ধে অভিযোগ থাকায় লাশ উদ্ধার করে ময়নাতদন্তের জন্য মর্গে পাঠানো হয়েছে। নিহত নারীর শরীরে আঘাতের কোনো চিহ্ন ছিল না। তাই প্রাথমিক তদন্তে মৃত্যুর ঘটনাটি রহস্যজনক বলে মনে হয়েছে। ময়নাতদন্ত প্রতিবেদন পেলে সে অনুযায়ী ব্যবস্থা নেওয়া হবে।