বিশ্বজিৎ হত্যামামলায় সাক্ষী বৈরী
আদালত রিপোর্টার, এবিসি নিউজ বিডি, ঢাকাঃ বহুল আলোচিত বিশ্বজিৎ দাস হত্যামামলায় এক সাক্ষীর তদন্ত কর্মকর্তাকে দেয়া বক্তব্যের সঙ্গে সাক্ষ্যের অমিল থাকায় তাকে বৈরী ঘোষণা করেছে রাষ্ট্রপক্ষ।
বুধবার ঢাকার দ্রুত বিচার ট্রাইব্যুনাল- ৪ এ সাক্ষ্য দেন মামলায় রাষ্ট্রপক্ষের পঞ্চম সাক্ষী ভিক্টোরিয়া পার্কের পাশের পেট্রোল পাম্পের কর্মচারী মো. বাবর ওরফে বাবু।
আট মাস আগে ভিক্টোরিয়া পার্কের সামনেই কুপিয়ে ও পিটিয়ে হত্যা করা হয় দরজি দোকানি বিশ্বজিৎকে। ওই হত্যামামলার আসামিদের সবাই জগন্নাথ বিশ্ববিদ্যালয় ছাত্রলীগের কর্মী।
বিচারক এ বি এম নিজামুল হকের আদালতে সাক্ষী বাবর বলেন, তিনি ঘটনার দিন পেট্রোল পাম্পে আসেননি। ফলে তিনি ঘটনার সময় উপস্থিত ছিলেন না এবং আসামিদেরও বিশ্বজিৎকে কুপিয়ে মারার দৃশ্য দেখেননি।
অথচ মামলার তদন্ত কর্মকর্তার কাছে দেয়া ১৬১ ধারার জবানবন্দিতে বাবর প্রত্যক্ষদর্শী হিসেবে ঘটনার বিস্তারিত বর্ণনা দিয়েছিলেন।
সাক্ষ্যে ঘটনা ‘দেখেননি’ বলার পরপরই বাবরকে বৈরী ঘোষণা করে তাকে জেরা করেন রাষ্ট্রপক্ষের কৌঁসুলি পিপি রফিকুল ইসলাম।
জেরার পর বিচারক আগামী ৪ অগাস্ট পরবর্তী সাক্ষ্যগ্রহণের দিন ঠিক করেছেন। এই মামলায় মোট ৬০ জনকে সাক্ষী করা হয়েছে।
সাক্ষ্য গ্রহণের সময় আদালতে হাজির করা হয় গ্রেপ্তার আট আসামিকে।
এই মামলায় এর আগে বাদি সূত্রাপুর থানার উপ-পরিদর্শক মো. জালাল উদ্দিন, লক্ষ্মীবাজারের অতিথি টেইলার্সের কর্মচারী সুমন খান, ভিক্টোরিয়া পার্কের উত্তর পাশের পেট্রোল পাম্পের কর্মচারী মো. সালেক, অতিথি টেইলার্সের কাটিং মাস্টার আব্দুল জব্বার রাষ্ট্রপক্ষে সাক্ষ্য দেন।
গত বছরের ৯ ডিসেম্বর বিরোধী দলের অবরোধ কর্মসূচির মধ্যে ভিক্টেরিয়া পার্কের (বাহাদুর শাহ পার্ক) সামনে খুন হন বিশ্বজিৎ।ওই সময় ব্যাপক আলোচিত এই ঘটনার মামলায় গত ৫ মার্চ যে ২১ জনের বিরুদ্ধে পুলিশ অভিযোগপত্র দেয়।
পুলিশের দেয়া অভিযোগপত্র গ্রহণ করে গত ২৬ মে ২১ আসামির বিরুদ্ধে অভিযোগ গঠনের পর বিচার শুরুর আদেশ দেয় আদালত।
মামলাটি এর আগে ঢাকার মহানগর দায়রা জজ মো. জহুরুল হকের আদালতে ছিল। সেখানেই গত ২৬ মে ২১ আসামির বিরুদ্ধে অভিযোগ গঠন হয়।
দ্রুত বিচার ট্রাইব্যুনালে যাচ্ছে- একথা জানিয়ে রাষ্ট্রপক্ষের সময় আবেদনের কারণে মামলার সাক্ষ্যগ্রহণ বার বার পিছিয়ে যায়।
পরে মামলা বদলির বিষয়ে গত ৩০ জুন স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের আইন শাখার গেজেট বিজ্ঞপ্তি হাতে আসে দ্রুত বিচার ট্রাইবুনালে।
দ্রুত বিচার ট্রাইব্যুনালে মামলার বিচারকাজ ১৩৫ কার্যদিবসের মধ্যে শেষ করার বিধান রয়েছে।