সরকারের হৃৎকম্পন শুরু হয়েছে: আমীর খসরু
নিউজ ডেস্ক, এবিসি নিউজ বিডি, ঢাকা: আগামী সংসদ নির্বাচনে বিএনপি অংশগ্রহণ করবে শুনে সরকারের মধ্যে হৃৎকম্পন শুরু হয়েছে বলে দাবি করেছেন বিএনপির জাতীয় স্থায়ী কমিটির সদস্য আমীর খসরু মাহমুদ চৌধুরী। তিনি বলেন, সরকারের অন্যায়, অপকর্ম, কুকীর্তির কথা প্রতিটি জনগণ জানে। এ জন্য তাদের আর জনগণের কাছে ফিরে যাওয়ার সুযোগ নেই বলেও দাবি তাঁর।
বিএনপির এই নেতা আরও বলেন, খালেদা জিয়া বিদেশ থেকে ফেরার পর নির্বাচনকালীন সহায়ক সরকারের রূপরেখা তুলে ধরবেন। দেশে আন্দোলন চলমান রয়েছে দাবি করে তিনি বলেন, প্রতিটি গুরুত্বপূর্ণ ইস্যুতে একটি করে প্রস্তাব দিয়ে বিএনপি জনগণকে সেই আন্দোলনে সম্পৃক্ত করেছে। ভবিষ্যতে কেউ প্রহসন ও ষড়যন্ত্রের মাধ্যমে ক্ষমতায় যাওয়ার চেষ্টা করলে জনগণই সে অপচেষ্টা প্রতিহত করবে।
খুলনা মহানগর বিএনপির উদ্যোগে আয়োজিত সদস্য সংগ্রহ ও নবায়ন কর্মসূচির উদ্বোধনী অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথির বক্তৃতায় আমীর খসরু এসব কথা বলেন। আজ শনিবার সকালে খুলনা নগরের একটি হোটেলে ওই অনুষ্ঠানের আয়োজন করা হয়।
খালেদা জিয়া ১ জুলাই থেকে সদস্য সংগ্রহ ও নবায়ন কার্যক্রম উদ্বোধন করলেও ঢাকার বাইরে খুলনাতে প্রথম আনুষ্ঠানিকভাবে এই কার্যক্রমের উদ্বোধন করা হলো। বিএনপির রাজনীতিতে খুলনাকে মডেল অভিহিত করে আমীর খসরু বলেন, কর্মীরা সুশৃঙ্খল ও সুসংগঠিত হলে তা দলের জন্য মঙ্গল, তেমনি দেশ পরিচালনায় সহায়ক।
বিএনপির সদস্য সংগ্রহ অভিযান চলমান আন্দোলনের অংশ উল্লেখ করে তিনি বলেন, শুধু আন্দোলনের মাধ্যমে ক্ষমতার পটপরিবর্তন নয়, ভবিষ্যতে বিএনপি কীভাবে রাষ্ট্র পরিচালনা করবে, তার দিকনির্দেশনা দেওয়া হয়েছে ভিশন-২০৩০-এর মাধ্যমে। তিনি দলীয় কর্মীদের প্রতি এই বার্তা সাধারণ মানুষের দোরগোড়ায় পৌঁছে দেওয়ার আহ্বান জানান।
একই অনুষ্ঠানে প্রধান বক্তা হিসেবে বক্তৃতা করেন বিএনপির কেন্দ্রীয় ভাইস চেয়ারম্যান শামসুজ্জামান দুদু। তিনি বলেন, ২০১৮ বা ২০১৯ যে বছরই নির্বাচন হোক, বিএনপি ও ২০ দল ওই নির্বাচনে যাবে। তবে ওই নির্বাচন হবে সহায়ক সরকারের অধীনে।
সভার সভাপতিত্ব করেন বিএনপির কেন্দ্রীয় সাংগঠনিক সম্পাদক ও খুলনা মহানগর সভাপতি নজরুল ইসলাম মঞ্জু। তিনি বলেন, ১০ জুলাই থেকে প্রতিদিন দুটি ওয়ার্ডে কর্মিসভার মাধ্যমে সদস্য সংগ্রহ অভিযান শুরু হবে।
অনুষ্ঠানে স্বাগত বক্তব্য দেন নগর বিএনপির সাধারণ সম্পাদক ও খুলনা সিটি করপোরেশনের (কেসিসি) মেয়র মোহাম্মদ মনিরুজ্জামান। অন্যদের মধ্যে উপস্থিত ছিলেন বিএনপির খুলনা বিভাগীয় সহসাংগঠনিক সম্পাদক অনিন্দ্য ইসলাম, খুলনা জেলার সভাপতি এস এম শফিকুল আলম, নগর বিএনপির জ্যেষ্ঠ সহসভাপতি সাহারুজ্জামান মোর্ত্তজা প্রমুখ।