মেয়রের পদে ফিরতে মান্নানের রিট
নিউজ ডেস্ক, এবিসি নিউজ বিডি, ঢাকা: মেয়র হিসেবে পদে ফিরতে হাইকোর্টে রিট করেছেন গাজীপুর সিটি করপোরেশনের বরখাস্তকৃত মেয়র এম এ মান্নান। তৃতীয় দফায় সাময়িক বরখাস্তের আদেশের বৈধতা চ্যালেঞ্জ করে আজ রোববার রিট আবেদনটি করা হয়।
মেয়র মান্নানের আবেদনের ওপর আজ দুপুরে শুনানি হবে বলে জানিয়েছেন তাঁর আইনজীবী মো. আবু হানিফ। আবু হানিফ বলেন, রিট আবেদনে সাময়িক বরখাস্তের আদেশ স্থগিত চাওয়া হয়েছে। রুল দেওয়ার পাশাপাশি প্যানেল মেয়রের দায়িত্ব পালনের যে সিদ্ধান্ত হয়েছে, তা স্থগিত চাওয়া হয়েছে। সেই সঙ্গে ভবিষ্যতে মেয়র হিসেবে মান্নানের কার্যক্রম পরিচালনায় যাতে বাধা দেওয়া না হয়, সে বিষয়ে নির্দেশনা চাওয়া হয়েছে।
গতকাল শনিবার বেলা তিনটা পর্যন্ত অফিস করে বাসায় যান গাজীপুর সিটি করপোরেশনের মেয়র এম এ মান্নান। বেলা সাড়ে তিনটায় তাঁকে বরখাস্ত করার চিঠি পৌঁছায় করপোরেশনের প্রধান নির্বাহী কর্মকর্তার কাছে। এর আধা ঘণ্টার মধ্যে ভারপ্রাপ্ত মেয়রের দায়িত্ব নেন আসাদুর রহমান (কিরণ)। তিনি আওয়ামী লীগদলীয় ওয়ার্ড কাউন্সিলর এবং গাজীপুর মহানগর আওয়ামী লীগের সহসভাপতি।
দায়িত্ব ফিরে পাওয়ার ১৯ দিনের মাথায় তাঁকে তৃতীয়বারের মতো বরখাস্ত করা হলো। প্রতিবারই ভারপ্রাপ্ত মেয়রের দায়িত্ব পান আসাদুর রহমান।
২০১৩ সালে পাঁচ সিটি নির্বাচনে বিজয়ী হয়েছিলেন বিএনপি-সমর্থক প্রার্থীরা। এর মধ্যে বরিশালের মেয়র ছাড়া বাকি চার মেয়রকে মামলার কারণ দেখিয়ে দায়িত্ব থেকে অপসারণ করে স্থানীয় সরকার মন্ত্রণালয়। খুলনা সিটি মেয়র আদালতের রায়ে পুনর্বহাল হন গত বছর। রাজশাহী ও সিলেট সিটি করপোরেশনের মেয়র প্রথমবার সাময়িক বরখাস্ত হওয়ার প্রায় দুই বছর পর উচ্চ আদালতের নির্দেশে গত ২ এপ্রিল দায়িত্ব ফিরে পান। মেয়রের চেয়ারে বসতে না-বসতেই ওই দিনই তাঁদের আবার সাময়িকভাবে বরখাস্ত করা হয়। কয়েক দিন পর আদালতের আদেশে তাঁরা আবার দায়িত্ব ফিরে পান।
২০১৩ সালের ৬ জুলাই মেয়র নির্বাচিত হন বিএনপি সমর্থক মান্নান। কিন্তু নির্বাচিত হওয়ার চার বছরে দায়িত্ব পালনের সুযোগ পেয়েছেন সবে ১৮ মাস ১৯ দিন। জেলে কাটিয়েছেন ২২ মাস। এই সময়ে তাঁর বিরুদ্ধে মামলা হয়েছে ২৯টি। বরখাস্ত হয়েছেন তিনবার। ২৯টি মামলা এবং বারবার বরখাস্তের ঘটনাকে ক্ষমতাসীনদের রাজনৈতিক প্রতিহিংসা হিসেবে দেখছেন অনেকে।