বিদ্যুৎ উৎপাদন প্রযুক্তির ডাস্টবিন হচ্ছে বাংলাদেশ: আনু মুহাম্মদ
নিউজ ডেস্ক, এবিসি নিউজ বিডি, ঢাকা: বিদ্যুৎ উৎপাদন প্রযুক্তির ডাস্টবিনে পরিণত হচ্ছে বাংলাদেশ। ভারত ও চীন কয়লাভিত্তিক বিদ্যুৎ প্রকল্প বন্ধ করে দিচ্ছে, কয়লাখনিগুলো বাতিল করছে। কারণ, এগুলো মারাত্মক পরিবেশদূষণকারী এবং ব্যয়বহুল হয়ে উঠছে। আর বাংলাদেশ তাদের ফেলে দেওয়া এসব প্রযুক্তি নিচ্ছে। সুন্দরবনের পাশে কয়লাভিত্তিক বিদ্যুৎ প্রকল্প করে সুন্দরবনকে ধ্বংসের মুখে ফেলে দেওয়া হচ্ছে।
আজ সোমবার জাতীয় প্রেসক্লাবে বাংলাদেশ পরিবেশ আন্দোলন বাপা আয়োজিত এক সেমিনারে তেল, গ্যাস, বিদ্যুৎ-বন্দর রক্ষা জাতীয় কমিটির সদস্যসচিব অধ্যাপক আনু মুহাম্মদ এসব কথা বলেন।
সেমিনারে ‘বাংলাদেশের জ্বালানি খাতের রূপান্তর, একটি বিকল্প, স্বল্পব্যয়ী টেকসই বিদ্যুৎ’ শীর্ষক এক গবেষণা প্রতিবেদনের তথ্য তুলে ধরা হয়।
গবেষণাটি উত্থাপন আন্তর্জাতিক সংস্থা আইপিএফের জ্বালানি আর্থিক গবেষণা পরিচালক টিম বাকলি ও গবেষক সায়মন নিকোলাস। তাঁরা বলেন, চীন ও ভারত একে একে তাদের কয়লাখনিগুলো ও কয়লাবিদ্যুৎ প্রকল্পগুলো বন্ধ করে দিচ্ছে। তারা নবায়নযোগ্য জ্বালানির ওপর জোর দিচ্ছে। বাংলাদেশের রামপাল বিদ্যুৎকেন্দ্র নির্মাণকারী ভারতীয় প্রতিষ্ঠান ন্যাশনাল থারমাল পাওয়ার কোম্পানি (এনটিপিসি) ২০২১ সালের মধ্য ভারতের সবচেয়ে বড় সৌরবিদ্যুৎ উৎপাদনকারী প্রতিষ্ঠানে পরিণত হতে যাচ্ছে। চীনেও সৌরবিদ্যুতের প্রযুক্তি দ্রুত আরও উন্নত ও সস্তা হচ্ছে। বিশ্বের বড় বড় আর্থিক ও বিমা কোম্পানি কয়লা খাতে বিনিয়োগে আগ্রহী হচ্ছে না।
সূচনা বক্তব্যে লেখক ও গবেষক সৈয়দ আবুল মকসুদ বলেন, ‘ইউনেসকো তাদের দাবি তুলে নিয়েছে, পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের দাবি আমার গণমাধ্যমে দেখেছি। ৪৮ বছরের সাংবাদিকতার অভিজ্ঞতার থেকে বলছি, পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের একটি প্রেস বিজ্ঞপ্তি যাচাই-বাছাই ছাড়া প্রকাশ করা সাংবাদিকতার দিক থেকে হতাশাজনক। এ ব্যাপারে ইউনেসকোর বক্তব্য বা সংশ্লিষ্ট কারও বক্তব্য ছাড়া সংবাদ পরিবেশন ঠিক না।’
সভাপতির বক্তব্যে বাপার যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক শরীফ জামিল বলেন, কয়লা এখন পৃথিবীর সবচেয়ে ব্যয়বহুল এবং পুরোনো প্রযুক্তি। এর মধ্যে মারাত্মক তেজস্ক্রিয় পদার্থ রয়েছে। সরকার বলছে, রামপালের কয়লার ছাই বর্জ্য দিয়ে সিমেন্টে কাঁচামাল সরবরাহ করা হবে, রাস্তা বানানো হবে। তার মানে তারা (সরকার) কি তেজস্ক্রিয় দূষণ সব জায়গায় ছড়িয়ে দেবে?
সভাপতিত্ব করেন ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের ভূতত্ত্ব বিভাগের অধ্যাপক ড. বদরূল ইমাম। এতে আরও বক্তব্য দেন স্থপতি মোবাশ্বের হোসেন।