অবৈধ অর্থের দাপট
প্রতিবেদক, এবিসিনিউজবিডি, ঢাকা:
প্রকাশ্যে চলছে অবৈধ অর্থের দাপট। এ দাপটে ক্ষমতাসীন দলের খেটে খাওয়া নেতাকর্মীদের উপর হামলা-মামলা হলেও প্রশাসন নিরব ভূমিকা পালন করছে। রাজধানীর প্রাণ কেন্দ্র মতিঝিলে যুবলীগ কর্মীর ব্যবসা প্রতিষ্ঠানে ডুকে ভাঙচুর ও মারধর করে হত্যার হুমকি দিয়ে প্রকাশ্যে ঘুরছে জামায়াত-বিএনপির সন্ত্রীরা। সরকারী দলের কর্মীর উপর হামলা করে কিভাবে জামায়াত সন্ত্রাসীরা প্রকাশ্যে ঘুরছে জানতে চাইলে বাদী মো. আলম শেখ বলেন, তাদের অবৈধ্য অর্থ আছে। তারা একটি ক্লাবের মাধ্যমে নেশার রাজত্ব চালাচ্ছে। তাদের সহযোগীতা করছে প্রশাসনের কিছু লোক।
তিনি বলেন, আমি মামলা করলেও এখনো কোনো ধরনের তদন্ত কার্যক্রম চোখে পরেনি। কেউ একবার এখানে আসেওনি। এ মামলার তদন্ত কর্মকর্তা মতিঝিল থানার ওসি (তদন্ত) মো. রাব্বানি। তদন্ত কর্মকর্তার বিরুদ্ধে অভিযোগ রয়েছে মামলার অভিযুক্তদের সঙ্গে তার পূর্ব থেকেই ভাল সর্ম্পকের। এ জন্যই আমার মামলার তদন্ত হচ্ছে না। বরং অপরাধীরা আমাকে মামলা তুলে নেওয়ার হুমিকি দিচ্ছে।
এবিষয়ে ৮ নং ওয়ার্ড যুবলীগ সভাপতি ইয়াসিন আলী রাজ বলেন, বিষটি আমাকে তদন্ত কর্মকর্তা জানিয়েছেন। তার মাধ্যমে জানতে পেরেছি যে, ধাক্কা-ধাক্কি, কথা কাটা-কাটি হয়েছে। তবে জামায়াত-বিএনপির কেউ যদি আমাদের কোন কর্মীর গায়ে হাত দেয় অবশ্যই আমরা আইনগত কঠোর ব্যবস্থা নেব। তিনি বলেন, দলে অনেক অনুপ্রবেশকারী আছে, যারা দলের সুনাম ক্ষুন্ন করারও চেষ্টা করছে।
এদিকে, মামলার তদন্তকারী কর্মকর্তা মতিঝিল থানার ওসি(তদন্ত) মো. রাব্বানি বলেন, আমরা তদন্ত করছি। তবে সময় লাগবে তদন্ত শেষ করতে।
উল্লেখ্য, ঢাকা মহানগর দক্ষিণ যুবলীগের অন্তর্গত মতিঝিল থানার ৮ নং ওয়ার্ড যুবলীগ কর্মী মো. আলম শেখকে তার ব্যবসা প্রতিষ্ঠানে ডুকে স্থানীয় মো. এসাহক, মো. কাশেম, মো. রাজু, মো. হোসেন, আজিম ও বাবু চাঁদা না পেয়ে লুটপাট চালায় এবং হত্যার হুমকি দেয় বলে মামলা সূত্রে জানা যায়। এ ব্যাপারে মো. আলম শেখ চীফ মেট্রোপলিটন ম্যাজিষ্ট্রেট এর নিকট অভিযোগ দাখিল করে। অভিযোগ নং সিআর, ১৫০৩/১৭। অভিযোগ সূত্রে জানা যায়, বাদী মতিঝিল থানাধীন ৪১ দক্ষিণ কমলাপুর এলাকায় মোবাইলের ব্যবসা প্রতিষ্ঠান রয়েছে, সেই প্রতিষ্ঠানে এসে অভিযুক্তরা ত্রিশ হাজার টাকা চাঁদা দাবি করে। বাদী তাদের চাঁদার টাকা দিতে অস্বীকার করলে গত ৪ মে অভিযুক্তরা মো. আলমকে মাথায় অস্ত্র ঠেঁকিয়ে চাঁদার টাকা না পেলে হত্যার হুমকি দিয়ে মাথার খুলি উড়িয়ে দেওয়ার হুমকি দেয়।
এ হুমকির ফলে বাদী মো. আলম শেখ গত ৯ জুলাই তারিখে মতিঝিল থানায় একটি সাধারণ ডায়েরী করেন। ডায়েরী নং- ৫৮৮। বাদী থানায় অভিযোগ করিলে গত ১১ জুলাই রাতে তার ব্যবসা প্রতিষ্ঠানে অভিযুক্তরা এসে ভাঙচুর করে। বাদীকে মারধর করে এবং ক্যাশ থেকে নগদ সাড়ে আট হাজার টাকা ও দুটি দামি মোবাইল ফোন নিয়ে যায় তারা।
বাদী আহত অবস্থায় ঢাকা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে রাতেই ভর্তি হয় এবং হাসপাতাল থেকে সুস্থ্য হয়েই এ মামলা করেন বাদী।
এদিকে, সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যম ফেসবুকে একটি ছবি ভাইরায় হয়ে গেছে। ছবিটি গত ফেব্রæয়ারি মাসের। ছবিটিতে দেখা যায় মতিঝিল থানায় ওসি(তদন্ত) অভিযুক্ত আসামীদের সঙ্গে একসাথে বসে, কোন এক অফিসে নাস্তা করছে। এবং এই অভিযুক্তদের অনেকেই জামায়াতের রাজনীতির সঙ্গে যুক্ত। বিএনপি নেতা ও আমার দেশ পত্রিকার সম্পাদক মাহমুদুর রহমানের মুক্তির আন্দোলনে সরকার বিরোধি শ্লোগান দিচ্ছে এমন ছবিও আমাদের কাছে রয়েছে। বিএনপি অনেক নেতাদের সঙ্গেও তাদের অনেক ছবি রয়েছে।