আ. লীগকে নিষিদ্ধের দাবি জামায়াতের
রিপোর্টার, এবিসি নিউজ বিডি, ঢাকাঃ উচ্চ আদালত নিবন্ধন বাতিলের আদেশ দেয়ার পর জামায়াতে ইসলামীকে নিষিদ্ধের দাবি ওঠার প্রেক্ষাপটে উল্টো আওয়ামী লীগ ও এর সহযোগী সংগঠনগুলোকে নিষিদ্ধের দাবি জানিয়েছে দলটি।
গত ২৮ ফেব্রুয়ারি থেকে এখন পর্যন্ত সরকারের বিভিন্ন বাহিনী ও সরকার সমর্থকদের হাতে জামায়াত-শিবিরের প্রায় আড়াইশ’ নেতকর্মী নিহত হয়েছে বলেও বিবৃতিতে দাবি করা হয়।
গত ৫ মে মতিঝিলে হেফাজতে ইসলামের সমাবেশে নিরাপত্তা বাহিনীর অভিযানে ‘নেতা-কর্মী ও আলেমদের’ হত্যা করা হয়েছে বলেও অভিযোগ করেছে জামায়াত।
অবশ্য সরকারের পক্ষ থেকে এ অভিযোগ অস্বীকার করা হয়েছে। আন্তর্জাতিক মানবাধিকার সংস্থা হিউম্যান রাইটস ওয়াচও বলেছে, সেখানে গণহত্যার প্রমাণ তারা পায়নি।
ক্ষমতাসীন দলের নেতাকর্মীদের ‘সন্ত্রাসী কর্মকাণ্ডের’ প্রমাণ দিতে গিয়ে সম্প্রতি দলীয় কোন্দলে যুবলীগ নেতা রিয়াজউদ্দিন খান মিল্কি নিহত হওয়ার বিষয়টি তুলে এনেছেন জামায়াতের ভারপ্রাপ্ত সেক্রেটারি জেনারেল।
তিনি বলেন, “সন্ত্রাসে জড়িত থাকার কারণে আওয়ামী লীগ, ছাত্রলীগ ও যুবলীগকে নিষিদ্ধ করা উচিত।”
পাশাপাশি জামায়াতে ইসলামীকে নিষিদ্ধ করার দাবি সম্পূর্ণ ‘অন্যায় ও অযৌক্তিক’ বলেও তিনি মন্তব্য করেন।
একাত্তরে মুক্তিযুদ্ধের বিরোধিতাকারী দল জামায়াতের নেতা রফিকুল বলেন, “জামায়াত একটি আইনানুগ বৈধ রাজনৈতিক দল। জামায়াতের রাজনীতি নিষিদ্ধ করার প্রশ্নই আসে না।”
একটি রিটের রায়ে হাই কোর্ট বৃহস্পতিবার রাজনৈতিক দল হিসাবে নির্বাচন কমিশনে জামায়াতে ইসলামীর নিবন্ধন অবৈধ ও বাতিল ঘোষণা করে। আইন অনুযায়ী কেবল নিবন্ধিত দলই বাংলাদেশে নির্বাচনে অংশ নিতে পারে।
ওই রায়ের প্রতিবাদে আগামী ১২ ও ১৩ অগাস্ট সারা দেশে হরতাল এবং শনিবার সারা দেশে বিক্ষোভ কর্মসূচি দিয়েছে জামায়াত।