রূপপুরে মালামাল নিতে নদী খননে ৯৫৬ কোটির প্রকল্প

নিউজ ডেস্ক, এবিসি নিউজ বিডি, ঢাকা: মোংলা সমুদ্রবন্দর থেকে চাঁদপুর, মাওয়া ও গোয়ালন্দ হয়ে পাকশী পর্যন্ত নৌপথের নাব্যতা বৃদ্ধি করা হবে। এ জন্য নদী ড্রেজিং বা খনন করতে ৯৫৬ কোটি টাকার প্রকল্প নেওয়া হয়েছে। পাকশীর কাছে নির্মাণাধীন রূপপুর পারমাণবিক বিদ্যুৎকেন্দ্রের ভারী মালামাল পরিবহন নিরাপদ ও সহজ করা এই প্রকল্পের মূল উদ্দেশ্য।

আজ মঙ্গলবার জাতীয় অর্থনৈতিক পরিষদের নির্বাহী কমিটির (একনেক) সভায় এ-সংক্রান্ত উন্নয়ন প্রকল্প অনুমোদন দেওয়া হয়। প্রধানমন্ত্রী ও একনেক চেয়ারপারসন শেখ হাসিনা এতে সভাপতিত্ব করেন। শেরেবাংলা নগরের এনইসির সম্মেলনকক্ষে এই সভা অনুষ্ঠিত হয়।

প্রকল্প প্রস্তাবে বলা হয়েছে, প্রধানমন্ত্রীর কার্যালয়ে অনুষ্ঠিত ফাস্ট ট্র্যাক প্রকল্পসংক্রান্ত জাতীয় মনিটরিং কমিটির চতুর্থ সভায় ‘চট্টগ্রাম ও মোংলা সমুদ্রবন্দর হতে রূপপুর পর্যন্ত নৌপথের প্রয়োজনীয় ড্রেজিং করতে হবে’, এমন সিদ্ধান্ত হয়। এর পরিপ্রেক্ষিতেই প্রকল্পটি নেওয়া হয়। প্রকল্প প্রস্তাবে আরও বলা হয়েছে, বাংলাদেশের নদীগুলো দিয়ে প্রতিবছর বন্যায় ৫০ লাখ কিউসেক পানি এবং ২৪০ কোটি টন পলি পরিবাহিত হয়, যা সারা বিশ্বের পরিবাহিত পলির সাড়ে ১৮ শতাংশ। এর ফলে ক্রমান্বয়ে নদীগুলো নাব্যতা হারাচ্ছে। নৌপথ সচল রাখতে পর্যাপ্ত পরিমাণে ড্রেজিং করা প্রয়োজন।

বাংলাদেশ অভ্যন্তরীণ নৌপরিবহন কর্তৃপক্ষ (বিআইডব্লিউটিএ) প্রকল্পটি ২০১৭ সালের জুলাই থেকে ২০২৫ সালের জুন মাসের মধ্যে বাস্তবায়ন করবে। দেশজ উৎস থেকে এই অর্থের জোগান দেওয়া হবে। একনেক সভা শেষে পরিকল্পনামন্ত্রী প্রকল্পটি সম্পর্কে সাংবাদিকদের বলেন, দীর্ঘদিন এই নদীপথের নাব্যতা বৃদ্ধি করা হয়নি। নদীপথে পণ্য পরিবহনও বেশ সাশ্রয়ী।

আজকের একনেক সভায় এই প্রকল্পটিসহ প্রায় ৩ হাজার ১৭২ কোটি টাকার মোট অাটটি প্রকল্প অনুমোদন দেওয়া হয়। এর মধ্যে স্থানীয় উৎস থেকে দেওয়া হবে ২ হাজার ৫৭৯ কোটি ৪০ লাখ টাকা। আর বিদেশি সহায়তা পাওয়া যাবে ৫৯২ কোটি ৫৬ লাখ টাকা।

একনেকে অনুমোদিত অপর প্রকল্পগুলো হলো—৬৯৩ কোটি টাকার বাংলাদেশ রিজিওনাল কানেকটিভিটি প্রজেক্ট-১: শেওলা, ভোমরা, রামগড় স্থলবন্দরের উন্নয়ন এবং বেনাপোল স্থলবন্দরের নিরাপত্তা ব্যবস্থার উন্নয়ন; ৩৪৩ কোটি ৬০ লাখ টাকার নবীনগর-শিবপুর-রাধিকা আঞ্চলিক মহাসড়ক নির্মাণ ও উন্নয়ন; ৩৩৫ কোটি ৬৬ লাখ টাকার জামালপুর-ধানুয়া কামালপুর-কদমতলা (রৌমারী) জেলা মহাসড়ক (কামালপুর স্থলবন্দর লিংকসহ) প্রশস্ত ও মজবুতকরণ; ৩৪২ কোটি টাকার রাজবাড়ী শহর রক্ষা (২য় পর্যায়) প্রকল্প; ২০০ কোটি ৫৭ লাখ টাকার টাঙ্গাইল জেলার গোপালপুর ও ভূঞাপুর উপজেলাধীন যমুনা নদীর বাম তীরবর্তী কাউলীবাড়ী ব্রিজ হতে শাখারিয়া (ভরুয়া-বটতলা) পর্যন্ত তীর সংরক্ষণ; ১৯০ কোটি ৭৭ লাখ টাকার মেঘনা নদীর ভাঙন হতে চাঁদপুর জেলার হরিণা ফেরিঘাট এবং চরভৈরবী এলাকার কাটাখাল বাজার রক্ষা এবং সিলেট টেক্সটাইল ইঞ্জিনিয়ারিং কলেজ স্থাপন প্রকল্প।

Leave a Reply

Facebook
ব্রেকিং নিউজ