সংবাদপত্রে ওয়েজ বোর্ড নিয়ে আলোচনা হবে
নিউজ ডেস্ক, এবিসি নিউজ বিডি, ঢাকা: সংবাদপত্রশিল্পে ওয়েজ বোর্ড নিয়ে আরও আলোচনা হবে বলে জানিয়েছেন অর্থমন্ত্রী আবুল মাল আবদুল মুহিত। তাঁর যুক্তি হচ্ছে, সংবাদপত্রে বর্তমানে পাঁচটি ধাপে যে হারে বেতন-ভাতা দেওয়া হয়, তা সরকারি চাকরিজীবীদের চেয়ে বেশি। তাই নতুন করে করার কিছু নেই।
আজ মঙ্গলবার সচিবালয়ে নিউজপেপার ওনার্স অ্যাসোসিয়েশন অব বাংলাদেশের (নোয়াব) প্রতিনিধিদলের সঙ্গে অনুষ্ঠিত বৈঠকের পর সাংবাদিকদের প্রশ্নের জবাবে অর্থমন্ত্রী এসব কথা বলেন।
অর্থ মন্ত্রণালয় সূত্রে জানা গেছে, ১৭ আগস্ট বাংলাদেশ ফেডারেল সাংবাদিক ইউনিয়ন, ঢাকা সাংবাদিক ইউনিয়ন এবং ঢাকা রিপোর্টার্স ইউনিটির নেতাদের সঙ্গে সংবাদপত্রশিল্প নিয়ে বৈঠক করবেন অর্থমন্ত্রী।
বৈঠক শেষে অর্থমন্ত্রী সাংবাদিকদের বলেন, ‘সংবাদপত্রশিল্পের ব্যাপারে তথ্য সংগ্রহ চলছে এবং যেসব তথ্য পাওয়া যাচ্ছে, অত্যন্ত দুঃখজনক। বাস্তবে এত পত্রিকার অস্তিত্বও নেই। তবু এরা চলছে। কারণ, সুলভে কাগজ পায়, এটা পায়, ওটা পায়।’
নোয়াবের সভাপতি মতিউর রহমানের নেতৃত্বাধীন দলটিতে সহসভাপতি এ কে আজাদ ও নির্বাহী সদস্য মাহ্ফুজ আনাম উপস্থিত ছিলেন। এ ছাড়া ছিলেন জাতীয় রাজস্ব বোর্ডের চেয়ারম্যান নজিবুর রহমান ও তথ্যসচিব মরতুজা আহমেদ।
বৈঠক শেষে তথ্যমন্ত্রী হাসানুল হক ইনু বলেন, ‘অর্থমন্ত্রীর সভাপতিত্বে খবরের কাগজের মালিকদের সঙ্গে বসেছিলাম। সংবাদপত্রশিল্পের সমস্যা নিয়ে আলোচনা হয়েছে। কোনো সিদ্ধান্ত হয়নি।’
অর্থমন্ত্রী বলেন, ঢাকা থেকে যেসব পত্রিকা বের হয়, এগুলোর মধ্যে ১৫ থেকে ২০টা বাদে বাকিরা বোগাস। তিনি আরও বলেন, সরকারি চাকরিজীবী ছাড়া দেশে কয়টা পেশাজীবী আছে, যাদের বেতন-ভাতা নির্ধারণ করা হয়? এটা আসলে বাজারই ঠিক করে, সরকার কোনো হস্তক্ষেপ করে না। পোশাক খাতের দরিদ্র কর্মীদের স্বার্থে একবার হস্তক্ষেপ করা হয়েছিল।
টিভি চ্যানেলের সাংবাদিকদের ওয়েজ বোর্ডের কী হবে, জানতে চাইলে অর্থমন্ত্রী বলেন, ‘একই অবস্থা। যারা পারবে না, তারা থাকবে না। দুনিয়ার কোথায় এতগুলো টিভি চ্যানেল আছে? আগেই বলেছি, দেশে যতগুলো বেসরকারি ব্যাংক ও টিভি চ্যানেল আছে, সেগুলো থাকবে না।’
এদিকে সরকারবিরোধী বলে পরিচিত বাংলাদেশ ফেডারেল সাংবাদিক ইউনিয়ন (বিএফইউজে) এবং ঢাকা সাংবাদিক ইউনিয়নের (ডিইউজে) একাংশ মঙ্গলবার এক বিবৃতিতে অর্থমন্ত্রীর বক্তব্যের নিন্দা ও প্রতিবাদ জানিয়েছে। তারা মন্ত্রীর বক্তব্য অনাকাঙ্ক্ষিত উল্লেখ করে তা প্রত্যাহারের দাবি জানায়। বিবৃতি দেন বিএফইউজের সভাপতি শওকত মাহমুদ, মহাসচিব এম আবদুল্লাহ, ডিইউজের সভাপতি আবদুল হাই শিকদার ও সাধারণ সম্পাদক জাহাঙ্গীর আলম প্রধান।