নিহত ব্যক্তির শরীরে ৬২ গুলির চিহ্ন
নিউজ ডেস্ক, এবিসি নিউজ বিডি, ঢাকা: শরীয়তপুরের নড়িয়া উপজেলার রাজনগর ইউনিয়নে স্থানীয় আওয়ামী লীগের সংঘর্ষে নিহত যুবলীগের নেতা ইকবাল হোসেনের শরীরে ৬২টি ছররা গুলির চিহ্ন পাওয়া গেছে। হত্যাকাণ্ডে জড়িত থাকার অভিযোগে পুলিশ পাঁচ ব্যক্তিকে আটক করেছে। গুলিবিদ্ধ ১০ ব্যক্তিকে উন্নত চিকিৎসার জন্য ঢাকায় পাঠানো হয়েছে।
গতকাল শুক্রবারের সংঘর্ষে ওই ইউনিয়নের ৭ নম্বর ওয়ার্ড যুবলীগের সহসভাপতি ইকবাল হোসেন গুলিবিদ্ধ হয়ে প্রাণ হারান। গুলিবিদ্ধ হয় ৩৫ জন। তাঁদের মধ্যে ২৫ জনকে শরীয়তপুর সদর হাসপাতালে চিকিৎসা দেওয়া হচ্ছে।
আজ শনিবার দুপুরে শরীয়তপুর সদর হাসপাতালের মর্গে ইকবাল হোসেনের লাশের ময়নাতদন্ত করা হয়। পরে লাশ স্বজনদের কাছে হস্তান্তর করা হয়।
সদর হাসপাতালের আবাসিক চিকিৎসা কর্মকর্তা সুমন পোদ্দার বলেন, ইকবালের শরীরে ৬২টি ছররা গুলির চিহ্ন পাওয়া গেছে। গুলিগুলো শটগানের ছিল বলে ধারণা করছি। বেশিসংখ্যক বুলেট বিদ্ধ হওয়ায় রক্তক্ষরণ হয়েছে, এ কারণে তাঁর মৃত্যু হয়েছে।
নড়িয়া থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) আসলাম উদ্দিন বলেন, ইকবাল হত্যাকাণ্ডে জড়িত থাকার সন্দেহে পাঁচজনকে আটক করা হয়েছে। তাঁরা হলেন: রাজনগর মালতকান্দি গ্রামের সিরাজুল মোল্যা, সোহরাব ব্যাপারী, জাহাঙ্গীর হোসেন মীরবহর, পারভেজ ব্যাপারী ও নীরব মিয়া। তাঁদের প্রাথমিক জিজ্ঞাসাবাদ চলছে। এ ঘটনায় এখনো মামলা হয়নি।
শরীয়তপুর জেলা আওয়ামী লীগের সভাপতি সাবেদুর রহমান খোকা সিকদার বলেন, যুবলীগ নেতাকে হত্যার ঘটনায় আমরা মর্মাহত। দুই পক্ষই আওয়ামী লীগ হওয়ায় আমরা বিব্রত। তবে সংঘর্ষটি দলীয় কোনো কর্মসূচি ঘিরে হয়নি, স্থানীয় পর্যায় প্রভাব বিস্তার করার জন্য ঘটেছে। ওই দুই পক্ষকে যারা প্রশ্রয় দেয় তাদের সতর্ক করা হয়েছে।
প্রসঙ্গত, রাজনগর ইউপি নির্বাচন আওয়ামী লীগের মনোনয়নে চেয়ারম্যান নির্বাচিত হন জাকির গাজী। নির্বাচন নিয়ে ওই ইউনিয়নের আওয়ামী লীগের সভাপতি দাদন মীরবহর ও সাবেক চেয়ারম্যান আলিমুজ্জামান মীর মালতের সঙ্গে তাঁর বিরোধ সৃষ্টি হয়। শুক্রবার দুপুরে জাকির গাজীর সমর্থকদের মারধর করে দাদন মীরবহরের সমর্থকেরা। এর জের ধরে শুক্রবার সন্ধ্যার দিকে জাকির গাজীর সমর্থকেরা দাদন মীরবহরের আন্ধারমানিক বাজারের ব্যবসা প্রতিষ্ঠান ভাঙচুর করে। পরে দুই পক্ষের মধ্যে সংঘর্ষ শুরু হয়।