বিএনপির সেই নেতাকে কারণ দর্শানোর নোটিশ
নিউজ ডেস্ক, এবিসি নিউজ বিডি, ঢাকা: খালেদা জিয়াকে কেক কেটে জন্মদিন পালন না করার আহ্বান জানানোর পর পিরোজপুরের মঠবাড়িয়া উপজেলা বিএনপির যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক এ কে এম নিজামুল কবিরকে কারণ দর্শানোর নোটিশ দেওয়া হয়েছে। তাঁর দলীয় পদ স্থগিত করা হয়েছে।
গতকাল বুধবার উপজেলা বিএনপির সভাপতি ও সাধারণ সম্পাদক স্বাক্ষরিত এক চিঠিতে নিজামুলকে কারণ দর্শানোর নোটিশ দেওয়া হয়। একই দিনে তাঁর দলীয় পদ স্থগিত করেছে জেলা বিএনপি।
উপজেলা বিএনপির চিঠিতে নিজামুলকে কেন দল থেকে বহিষ্কার করা হবে না, তার জবাব ৪৮ ঘণ্টার মধ্যে দিতে বলা হয়েছে।
কারণ দর্শানোর নোটিশ গতকাল রাতে গ্রহণ করেন নিজামুল। তিনি বলেন, ‘নির্দিষ্ট সময়ের মধ্যেই আমি নোটিশের জবাব দেব।’
পিরোজপুর জেলা বিএনপির সাধারণ সম্পাদক আলমগীর হোসেন বলেন, শৃঙ্খলাবিরোধী কর্মকাণ্ডের জন্য নিজামুলের দলীয় পদ স্থগিত করা হয়েছে। জেলা বিএনপির পক্ষ থেকে এ-সংক্রান্ত চিঠি তাঁকে পাঠানো হয়েছে।
দলীয় পদ স্থগিত হওয়ার চিঠি এখনো হাতে পাননি বলে জানিয়েছেন নিজামুল।
গত মঙ্গলবার (১৫ আগস্ট) সকালে পিরোজপুরের মঠবাড়িয়া উপজেলার উদয়ন মাধ্যমিক বিদ্যালয়ে জাতীয় শোক দিবসের এক আলোচনা সভায় অংশ নেন বিএনপি নেতা নিজামুল। ১৫ আগস্ট দলের চেয়ারপারসনের জন্মদিন পালন নিয়ে সমালোচনা করেন তিনি। খালেদা জিয়াকে কেক কেটে জন্মদিন পালন না করার আহ্বান জানান নিজামুল।
শোক দিবসের আলোচনা সভায় নিজামুল বলেন, ‘১৫ আগস্ট অত্যন্ত মর্মাহত বেদনার দিন। আমি যে দলের সমর্থক, সে দলের প্রধান দেশনেত্রী বেগম খালেদা জিয়ার আজ জন্মদিন। এই দিনটিতে জন্মদিন উদ্যাপন নিয়ে বিতর্ক রয়েছে। এই বিতর্ক অবসানের জন্য আমার এই বক্তব্যটি সাংবাদিকদের মাধ্যমে দলের নীতিনির্ধারকদের কাছে জানাতে চাই। খালেদা জিয়ার জন্মদিন নিয়ে বিভিন্ন কথা উঠেছে। সার্টিফিকেট খোঁজা হচ্ছে। খালেদা জিয়া যদি ভূমিকা নিয়ে আজকের দিনটি কেক কেটে উদ্যাপন না করে ঘরোয়া পরিবেশে জাতির জনক বঙ্গবন্ধুর প্রতি শ্রদ্ধা জানিয়ে দোয়া ও মিলাদ মাহফিলের মাধ্যমে পালন করতেন, সারা দেশের নেতা-কর্মীদের নির্দেশ দিতেন আমরা আর কেক কেটে জন্মদিন পালন করব না, তাহলে দেশের ৮০ শতাংশ মানুষ তাঁকে (খালেদা জিয়া) সমর্থন দিতেন। কিন্তু তা করা হয় না। আবার সরকার পরিবর্তন হলে বঙ্গবন্ধুর অবদানকেও ভুলে যায়। এটা হওয়া উচিত না। বঙ্গবন্ধুর অবদানকে আমি মানুষ হিসেবে কোনো দিন অস্বীকার করতে পারব না।’
নিজামুলের বক্তব্যে বিএনপির নেতা-কর্মীদের মধ্যে ক্ষোভ সৃষ্টি হয়। এ নিয়ে ফেসবুকে বিএনপি, যুবদল ও ছাত্রদলের নেতা-কর্মীরা ক্ষুব্ধ মন্তব্য করেন। তাঁরা নিজামুলকে দল থেকে বহিষ্কারের দাবি জানান।