বিদেশে সরকার হটানোর ষড়যন্ত্র করছে বিএনপি
নিউজ ডেস্ক, এবিসি নিউজ বিডি, ঢাকা: আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক ও সেতুমন্ত্রী ওবায়দুল কাদের বলেছেন, বিএনপির আন্দোলন করার মুরোদ নেই, তাই বিদেশে বসে সরকার হটানোর ষড়যন্ত্র করছে। তথ্যপ্রবাহের এই যুগে এসব খবর গোপন থাকে না।
আজ শনিবার দুপুরে রাজধানীর ইঞ্জিনিয়ার্স ইনস্টিটিউশন মিলনায়তনে বাংলাদেশ আওয়ামী যুবলীগের শোক দিবসের আলোচনা সভায় ওবায়দুল কাদের এসব কথা বলেন।
ওবায়দুল কাদের বলেন, লন্ডনের খবর, দুবাইয়ের খবর, ব্যাংককের খবর—কী সলাপরামর্শ হচ্ছে, কোন কোন পথ খোঁজা হচ্ছে শেখ হাসিনার সরকারকে হটানোর জন্য; সেই খবর এই তথ্যপ্রবাহের যুগে গোপন থাকে না। তিনি আরও বলেন, ‘সব জানি আমরা। কারা কারা ষড়যন্ত্রের কলকাঠি নাড়ে, সব জানি।’
সেতুমন্ত্রী ওবায়দুল কাদের বলেন, বিএনপি বদলায়নি। তারা ষড়যন্ত্রের মাধ্যমে ক্ষমতায় যেতে চায়। কারণ এবার ক্রেডিবল (গ্রহণযোগ্য), ফ্রি (অবাধ) ও ফেয়ার (নিরপেক্ষ) নির্বাচন হবে। সে নির্বাচনে জিততে পারবে না দেখেই ষড়যন্ত্র করছে বিএনপি।
শোক দিবসে বিএনপির চেয়ারপারসন খালেদা জিয়ার জন্মদিন পালনের সমালোচনা করে ওবায়দুল কাদের বলেন, জনগণের রুদ্ররোষে এবার তাদের কেক কাটার উৎসব পণ্ড হয়ে গেছে। বন্যার কারণ দেখিয়ে জনরোষের মুখে কেক না কাটলেও সুযোগ পেলে যে কাটতেন, তাতে কোনো সন্দেহ নেই।
ওবায়দুল কাদের বলেন, ‘একজনের কয়টা জন্মদিন থাকে? পরীক্ষা, বিবাহ, পাসপোর্ট মিলিয়ে কেন পাঁচটা ভুয়া জন্মদিন? আমাদের হৃদয়ে, অনুভূতিতে আঘাত করতে? আমাদের উপহাস করার জন্য? তাদের সঙ্গে আমরা সংলাপে বসব?’ তিনি বলেন, বিএনপি বিদ্বেষের রাজনীতি করছে।
সংবিধানের ষোড়শ সংশোধনীর রায়ের বিষয়ে আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক বলেন, গর্ত থেকে বের হয়ে বিএনপি লাফালাফি করছিল। কিন্তু এখন বুঝে গেছে যে ক্ষমতায় যাওয়ার রঙিন খোয়াব কর্পূরের মতো উড়ে গেছে।
যুবলীগের নেতা-কর্মীদের আগামী নির্বাচনের জন্য প্রস্তুত হওয়ার কথা বলে ওবায়দুল কাদের বলেন, বিএনপি আবার ক্ষমতায় এলে ২০০১ সালের চেয়েও ভয়ংকর অবস্থা ফিরে আসবে। কিন্তু নির্বাচনে জিতে তারা ক্ষমতায় আসতে পারবে না। কারণ, জামায়াত না থাকলে ভোটকেন্দ্রে বিএনপির লোক থাকবে না।
যুবলীগের চেয়ারম্যান ওমর ফারুক চৌধুরীর সভাপতিত্বে সভায় আরও বক্তব্য দেন ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের সহ-উপাচার্য নাসরিন আহমেদ, ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষক সমিতির সভাপতি এ এস এম মাকসুদ কামাল, যুবলীগের সাধারণ সম্পাদক হারুনুর রশীদ প্রমুখ।