পেঁয়াজ-রসুন-আদা দামে যায় না বাঁধা
নিউজ ডেস্ক, এবিসি নিউজ বিডি, ঢাকা: হাতিরপুল বাজারের মাসুম স্টোরে দেশি পেঁয়াজ বিক্রি হচ্ছে প্রতি কেজি ৫০ টাকা করে। ভারতীয় পেঁয়াজের দাম পড়ছে কেজিপ্রতি ৪৫ টাকা। অন্যদিকে চীন থেকে আমদানি করা রসুন বিক্রি হচ্ছে ১০০ টাকা কেজি দরে। এক কেজি দেশি রসুনের দাম পড়ছে ৮০ টাকা।
এই দোকানের বিক্রেতা মো. লোকমান বলেন, তিন-চার দিন আগেও এক কেজি দেশি পেঁয়াজ বিক্রি হয়েছে ৫৬ টাকায়। ভারতীয় পেঁয়াজের দাম ছিল কেজিপ্রতি ৫০ টাকা। দেশি রসুনের দাম ছিল প্রায় ১০ টাকা বেশি। লোকমান বলেন, ঈদের আগমুহূর্তে দাম আরেকটু কমতে পারে। তবে তা নির্ভর করবে আমদানির ওপর। আমদানি বেশি হলে দাম কমবে।
একই বাজারে দুই পা এগোলেই আবার পেঁয়াজের আরেক দর পাওয়া গেল। মোজাম্মেল স্টোরে দেশি পেঁয়াজ বিক্রি হচ্ছে প্রতি কেজি ৪৮ টাকায়। আমদানি করা পেঁয়াজের দাম ৪০ টাকা কেজি। ওই দোকানে প্রতি কেজি দেশি আদা বিক্রি হচ্ছে ১৫০ টাকায়। আর আমদানি করা আদার দাম ১০০ টাকা কেজি।
ট্রেডিং করপোরেশন অব বাংলাদেশের (টিসিবি) দেওয়া আজ শনিবারের খুচরা বাজারদর অনুযায়ী, দেশি পেঁয়াজের দাম ওঠা-নামা করছে কেজিপ্রতি ৪০ থেকে ৫৫ টাকার মধ্যে। আমদানি করা পেঁয়াজ বিক্রি হচ্ছে ৪০ থেকে ৪৮ টাকায়। গত সপ্তাহে পেঁয়াজের দর ছিল কেজিপ্রতি ৪৫ থেকে ৬০ টাকার মধ্যে।
টিসিবির বাজারদর অনুযায়ী, এক সপ্তাহ আগে মানভেদে এক কেজি আদা বিক্রি হয়েছে ৮০ থেকে ১৩০ টাকায়। আজ তাতে দাম কমেছে ১০ টাকা। আর সাত দিন আগে দেশি রসুন বিক্রি হয়েছে সর্বোচ্চ ১১০ টাকা কেজিতে। এখন তা মানভেদে বিক্রি হচ্ছে ৮০ থেকে ১০০ টাকায়। আমদানি করা রসুনেও সর্বোচ্চ খুচরা মূল্য কমেছে ১০ টাকা।
পলাশী বাজারের সাবিহা স্টোরে পেঁয়াজ বিক্রি হচ্ছে বেশি দামে। সেখানে এক কেজি দেশি পেঁয়াজের দাম ৬০ টাকা। কারণ জিজ্ঞেস করতেই বিক্রেতা মো. মিজানের দাবি, পুরান ঢাকার শ্যামবাজার থেকে বেছে ভালো মানের পেঁয়াজ নিয়ে এসেছেন তিনি। তাই দাম বেশি।
একই বাজারের নূর মোহাম্মদ স্টোরের বিক্রেতা মো. আল আমিন বলেন, গত দুই-তিন দিনে আদার কেজিতে প্রায় ২০ টাকা দাম কমেছে। রসুনে কমেছে ৫ থেকে ১০ টাকা।
কথা হয় আজিমপুরের বাসিন্দা সায়েদা আক্তারের সঙ্গে। তিনি বলেন, ‘স্থানীয় দোকানে পেঁয়াজ, রসুনের দাম বাজারের চেয়ে দুই-তিন টাকা বেশি। তাই এখানে আসা। কিন্তু এখানেও দোকানভেদে দামের ওঠা-নামা আছে। যেখানে কম পাচ্ছি, সেখান থেকেই কিনছি।’
বাজারগুলোতে দর-কষাকষির সুযোগ থাকলেও রাজধানীর সুপারশপগুলোতে সেই সুযোগ নেই। সুপারশপ ডেইলি শপিংয়ের কাঁঠালবাগান আউটলেটে দেশি রসুন বিক্রি হচ্ছে ১০৫ টাকায়। যদিও বাজারে দাম ৫ থেকে ১০ টাকা কম। দেশি ও আমদানি করা পেঁয়াজের দাম একই—কেজিপ্রতি ৫০ টাকা। আদা বিক্রি হচ্ছে ১২২ টাকা কেজি দরে।
আউটলেটের ব্যবস্থাপক জিয়াউর রহমান বলেন, ঈদের আগমুহূর্তে দাম বাড়ার আর সম্ভাবনা নেই। তিনি দাবি করেন, মান ভালো বলেই পণ্যের দাম কিছু ক্ষেত্রে বেশি।
রাজধানীর কারওয়ান বাজারে দুই মানের আদাই বিক্রি হচ্ছে ১০০ টাকা কেজি দরে। খুচরা বিক্রেতা মো. এরশাদ বলেন, তিন-চার দিন আগেও প্রতি কেজি আদা বিক্রি করেছেন ১২০ টাকায়। গত দুই দিনে দেশি পেঁয়াজে কেজিতে দাম কমেছে ২ টাকা, বিক্রি হচ্ছে ৪৮ টাকা দরে। আমদানি করা ভারতীয় পেঁয়াজের দাম ৪০ টাকা কেজি।
পাইকারি বিক্রেতা প্রতিষ্ঠান মতিয়ার বাণিজ্যালয়ে দেশি ও আমদানি করা রসুন বিক্রি হচ্ছে প্রতি কেজি ৮০ টাকায়। পেঁয়াজের কেজি ৪৫ টাকা। কর্মচারী মো. সাগর হোসেন বলেন, এখন দেশি পেঁয়াজ বিক্রি হচ্ছে বেশি। তবে ঈদের আগে দামে আর হেরফের হবে না।